কক্সবাজারের স্থানীয় জনগনের জন্য ইউএনএইচসিআর ও সহযোগী সংস্থাগুলোর কমিউনিটি সলিডারিটি প্রজেক্ট ও অর্থ উপার্জন সহায়তা কর্মকান্ড

ডিসেম্বর ২৭ ২০২০, ১৯:৩৯

Spread the love

কক্সবাজারের স্থানীয় জনগনের জন্য ইউএনএইচসিআর ও সহযোগী সংস্থাগুলোর কমিউনিটি সলিডারিটি প্রজেক্ট ও অর্থ উপার্জন সহায়তা কর্মকান্ড
২০১৮ সাল থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার স্থানীয় জনগণের জন্য ‘কমিউনিটি সলিডারিটি প্রজেক্ট’ নিয়ে কাজ শুরু করে। এরকম মোট ১৩০টি প্রকল্প এরই মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে।
এই প্রকল্পগুলোর আওতায় ৯৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে; কোথাও পুনঃনির্মাণ করে দেয়া হয়েছে শ্রেণীকক্ষ ও পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা, কোথাও তৈরি করা হয়েছে কম্পিউটার লার্নিং সেন্টার, আবার কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেয়া হয়েছে আসবাবপত্র কিংবা স্কুল বাস। অবকাঠামোগত সহায়তার অংশ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এইচবিবি রোড, আর দরিদ্রতম স্থানীয় পরিবারদের দেয়া হয়েছে আবাসন ব্যবস্থা। ড্রেনেজ সিস্টেম ও ল্যাট্রিন উন্নয়নের মাধ্যমে পানি ও পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা পেয়েছে বাড়তি প্রণোদনা।
আজ কক্সবাজার, উখিয়া ও টেকনাফের সাংবাদিকবৃন্দ ইউএনএইচসিআর, সহযোগী সংস্থা ব্র্যাক ও এনজিও ফোরামের সম্প্রতি শেষ হওয়া এরকম কিছু প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এগুলোর মধ্যে ছিল হোয়াইক্যং-এর ৮৫০ ফুট দীর্ঘ ড্রেনেজ সিস্টেম, এইচবিবি রোডের বিভিন্ন স্পট এবং কানজরপাড়া মডেল একাডেমি’র নবনির্মিত স্কুল ভবন।
কমিউনিটি সলিডারিটি প্রজেক্টগুলোর পাশাপাশি ২০১৮ সাল থেকে উখিয়া ও টেকনাফের প্রায় ৬,০০০ পরিবারকে ইউএনএইচসিআর লাইভলিহুড অর্থাৎ জীবিকা নির্বাহ সংক্রান্ত সাহায্য দিয়ে আসছে। নিজ বাসস্থানে সবজি উৎপাদনের মত বিভিন্ন কাজে এ পরিবারগুলোকে সহায়তা দেয়া হয়েছে যেন তাঁরা অর্থ উপার্জনে সক্ষম হতে পারেন।
ইউএনএইচসিআর-এর লাইভলিহুড অফিসার সুব্রত কুমার চক্রবর্তী বলেন, “স্থানীয় জনগণের অবকাঠামোগত সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি ঝুঁকির মুখে থাকা স্থানীয় পরিবারগুলোর জন্য আমরা জীবিকা ও অর্থ উপার্জনের সুযোগ তৈরিতে কাজ করেছি। নিজ বাড়িতে শাকসবজি উৎপাদনের মাধ্যমে একটি পরিবার স্বাবলম্বী হতে পারে, নিজের চাহিদা মেটানোর পর সেটি বিক্রি করে কিছু আয় করতে পারে। ২০২০ সালের কোভিড-১৯ মহামারীর সময় এরকম সুযোগের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি”।
এরকম পরিবারগুলোর জন্য বাজারে ও ক্রেতার কাছে সহজ প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে ইউএনএইচসিআর ও সহযোগী সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) সম্প্রতি টেকনাফ উপজেলায় দুইটি ভেজিটেবল কালেকশন সেন্টার তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে পরিবারগুলো তাঁদের উৎপাদিত শাকসবজি ন্যায্য মূল্যে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।
সিএনআরএস-এর প্রজেক্ট ম্যানেজার এম এ হাসান মুন্না বলেন, “ভেজিটেবল কালেকশন সেন্টার তৈরির এই চমৎকার উদ্যোগটির মাধ্যমে একটি দৃঢ় মার্কেট চেইন তৈরি করা যাবে। এর মাধ্যমে স্থানীয় দরিদ্র কৃষক ও বিশেষ করে নারীরা একটি টেকসই ব্যবসা ব্যবস্থার সুফল ভোগ করতে পারবেন”।
আজকের অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল ইউএনএইচসিআর, এবং সার্বিক সহায়তায় ছিল সহযোগী সংস্থা কোস্ট ট্রাস্ট।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »