চরফ্যাসনে অসময়ে আবাদ হচ্ছে মালচিং পদ্ধতির তিন জাতের তরমুজ
আজকের ঝলক নিউজ
চরফ্যাসনে অসময়ে আবাদ হচ্ছে মালচিং পদ্ধতির তিন জাতের তরমুজ
চরফ্যাসন উপজেলার হালিমাবাদ এলাকার একজন আর্দশ চাষি আক্তার হোসেন মহাজন। প্রতিটি মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষাবাদে এসেছে তার সফলতা।
তবে দেশের অন্যান্য জায়গায় নতুন জাতের তরমুজের প্রচুর চাহিদা থাকায় এই প্রথমবারের মতো তার খামারে অসময়ে মালচিং পদ্ধতিতে বারোমাসি তিন জাতের তরমুজ উৎপাদিত হচ্ছে। সবুজ, কালো ও হলুদ রঙের এ তরমুজ দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি খেতেও সুস্বাদু।
জানা যায়, সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ইউনাইটেড নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চ ফলন শীল বারোমাসী তিন জাতের তরমুজের বীজ সংগ্রহ করেছেন। এরপর প্রদর্শনী এসএসিপি প্রকল্পের আওতায় হাইব্রিড জাতের এই জাতের তরমুজ চাষ করেন। এ জাতের তরমুজ বারোমাস চাষ করা যায়।
সফল কৃষক আক্তার হোসেন মহাজন বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে মালচিং পদ্ধতিতে জৈষ্ঠ্যে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ৮ শতক জমিতে ১২০ টি ট্রেতে সাড়ে ৩’শটি তরমুজের চারা রোপণ করেন। রোপণের ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যেই এই জাতের তরমুজ বিক্রয়ের উপযোগী হয়। প্রতিটির তরমুজের ওজন আড়াই থেকে তিন কেজি হয়ে থাকে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও তিনি বলেন, এই জাতের তরমুজ অল্প খরচে কম সময়ে ভালো ফলন ও অধিক মূল্য পাওয়া যায় বলে অসময়ে নতুন জাতের তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন তিনি। তরমুজ চাষে যে পরিমান অর্থ ব্যয় হয়েছে তার থেকে বেশিদামে ফলন বিক্রি করে লাভবান হওয়া যাবে বলে তার ধারণা। এখন থেকে প্রতিবছর বারোমাসী তরমুজ চাষ করা আশা প্রকাশ করেছেন।
সর্বশেষ উপজেলার সকল কৃষকরা যাতে এই তিন জাতের সবুজ, কালো ও হলুদ রঙের তরমুজ চাষ করে উপজেলা ও জেলার বাহিরেও যেন রপ্তানি করতে পারেন এই আহবান জানান তিনি।