এসডিজি অর্জন করতে হলে নিতে হবে জরুরী পদক্ষেপ
গুনগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে; শিক্ষকদের কথা ভাবুন
মার্চ ০৬ ২০২১, ১৭:০৯
এসডিজি অর্জন করতে হলে ; শিক্ষকদের কথা ভাবুন
আজকের ঝলক : এসডিজি অর্জন করতে হলে ; শিক্ষকদের কথা ভাবুন । শিক্ষকদের ছাড়া গুননত মানের শিক্ষা অর্জন করা সম্ভব নয় । আর টেকসই লক্ষ্য উন্নয়নের অন্যতম লক্ষ্য হলো গুনগত শিক্ষা ।
এসডিজিতে শিক্ষ সংক্রান্ত লক্ষ্য :
ইতিমধ্যে বিভিন্ন সেমিনারে বিভিন্ন দেশের শিক্ষকমণ্ডলী তাঁদের স্ব-স্ব দেশের শিক্ষা কাঠামো, ব্যবস্থাপনা, সংকট এবং সম্ভাবনার প্রেক্ষিতে ‘এসডিজি-৪ লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনের উপায়গুলো তুলে ধরেন।
এ সময় তাঁরা শিক্ষকদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য প্রয়োজনে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহারের মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় প্রশিক্ষণ আয়োজনের পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়া কারিগরি এবং দক্ষতা ভিত্তিক ই-লার্নিং-এর পাশাপাশি সমৃদ্ধ জাতি গঠনে শিশুদের পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। এক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগের সমন্বয়ে শিক্ষা কাঠামো গঠনের পরামর্শও উঠে আসে।
আইনমন্ত্রীর মতে মানসম্মত শিক্ষা
আনিসুল হক বলেন, কিছু মানুষকে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করাই মানসম্মত শিক্ষা নয়। মানসম্মত শিক্ষা সবার জন্য নিশ্চিত করতে হবে। সরকার মানসম্মত ও বৈষম্যহীন শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। তা সত্ত্বেও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা সম্ভব হয়নি। এর অন্যতম কারণ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সরকারি, বেসরকারি, এমপিওভুক্ত, নন-এমপিওভুক্ত, বাংলা মাধ্যম, ইংরেজি মাধ্যম, মাদ্রাসা শিক্ষাসহ বহুরকম শিক্ষা কার্যক্রম চলমান।
প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে গুনগত শিক্ষা
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার নানা ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে আছে প্রধান শিক্ষকদের পদ দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা, সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীত করা, ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগ করা, শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানসম্মত পাঠদানের উপযোগী-দক্ষ করে গড়ে তোলা, এক বছরের সিইনএড প্রশিক্ষণ কোর্স পরিবর্তন করে দেড় বছরের ডিপিইনএড কোর্স যুগোপযোগী ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার মতো চমৎকার ও যুগোপযোগী সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া শিক্ষক সংকট নিরসনে ‘পুল প্যানেল’ শিক্ষক ছাড়াও লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ১০ বছর আগেও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা মূলধারায় ছিল না।
শিক্ষকদের জন্য যেসকল পদক্ষেপ গ্রহন করা প্রয়োজন
টেকইস লক্ষ্য উন্নয়নের ৪ নং লক্ষটি অর্জন করতে হলে শিক্ষকদের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে । শিক্ষকরা যাতে শিক্ষায় মনোনিবেশ করতে পারে সেজন্য তাদের যৌক্তিক দাবীগুলোর প্রতি সরকারের মনোযোগ দেয়া উচিত বিশেষ করে ।
১. জাতীয়করণ ইস্যু ।
২. শিক্ষকদের বেতন বৈশম্য দূর করা ।
৩. শিক্ষকদের বিভিন্ন কর্তন বিষয়ক দাবী বিবেচনা করা ।
৪. শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত বেতন কাঠামো নির্ধারণ ।
৫. প্রাথমিক শিক্ষকদের ডিপিএড প্রশিক্ষণের পরে বেতন কমে যাওয়ার বিষয়
৬. শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয় ইত্যাদি ।
উপরোক্ত বিষয়গুলো অন্যান্য দেশের শিক্ষানীতি বিশ্লেষণ করে দেশের শিক্ষা নীতি ও শিক্ষকদের জন্য করণীয় ঠিক করা অত্যান্ত জরুরী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা ।
ডিপিএড সনদ জমা দিতে আগ্রহ নেই অনেক শিক্ষকের
https://www.youtube.com/watch?v=ZJU8fl0LgQA&list=RDMMZJU8fl0LgQA&start_radio=1