বিতর্কিত কর্মকান্ডে চলছে গ্রামীণ ব্যাংক!

ডিসেম্বর ২০ ২০২২, ০৯:৩২

Spread the love

বিতর্কিত কর্মকান্ডে চলছে গ্রামীণ ব্যাংক!  অনিয়ম,দূর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ নানান অভিযোগ

গ্রামীণ ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ মাঠ পর্যায়ে কর্মরতদেরকে ঋণগ্রহীতাদের টাকা তছনছ করতে বাধ্য করার পাশাপাশি নিয়োগ,বদলি ও অডিটর হিসেবে পোস্টিং দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।সরকারি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে বন্ধের দিন শনিবার বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতেও বাধ্য করে চলেছেন। 

 

বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার সময়ে গ্রামীণ ব্যাংকের আদায় হার ১০০% করতে ও খেলাপী ঋণ কমাতে মরিয়া হয়ে ওঠেছেন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

মাঠ পর্যায়ে কর্মরতদের উপর অযৌক্তিক,কাল্পনিক ও অবাস্তব পরিকল্পনা চাপিয়ে দিয়ে বাধ্য করছেন হতদরিদ্র মানুষদের টাকা  তছরুপ,২৩/২৬ সপ্তাহে ঋণ প্রস্তাবের সময় প্রয়োজন অতিরিক্ত সুদ নিতে ও এককালীন আদায়ে কারচুপি করতে।যাঁরা এগুলো করতে পারছেন না, তাঁরা তথাকথিত স্বেচ্ছায় অবসরে যাচ্ছেন।


ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ মাঠ পর্যায়ে শুধুমাত্র  ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে গিয়ে এগারো বছর চাকরি করা জনাব মোঃ ওবায়দুল ইসলাম’কে ১৩ বেসিক দিয়ে টার্মিনেশন করে দিয়েছেন,অথচ ১০ বছর চাকরি করলে ৫০% পেনশন দেওয়ার নীতিমালা রয়েছে।নামহীন ফেইসবুক পোস্টে কমেন্ট করার জন্য জনাব মোঃ আবু কাউছার’কে কিশোরগঞ্জ থেকে পিরোজপুর বদলি করার পাশাপাশি স্থায়ী ভাবে বার্ষিক একটি ইনক্রিমেন্ট বাতিল করেও ক্ষান্ত হননি তথাকথিত স্বেচ্ছায় অবসরে যেতেও বাধ্য করেছেন।

পক্ষান্তরে জনাব মোঃ আঃ আজিজ (এরিয়া ম্যানেজার) বিধবা নারীকে বিবাহ বহির্ভূত গর্ভবতী করার অপরাধে দেওয়া হয়েছে সতর্কীকরণ,পুরস্কার হিসেবে বানিয়েছেন বিভাগ প্রধান।


চুরিচামারি করতে না পারা কর্মকর্তা-কর্মচারী’কে অসময়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়িয়ে তথাকথিত স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে বাধ্য করেছেন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ,এ-ই ভাবে বাধ্য করা একজন জনাব মোঃ সোহেল,পদবী অফিসার,পরিচিত নং-৪৪০৬০,সর্বশেষ কর্মস্থল গ্রামীণ ব্যাংক,বরিশাল জোন,চরামদ্দি বাকেরগঞ্জ শাখা।

জনাব মোঃ সোহেল বলেন,পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন সদস্য সংগ্রহে ভূয়া ফরম পূরণ,১০০% আদায়,টেন ড্রপ জমা,খেলাপী ঋণ আদায় করতে গিয়ে বেতনের টাকা দিতে হয়েছে। যদি কেউ বেতনের টাকা দিতে না চান তাহলে তাঁকে হতদরিদ্র ঋণ গ্রহিতাদের টাকা চুরি করে এই সমস্ত কাজে জমা দিতে বাধ্য করেছেন।

তিনি আরও বলেন,অবস্থাটা এমন যে, চুরি করো,চুরি করতে না পারলে নিজের পকেট থেকে দাও, তা-ও যদি না পারো তবে বাড়ি চলে যা-ও।বিবেকার তাড়নায় হতদরিদ্র মানুষদের টাকা চুরি করতে পারিনি,প্রতিনিয়ত পরিবারকে ঠকিয়ে বেতনের টাকা জমা দিতে দিতে হাঁপিয়ে উঠছিলাম বলেই’ আমাকে চাকরির বয়স থাকা সত্ত্বেও অসময়ে ব্যাংক ছাড়তে হয়েছে।আমার মতো হাজার হাজার কর্মরতকে কৃত্রিম বেকার বানিয়ে পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছেন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

কর্মরত-অবসরপ্রাপ্ত একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যে সকল কারণে নির্যাতন-নিপীড়নসহ অন্যায়-অবিচার করেন এবং যে-ই পদ্ধতিতে হতদরিদ্র মানুষদের টাকা চুরিচামারি করতে হয়,তা পৃথিবীর কোন মানুষ বিশ্বাস করবেন না। যাঁর জন্য ব্যাংক থেকে নির্যাতিত নিপীড়িত হয়ে বাড়ী যাওয়ার পর পরিবার থেকেও পেতে হয় মিথ্যাবাদীর তকমা। 

 

জনাব মোঃ আশিকুর রহমান,সিনিয়র কেন্দ্র ব্যবস্থাপক,পরিচিতি নং-৪৯৯৩১ বলেন,ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আমাকে বেআইনি ভাবে আশুগঞ্জ থেকে ঠাকুরগাঁও বদলি,আদালতের আদেশ নির্দেশ অমান্য করে এবং সম্পূর্ণ বে-আইনী ভাবে ১৮৬দিন বিনাবেতন জৈষ্ঠতা কর্তনসহ মানসিক নির্যাতন নিপীড়ন এতোটাই করেছেন যে ঠাকুরগাঁও যোগদান করে ৮১দিনের মধ্যে ৪৫দিন ছুটি কাটাতে বাধ্য হয়েছি,যখন কর্তৃপক্ষের মাত্রাতিরিক্ত মানসিক টর্চার ও স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন দেওয়ার পিড়াপিড়ি আর সহ্য করতে পারছিলাম না তখন বাধ্য হয়ে তথাকথিত স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন দিয়েছিলাম। 

নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম ও দূর্নীতিঃ


নতুন নিয়োগে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ঘুষ গ্রহন ও স্বজনপ্রীতি করেছেন।কিছুদিন পূর্বে ফেইসবুকে নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে অফিসার মুকুল ও এমডির পিএস নজরুল ইসলাম এ-র মধ্যে মোবাইলে হওয়া কথোপকথন এ-র অডিও রেকর্ড ফাঁস করেছেন জনাব মোঃ সাইদুল আরেফিন নামক এক ব্লগার।

সেই রেকর্ডটিতে শুনা যাচ্ছে বর্তমান এমডি’র শ্যালক জনাব মোঃ মাহাবুবুর রহমান এ-র মাধ্যমে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ম্যানেজার বানানোর চুক্তি হয়েছিল।সেই দুই লাখের এক লাখ টাকা জনাব মোঃ মাহবুবুর রহমান মুকুলের কাছে থেকে নিয়ে গিয়েছেন।বাকী টাকা মাহাবুবকে না দিয়ে পিএ’কে দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন পিএ জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম।

কলরেকর্ডটিতে এক পর্যায়ে পিএ বলেন,হেড অফিস টাকা দিতে হয়।যাঁরা কাজ করবে তাঁদেরকে টাকা না দিলে আপনার চাকুরি হবেনা, মাহবুব’তো এক টাকাও দেয়নি।তিনি আরও বলেন আপনার নিকট থেকে’তো কমই নেওয়া হচ্ছে,আগের বার’তো তিন-চার লাখ করে নিয়েছে।জনাব সাইদুল আরেফিন তাঁহার  ভিডিওতে বলেন,বর্তমান এমডি জনাব মোঃ আব্দুর রহিম খাঁন মাত্র ৯মাস এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় নিয়োগ বাণিজ্য ও দূর্নীতি করে ৬টি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন।ক্রয়কৃত ফ্ল্যাট গুলোর ঠিকানাও তিনি উল্লেখ করেছেন।

 

এছাড়াও জনাব মোঃ মাহবুবুর রহমান এ-র  শিক্ষানবিশ কেন্দ্র ব্যবস্থাপক,অফিসার নিয়োগ বাণিজ্য চুক্তির একাধিক কলরেকর্ড আমাদের হাতে এসেছে।যেগুলোতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক  এ-র কথা উল্লেখ রয়েছে।

ইতিমধ্যে স্বজনপ্রীতি করে বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ আব্দুর রহিম খাঁন নিজের ছেলেকে,সাবেক এমডি জনাব আবুল খায়ের মোহাম্মদ মনিরুল হক এ-র  ভাতিজা’কে এবং আরেক সাবেক এমডি জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার এ-র ভাতিজা-ভাতিজীকে চাকুরি দিয়েছেন।

সাবেক জোন প্রতিনিধি কুড়িগ্রাম জনাব মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম কর্তৃক একাধিক ব্যক্তি থেকে বিভিন্ন কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ভুক্তভোগীরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।উক্ত জোন প্রতিনিধি ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে জোনাল ম্যানেজার জনাব মোঃ আতৌয়ার আলী খাঁন এ-র গাড়ি থামিয়ে মারধরসহ অপমান অপদস্তও করেছেন।

জোনাল ম্যানেজার জনাব মোঃ আতৌয়ার আলী খাঁন বলেন,আনোয়ারের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে সবগুলোই সত্যি।সেই অভিযুক্ত আনোয়ার’কে ম্যানেজার বানানোর বিষয়ে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত অনেকেই বলছেন টাকা ছাড়া কখনো এ-ই ধরনের অপরাধী’কে ম্যানেজার বানানো হতোনা।

অভিনব কৌশলে বদলি বাণিজ্যঃ


অহেতুক নিরপরাধ জনাব মোঃ শাহআলম (অফিসার, কর্মরত)কে সিরাজগঞ্জ থেকে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় বদলি করার পর এমডি’র শ্যালকের মাধ্যমে ৮০,০০০৳(আশি হাজার টাকা মাত্র) নিয়েছেন আবারও সিরাজগঞ্জ বদলির কথা বলে।

জনাব মোঃ শাহআলম বলেন,প্রধান কার্যালয় থেকে অহেতুক ৪০০ কিঃমি দূরে বদলি হওয়ার কিছুদিন পর আমার নতুন কর্মস্থলে দিনাজপুর জোনাল অফিসের গাড়ী ও ড্রাইভারসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে বর্তমান এমডি স্যারের শ্যালক মাহবুব আমার সাথে দেখা করে বলেন, উনাকে ৮০,০০০৳ (আশি হাজার টাকা) দিলে আমাকে পূর্বের কর্মস্থলে পুনরায় বদলি করিয়ে দেবেন।নিরুপায় হয়ে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ঋণ তুলে উনাকে ৮০,০০০৳(আশি হাজার টাকা) দিয়েছি,কিন্তু এখনো আমার বদলি হয়নি।

মাহাবুব’কে টাকা দিয়ে বদলি হওয়া যাবে এটা কীভাবে বুঝতে পেরেছেন বললে তিনি বলেন,যে-ই ব্যক্তি জোনাল ম্যানেজারের ড্রাইভার সমেত জোনাল অফিসের গাড়িতে করে ভিন্ন জোনে আসতে পারেন,সেই ব্যক্তির জন্য বদলি কোন বিষয় না,কেননা জোনাল ম্যানেজার নিজেও গাড়ি নিয়ে ভিন্ন জোনে যাওয়ার নিয়ম নেই।

বদলি ও নিয়োগের জন্য টাকা নেওয়ার বিষয়  জানতে চেয়ে জনাব মোঃ মাহাবুবুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে।তিনি নিজের নাম গোপন করে নিজেকে মাহাবুবের বন্ধু বলে পরিচয় দেন এবং মাহাবুব আসলে ফোন দিতে বলবেন বলে আশ্বস্ত করেন।পরবর্তীতে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জোনাল ম্যানেজার দিনাজপুর জনাব মোঃ আব্দুর রহমানের নিকট এমডি’র শ্যালক জোনাল অফিসের ড্রাইভার সমেত গাড়ি নিয়ে ভিন্ন জোনে যাওয়ার এবং বদলির আশ্বাস দিয়ে টাকা নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের কাছে যেহেতু প্রমান রয়েছে সেহেতু আমার কাছে জানার কিছু’ই নেই।

ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও পরিচালনা পর্ষদের সমন্বয়ে তৈরি করা অডিট পোস্টিং নীতিমালা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ লঙ্ঘন করে অডিটর বানানোঃ


অডিট টীম সহযোগী পোস্টিং নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে যে চাকরি জীবনে ইনক্রিমেন্ট বাতিল হওয়া কাউকে অডিটর বানানো যাবেন না। এছাড়াও সিনিয়র অফিসার পাওয়া না গেলে অফিসার নেওয়ার কথা স্পষ্ট উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও বিগত ০৯|১১|২০২২ইং অডিট টীম সহযোগী হিসেবে প্রশিক্ষণের জন্য যেই ২২(বাইশ) জন কর্মকর্তাকে ডাকা হয়েছে তাঁদের মধ্যে ০৫(পাঁচ)জন’ই অফিসার।সেই ০৫(পাঁচ)জনের মধ্যে একজন জনাব মোঃ জহুরুল ইসলাম এপ্রিল/২২ পদোন্নতি পাওয়া অফিসার।অথচ মাঠপর্যায়ে হাজার হাজার সিনিয়র অফিসার কেন্দ্র কালেকশন করছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে অডিট টীম সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পেতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

জনাব মোঃ জহুরুল ইসলাম অডিট পোস্টিং নীতিমালার সবগুলো কাইট্যারিয়াতে’ই অযোগ্য। উনার চাকরিজীবনে তিনটি ইনক্রিমেন্ট বাতিল হওয়ার পাশাপাশি দুইবার ওএসডি হয়ে এরিয়া অফিস দায়িত্বহীন অবস্থায় থাকার ইতিহাস রয়েছে।সেই জহুরুল’কে অডিট অফিস রাজশাহী পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। এ-ই বিষয়ে একাধিক সিনিয়র অফিসার বলেন,টাকার বিনিময় ছাড়া জহুরুল অডিটর হননি।

বিভাগ প্রধান অভ্যান্তরিন নিরীক্ষণ ও পতিপালন জনাব মোঃ লিয়াকত আলী খান বলেন,আমাদের কাজ শুধুমাত্র চাহিদা দেওয়া।প্রশিক্ষণে ডাকা ও পোস্টিং দেওয়ার কাজ করেন মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।কাইট্যারিয়ায় অযোগ্যকে অডিটে পোস্টিংয়ের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন এ-ই ধরনের কেউ অডিটে পোস্টিং পাওয়ার কথা না।

 

নিয়োগ,বদলি বাণিজ্য ও টাকার বিনিময়ে অডিট পোস্টিং এ-র বিষয় জানতে চেয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ আব্দুর রহিম খাঁন এ-র মোবাইলে কল দিলে তিনি এ-ই সব বিষয়ে মোবাইলে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং সরাসরি উনার অফিসে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান।

সংবাদ সূত্র: গ্রামীন দর্পন।

এনজিও ক্যারিয়ারে যা করবেন

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা এনজিও কর্মী

https://www.youtube.com/@jholoktv7002



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »