ভ্যানচালককে গলাকেটে হত্যার কারণ জানালেন দুই আসামি
নভেম্বর ০৫ ২০২০, ২২:৫৪

রাজশাহীর চারঘাট উ’পজেলার ভ্যানচালক জালাল উদ্দিনের (৬০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উ’দঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘট’নার সঙ্গে জড়িত দু’ই জনকে শনাক্তের প’র গ্রেফতার করা হ’লে এ হত্যাকাণ্ডের র’হস্য বেরিয়ে আসে। দুই আ’সামি জানিয়েছেন, ভ্যান ছিন’তাইয়ের জন্যই জালালকে হ’ত্যা করা হয়।
দুই আ’সামি হলেন, উপজেলার আ’স্করপুর গ্রামের মৃত রোস্তম আ’লীর ছেলে মিনুরুল ইসলাম (৩০) এবং এ’কই গ্রামের মৃত মকছেদ আ’লীর ছেলে মাসুদ রানা (৩২)।
বৃ’হস্পতিবার তারা এ হত্যাকাণ্ডে জ’ড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধা’রায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জ’বানবন্দি দিয়েছেন। জেলা পুলি’শের মুখপাত্র ও অ’তিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফ’তেখায়ের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে’ছেন।
তিনি জা’নান, হত্যাকাণ্ডের পর থে’কেই পুলিশ এর রহস্য উ’দঘাটনের জন্য কাজ করে যা’চ্ছিল। তদন্তের এ’কপর্যায়ে মিনুরুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উ’ঠে আসে। তাই গত মঙ্গলবার রা’তে প্রথমে মিনারুলকে তার নি’জ গ্রাম থেকে আটক ক’রা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভি’ত্তিতে মাসুদ রানাকে বুধ’বার চারঘাটের সারদা বা’জার থেকে আটক করা হয়। তা’রা দুজনই হ’ত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার ক’রেন।
তাই বৃ’হস্পতিবার তাদের হত্যা মা’মলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আ’দালতে তোলা হয়। তখন তারা হ’ত্যার দায় স্বীকার করে আ’দালতে জবানবন্দি দেন।
আসামিরা আ’দালতে জানিয়েছেন, মূলত জা’লাল উদ্দিনের ভ্যান ছিনতাই ক’রার জন্যই তাকে হত্যা ক’রা হয়। তারা গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে সারদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বসে একটি ভ্যান ছি’নতাই করার পরিকল্পনা ক’রেন। সে মোতাবেক তারা দুইজনে সেদিন সন্ধ্যায় চার’ঘাটের চৌরাস্তার মোড় থেকে ঝি’কড়া যাওয়ার কথা বলে জালাল উদ্দি’নের ইঞ্জিনচালিত ভ্যান ভাড়া করেন। পথে বালিয়াডাঙ্গা গ্রা’মে নির্জন জায়গায় পৌঁ’ছে মাসুদ রানা ভ্যানচালক জালাল উদ্দিনের গলার ডান পাশে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে’ন। এ সময় জালাল উদ্দিন চিৎ’কার শু’রু করলে আসামিরা ঘটনাস্থল থে’কে দ্রুত পালিয়ে যান।
অতিরিক্ত পু’লিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম জানান, এ হ’ত্যাকাণ্ডে মিনুরুল ও মাসুদ রানা ছাড়া আর কা’রও সম্পৃক্ততা নেই। দুই আসামিই গ্রেফতার হ’য়েছেন। হত্যাকাণ্ডের রহস্যও উদ’ঘাটন হয়েছে। এখন দ্রুত সময়ের ম’ধ্যে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল ক’রা হবে।
উল্লেখ্য, মৃত জা’লাল উদ্দিন চারঘা’টের মেরামতপুর গ্রামের বা’সিন্দা ছিলেন। তার বাবা’র নাম মৃত জাদব আ’লী। গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা’র পর রাস্তা’র পাশে স্থানীয়রা তা’কে গলাকাটা অবস্থায় পা’ন। এরপর তাকে উপজে’লা স্বাস্থ্য ক’মপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্য’রত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘট’নায় তার ছেলে আবদুল মা’নিক অজ্ঞাতনামা আসামিদের বি’রুদ্ধে চারঘাট থানায় একটি হত্যা মা’মলা দায়ের করেন।