আশুরায় তাজিয়া মিছিল, মাতম, ইমাম হোসেন ও ইসলাম অবমাননা। খলিলুর রহমান

Spread the love

আশুরায় তাজিয়া মিছিল, মাতম, ইমাম হোসেন ও ইসলাম অবমাননা। খলিলুর রহমান।

আজকের ঝলক নিউজ: অনলাইন।

১০ ই মুহররম বা আশুরা মূলত একটি শোকাবহ দিন কেননা এদিনে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ-(স:)এর দৌহিত্র ইমাম হুসাইন ইবনে আলী নির্মমভাবে শহীদ হয়েছিলেন। কিন্তু ইসলামের ইতিহাসে এই দিনটি বিভিন্ন কারণে গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়, এই দিনে আসমান ও যমিন সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিনে পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম-কে সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই দিনে আল্লাহ নবীদেরকে স্ব স্ব শত্রুর হাত থেকে আশ্রয় প্রদান করেছেন। এই দিন নবী হজরত মুসা-আ: এর শত্রু ফেরাউনকে নীল নদে ডুবিয়ে দেয়া হয়। হজরত নূহ-আ: এর কিস্তি ঝড়ের কবল হতে রক্ষা পেয়েছিলো এবং তিনি জুডি পর্বতশৃংগে নোঙ্গর ফেলেছিলেন। এই দিনে হজরত দাউদ-আ: এর তাওবা কবুল হয়েছিলো, নমরূদের অগ্নিকুণ্ড থেকে হজরত ইব্রাহীম আ: উদ্ধার হয়েছিলেন; হজরত আইয়ুব আ: দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্ত ও সুস্থতা লাভ করেছিলেন; এদিনে আল্লাহ তা’আলা হজরত ঈসা-আ: কে ঊর্ধ্বাকাশে উঠিয়ে নিয়েছেন। যদিও, ভিন্ন মতে ঘটনাগুলোর অনেকগুলোই এই দিনে ঘটেছে, আবার এই তারিখেই কেয়ামত সংঘটিত হবে; যদিও এই বিষয়ে মতভিন্নতা রয়েছে।

ইমাম হুসাইন-এর শাহাদাৎ:

হিজরী ৬০ সনে এজিদ বিন মুয়াবিয়া, পিতার মৃত্যুর পর নিজেকে মুসলিম বিশ্বের খলিফা হিসাবে ঘোষণা করে। তার সম্পর্কে বলা হয় যে সে মদ্যপানকে বৈধ ঘোষণা করেছিল। অধিকন্তু সে একই সঙ্গে দুই সহোদরাকে বিয়ে করাকেও বৈধ ঘোষণা করেছিল। শাসক হিসাবে সে ছিল স্বৈরাচারী ও অত্যাচারী। ইমাম হুসাইন এজিদের আনুগত্য করতে অস্বীকৃত হন এবং ইসলামের সংস্কারের লক্ষ্যে মদীনা ছেড়ে মক্কা চলে আসেন। মক্কা থেকে তিনি কুফার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি কারবালার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এ সময় উমর ইবনে সাদ আবি ওক্কাসের নেতৃত্বে চার হাজার সৈন্য কারবালায় প্রবেশ করে। কয়েক ঘণ্টা পর শিমার ইবনে জিলজুশান মুরাদির নেতৃত্বে আরো বহু নতুন সৈন্য এসে তার সাথে যোগ দেয়৷ কারবালায় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয় এবং যুদ্ধ শুরু হয়। এই অসম যুদ্ধে ইমাম হুসাইন এবং তার ৭২ জন সঙ্গী শাহাদৎ বরণ করেন। শিমার ইবনে জিলজুশান মুরাদি নিজে কণ্ঠদেশে ছুরি চালিয়ে ইমাম হুসাইনকে হত্যা করে। সেদিন ছিল হিজরী ৬১ সনের ১০ মুহররম।

বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (স:) এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন রা: বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (স:) এর প্রতিষ্ঠিত দীন পৃথিবীর বুকে টিকিয়ে রাখার প্রানপন চেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে গিয়েই কারবালায় ইসলাম বিরোধী শক্তির সাথে লড়াই করে শহীদ হয়েছেন।
কিন্তু তার কথিত অনুসারীরা তার রেখে যাওয়া আদর্শ বাদ দিয়ে এভাবে তার প্রতি শোক প্রকাশ করছে যা ইসলাম ও ইমাম হোসেনের শাহাদাতের প্রতি অবমাননার শামিল।

ইমাম হোসেনের প্রতি ভালবাসার নামে ইসলাম এবং কোরআন সুন্নাহ বিরোধী কর্মকান্ড এর থেকে প্রকৃত মুসলমানদের ফিরে থাকতে হবেই।

লেখক ও কলামিষ্ট; মো: খলিলুর রহমান।
বিবিএস, মার্কেটিং, এমবিএস, মার্কেটিং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
এল, এল, বি অধ্যয়নরত, বাড্ডা ল, কলেজ, ঢাকা।
বর্তমানে ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »