রাজাপুরে কলেজ ছাত্রীকে নিয়ে অর্ধাহারে অনাহারে বিধবা বৃদ্ধ মনোয়ারা বেগমের মানবেতর জীবনযাপন

ডিসেম্বর ১৯ ২০২০, ১৮:২৫

Spread the love

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠির রাজাপুরের মঠবাড়ি ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের মৃত আনসার হাওলাদোরের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫০) ও বিএ দ্বিতীয় বর্ষে পড়–য়া মেয়ে তুলিআক্তারের বসবাসের ঘর না থাকায় তীব্র শীত নিবারনের জন্য সাহায্যের আকুতি। তারা রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে এসে বলেন, প্রায় বিশ বছর আগে দিন মজুর আনসার হাওলাদার তিনটি মেয়ে সন্তান রেখে মারা যান। সংসারে উপার্জনের কেউ নেই। ১২ শতাংসের বসত ভিটায় বাঁশ টিন দিয়ে এক কক্ষবিশিষ্ট একটি ঝুপড়ি ঘর ছাড়া আর

 

কিছুই নেই। স্বামী মারা যাওয়ার পরথেকে মনোয়ারা অন্যের ঘরে ঝি-এর কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছিলেন। বড় মেয়ে লাইজু বেগমকে রংপুরের সুলতান নামের এক ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছেন। সুলতান ঢাকায় গার্মেন্টস্ কর্মী। মেঝ মেয়ে রুবি বেগমকে শামিম বেপারী নামে এক ছেলের সাথে বিয়ে দেন। শামিম ঢাকায় রিক্সা চালক। বড় জামাই সুলতান মাঝে মাঝে সামান্য টাকা পাঠায় তাই দিয়ে ১০ টাকা মুল্যের চাল কিনে কোন রকম অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন তারা। বর্তমানে তাও কিনতে পারছেন না। কারন সুলতানও করোনার সময় টাকা পাঠাতে পারছেন না। সংসার চালাতে মানুষের কাছে হাত পাততে হয়

 

মনোয়ারা বেগমের। ছোট মেয়ে তুলি আক্তার উপজেলার বড়ইয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করছেন। মেধাবি ছাত্রী তুলির লেখা পড়ার সকল খরচ বহন করছেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরউজ্জামান। মনোয়ারার বুকে ব্যাথা ও পায়ে সমস্যা হওয়ায় ৬ মাস আগে থেকে কোন কাজ করতে পারছেন না এবং অর্থাভাবে ডাক্তারও দেখাতে পারছেন না। বর্তমানে ঝুপড়ি ঘড়ের বেড়া না থাকায় তীব্র শেিত চরম কষ্টের শিকার হচ্ছেন তারা। বৃষ্টির দিনে ঘরে পানি পড়ে সবকিছু ভিজে যায়। তাদের কষ্টের কথা শুনে ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ হাওলাদার কিছু চাল দিয়েছিলেন। এছাড়া অন্য কোন সাহায্য সহোযোগিতা তারা পাননি। কলেজ ছাত্রী তুলি আক্তারের অভিযোগ, হয়তো ঘুষ দিতে পারি নাই তাই ঘর পাই নাই। মা মনোয়ারা ও কলেজ পড়–য়া মেয়ে তুলি আক্তার সরকার এবং বিত্তশালিদের

 

কাছে একটি ঘর ও দু’মুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। সাহায্য পাঠাতে ০১৭০৭৬২৪৩৪৮ এ নম্বরে যোগাযোগ করার আহবান এ পরিবারটির। মঠবাড়ি ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চারমিং জানান, বিধবা মনোয়ারা বেগম খুব অসহায় অবস্থায় আছে, তিনি ভাঙা খুপড়ি ঘরে অতিকষ্টে বসবাস করতেছেন। তার একটি ঘর খুবই জরুরি। এ বিষয়ে ইউএনও মোক্তার হোসেন জানান, খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তাকে সার্বিক সহযোগীতা করার আশ^াসও দেন তিনি।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »