কুড়িগ্রামে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে চাল হরিলুটের অভিযোগ

Spread the love

কুড়ি’গ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউপি সদস্য ছা’মছুল হকের বিরু’দ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্ম’সূচির রেশন কা’র্ডের চাল হ’রিলুটের অভি’যোগ উঠেছে। বিগত ২০১৬ সাল থেকে’ এ পর্যন্ত ৪০ জ’ন কা’র্ডধারীর ৩০ কেজি ক’রে ১৭ দফা চাল আ’ত্নসাত করে ৭ লা’খ ৩৪ হাজার টা’কা লুট করা হয়েছে বলে’ তার বিরু’দ্ধে অভিযোগ। শুধুই তাই ন’য় মৃত দুই ব্যক্তির নামে’ও চাল উত্তোলন করে আসছি’লেন তিনি।

অপ’রদিকে, রেশন কার্ড’ধারীর মধ্যে রয়েছে তা’র স্ত্রী, দুই ছেলে, নিজে’র ভাই, চাচা, চাচী ও চাচা’তো ভাইসহ আপন পরিবারে’র ২০ জন স’দস্য। জেলা প্রশাসক ও উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তাসহ একাধিক দ’প্তরে এ ব্যাপারে অভি’যোগ দেয়া হ’য়েছে কার্ডধা’রীদের পক্ষ থে’কে।

সদর উপজেলার যাত্রা’পুর ইউনিয়’নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য’ ছামছুল হ’কের নামে খাদ্য’বান্ধব কর্মসূচির আও’তায় ১৮৮জনের রে’শন কার্ডের বরাদ্দ আ’সে।তিনি অত্যন্ত সুকৌ’শলে সেসব কার্ডের অ’ধিকাংশ আত্ন’সাত করেন।

২০১৬ সালের ২১ অ’ক্টোবর থেকে ২০২০ সা’লের ৫ অ’ক্টোবর পর্যন্ত তিনি ৪০ জনে’র নামে বরা’দ্দকৃত কার্ড গোপ’ন করেন। তাদে’র নামে আসা চাল অ’ন্যদের মাধ্যমে আ’ত্মসাত করে আসছিলে’ন। সরকার অন’লাইনে কার্ড প্রেরণে’র প’দ্ধতি চা’লু করায় তার এ অ’পকর্ম ধরা পড়ে।

প্রতি’জন ৩০ কেজি হি’সেবে ৪০টি কার্ডে এক’দফা চাল ওঠে ১ হা’জার ২শ’ কেজি এবং সে হিসে’বে তিনি ১৭ দফা’য় ২০ হাজার ৪শ’ কেজি উ’ত্তোলন করেছেন। যার প্রতি কেজি ৩৬ টাকা হিসে’বে মূল্য দাঁড়ায় ৭ লা’খ ৩৪ হাজার ৪শ’ ‘টাকা।

‘কার্ডধারী মমিনা বেগম ও আমি’ন উদ্দিন জানান, আ’মরা এই করোনা আ’র বন্যার সময় না খে’য়ে দিন পার কর’ছি। অথচ সর’কার আমাদের নামে কার্ড বরা’দ্দ দিলেও ছা’মছুল হক মেম্বার সে’সব কার্ড গোপন করে নি’জে তা তুলে খাই’ছেন। আমরা আমা’দের নামে বরাদ্দ দেয়া চাল ফে’রত চাই ও মেম্বারে’র বিচার চাই।

এ নি’য়ে ডিলার সাই’ফুর রহমান জানান, এই ওয়া’র্ডের অনেক কার্ডধা’রী নিজে চাল নিতে আসে’ন না। তারা ছেলে মেয়ে বা আত্মীয়ে’র নাম বলে কার্ড নিয়ে আ’সে। আমি চাল দিতে’ না চাইলে মেম্বা’র ছামছুল হক তাদে’রকে চাল দিতে সুপা’রিশ করে। অনলা’ইন চালু হওয়ায় সে’প্টেম্বর মাসে এখনও ২৩টি কা’র্ডের চাল এখনো কে’উ গ্রহণ কর’তে আসেনি।

এ ব্যাপা’রে ইউপি সদস্য  ছাম’ছুল হক তার বিরু’দ্ধে অভিযোগ অস্বীকা’র করে বলেন, কা’র্ড ইস্যু করার ব্যা’পার একমাত্র চেয়া’রম্যানের। কার নামে কা’র্ড হয়েছে বা কারা চাল তু’লে খাচ্ছে সব কিছু আ’মার জানা নেই। আ’মার বিরুদ্ধে আমা’র প্রতিপক্ষ আ’মাকে হেয় করার জন্য মিথ্যা’ অভিযোগ করে’ছে। নিজের ছেলে’ স্ত্রীর কা’র্ড পাবার বিষয় স্বীকা’র করেন এবং উপযু’ক্ততা রয়ে’ছে বলে জানান। তবে স্ত্রী’’র নামে কার্ড করা’টা ভুল হয়েছে বলে জা’নান তিনি।

মৃত ব্য’ক্তিদের চাল আ’ত্নসাতের ব্যাপারে তি’নি বলেন, আমার চেয়া’রম্যানের সম্মতি’তে এসব হয়েছে। তবে ই’উপি চেয়ার’ম্যান আ’ইয়ুব আলী সরকার তার ‘বিরুদ্ধে অভি’যোগ অস্বীকার করে ব’লেন, তদন্ত করে ছা’মছুলের ব্যবস্থা নে’য়ার আবেদন ক’রেছেন ভুক্তভো’গীরা।

সদর উপ’জেলা নির্বাহী অফিসা’র নিলুফা ইয়া’ছমিন অ’ভিযোগ বিষয়ে জানান, ‘আমি কেবলমাত্র অভি’যোগটি হাতে পেয়েছি। খোঁজ-খব’র নিয়ে যাচাই করে এরপর সি’দ্ধান্ত নেয়া হবে।’



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »