আবরার হত্যাকান্ড

ইফতির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে যা আছে

ডিসেম্বর ১১ ২০২১, ২০:৪৮

Spread the love

আজকের ঝলক নিউজ

চোখের পানি ধরে রাখতে পারবেন না।

ইফতির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে যা আছে-

-৪ অক্টোবর বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে রবিন শেরেবাংলা হল ছাত্রলীগের একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে একটি নির্দেশনা দেয়। এতে বলা হয়, আবরার শিবির করে, তাকে ধরতে হবে।
-এরপর মেসেঞ্জার গ্রুপে সাড়া দেয় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা। আবরার তখন বাড়িতে থাকায় ও সকালকে বলে, ‘ওকে বাড়ি থেকে ফিরতে দেন।’
-৬ অক্টোবর রাত আটটার কিছু পর আবরারকে ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে আসা হয়।
-জিজ্ঞাসাবাদের শুরু রবিন বেশ কয়েকটি চড় মারে আবরারকে
-রাফাত স্টাম্প এনে সকালের হাতে দেয়, স্টাম্প দিয়ে চার-পাঁচটি আঘাত করে সকাল। এতে স্টাম্পটি ভেঙে যায়।
-বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক অনিক সরকার স্টাম্প দিয়ে আবরারের হাঁটু, পা, পায়ের তালু ও বাহুতে মারতে থাকে।
-তখন জিয়ন আবরারকে চড় মারে এবং স্টাম্প দিয়ে হাঁটুতে বাড়ি দেয়।
-রাত সাড়ে ১০টার দিকে সকাল ক্যানটিনে খেতে যায়। মিনিট বিশেক পর ফিরে এসে দেখে, আবরার অসুস্থ হয়ে পড়েছে, মেঝেতে শুয়ে আছে। সকাল তখন আবরারকে ধমক দিয়ে উঠে দাঁড় করায়। কয়েকটি চড় মারে।
-মুজাহিদ তখন কক্ষে থাকা স্কিপিং রোপ দিয়ে আবরারকে মারে। সকাল আবার স্টাম্প দিয়ে আবরারের হাঁটু ও পায়ে আঘাত করে।
-তানভীর তখন চড়-থাপ্পড় মারে।
-রাত ১১টার দিকে অনিক আসে। হঠাৎ অনিক স্টাম্প দিয়ে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে এলোপাতাড়ি শতাধিক আঘাত করে। আনুমানিক রাত ১২টার পর অনিক আবরারকে মারা থামিয়ে কক্ষের বাইরে যায়।
-তখন আবরার অসুস্থ হয়ে পড়ে ও জানায় তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই আবরার বমি করে।
-তখন রবিন আবরারকে দেখে বলে, ‘ও নাটক করছে’।
-এরপর আবরারকে ২০০৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে শুইয়ে দেওয়া হয়।
-এ সময় অমিত সাহা খুদে বার্তা পাঠিয়ে সবকিছু জানতে চায় এবং আবরারকে আরও মেরে আরও তথ্য বের করতে বলে। আবরারের অবস্থা খুব খারাপ জানালে অমিত তাঁকে হল থেকে বের করে দিতে বলে।
-এর কিছুক্ষণ পর রবিন ও অনিক ২০০৫ নম্বর কক্ষে আসে। আবরারকে দেখে তাঁরা বলেন, ‘ও ঠিক আছে।’ এরপর তাঁরা চলে যায়।
-এ সময় আবরার আবার বমি করে। রবিন তখন আবরারকে পুলিশের হাতে দেওয়ার জন্য নিচে নামাতে বলে।
-১৭ ব্যাচের ছেলেরা আবরারকে নিচে নামানোর চেষ্টা করে। ব্যর্থ হলে তোশকসহ আবরারকে ধরে দোতলা ও নিচতলার সিঁড়িতে নামিয়ে রাখে।
-তখন আবরার বলছিল যে তাঁর খুব খারাপ লাগছে।
-সাধারণ সম্পাদক রাসেল তখন নিচে নেমে হলের প্রধান ফটকে পুলিশের সঙ্গে কথা বলছিল।
-এ সময় মুনতাসির দৌড়ে এসে বলেন, আবরারের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। সকাল তাঁকে মালিশ করতে বলে।
-ইসমাইল ও মনির তখন অ্যাম্বুলেন্সে ফোন দেয়। অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হওয়ায় তামিম বাইক নিয়ে বুয়েট মেডিকেলের চিকিৎসক নিয়ে আসে।
-চিকিৎসক আসার পরপরই অ্যাম্বুলেন্স আসে। চিকিৎসক সিঁড়িতে আবরারকে দেখে বলেন, ‘ও মারা গেছে।’
-পরে সকলে একটি কক্ষে গিয়ে শুয়ে থাকে। সেখান থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
আরো পড়ুন
ভিডিও দেখুন
https://www.youtube.com/watch?v=dhhrdPIIekc



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »