প্রয়োজন সহ:ব্যবস্থা

জেলেদের চাল দেয়া একমাত্র সমাধান নয়

সেপ্টেম্বর ১৮ ২০২৫, ১৩:৩০

Spread the love

মৎস্যজীবীদের মাঝে চাল বিতরণ একমাত্র সমাধান নয় প্রয়োজন সহ:ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিনিধি

বাংলাদেশে মৎস্য অবরোধ (fishing ban) সাধারণত সামুদ্রিক অঞ্চলে প্রজনন মৌসুমে মৎস্যসম্পদ রক্ষা ও পুনরুজ্জীবনের উদ্দেশ্যে আরোপ করা হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে ২০২৫ সালে মৎস্য অধিদপ্তর ঘোষণা করেছে যে বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন, মোট ৫৮ দিন সময়ের জন্য মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

পূর্বে হয়তোবা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল, তবে তা সংক্ষিপ্ত করে এই ৫৮ দিনে আনা হয়েছে।

মাছ ধরার অবরোধকালীন সময়ে

  • প্রজনন মৌসুমে মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর জীবনচক্র বিপর্যয় না হয় তা নিশ্চিত করা।

  • ইলিশসহ অন্যান্য বাজারোপযোগী মাছের উৎপাদন বাড়ানো।

  • সামুদ্রিক মাছের ভারসাম্য রক্ষা ও মাছের প্রজননক্ষেত্র (breeding grounds) রক্ষা করা।

  • জেলেরা এই সময়ে মাছ ধরতে পারবে না, ফলে তাদের অর্থনৈতিক কার্যকলাপে প্রভাব পড়বে।

  • সরকার এই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের জন্য চাল বা অন্য সহায়তা দিতে পারে; উদাহরণস্বরূপ, ২০২৫ সালে প্রতি জন মৎস্যজীবীর জন্য ৭৮ কেজি চাল দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।

  • পাশের বা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সময় মিলিয়ে নিষেধাজ্ঞা না হলে অবৈধ মাছ ধরার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে

    অভয়াশ্রমে মাছ ধরার অবরোধ

    অভয়াশ্রম বলতে নদী বা হাওরের নির্দিষ্ট অংশকে বোঝায়, যেখানে নির্দিষ্ট মৌসুমে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

    সময়কাল (প্রধানত ইলিশের জন্য):

    • অক্টোবর মাসে ২২ দিন: ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে সারা দেশের নদ-নদীতে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

    • মার্চ–এপ্রিল (২ মাস, ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত): হালদা, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা প্রভৃতি নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে।

    অভয়াশ্রমের প্রধান এলাকা:

    মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক ঘোষিত ৬টি ইলিশ অভয়াশ্রম হলো –

    1. চাঁদপুরের মেঘনা নদীর অংশ

    2. লক্ষ্মীপুর–ভোলা অঞ্চলের মেঘনা নদীর মোহনা

    3. ভোলার চরFashion থেকে চরপাল্টন এলাকা

    4. বরিশালের শাহবাজপুর নদীর অংশ

    5. পটুয়াখালীর আন্দারমানিক নদী

    6. হালদা নদী (বিশ্বের একমাত্র প্রাকৃতিক কার্পজাতীয় মাছের প্রজনন ক্ষেত্র)
      জেলে পরিবারে নারীদের স্বাবলম্বী করতে করণীয়জেলেদের আয়ের উৎস্য ও বার্ষিক আয়জেলেদের বয়স কাঠামো, শিক্ষা ও সামাজিক অবস্থানজেলে তালিকা সংশোধন করা হবে

  •  দেখা যায় এলাকাভেদে অনেক সময় জেলেরা মাছ ধরতে পারেনা। কিন্তু উক্ত সময় তাদের ভিজিএফ এর মাধ্যমে বিভিন্ন পরিমানে চাল বিতরণ করা হয় কিন্তু এটা একমাত্র সমাধান হতে পারেনা। জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে এবং প্রকৃতভাবে অবরোধ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন কো-ম্যানেজমেন্ট/সহ: ব্যবস্থাপনা সহ: ব্যবস্থাপনাই হতে পারে একমাত্র সমাধান, সেক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার, মৎস্য অধিদপ্তর, আড়ৎদার, টলার মালিক ও মৎস্য শিকারীদের সমন্বয় একটি সহ: ব্যবস্থাপনা গ্রহন করলে এই সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। প্রত্যেক জেলের আইডি থাকবে মাঝ ধরা বন্ধকালীন সময়ে সকল নৌকা আড়ৎদার/বোট মালিকদের জিম্মায় থাকবে। জেলেদের ঐ সময়ে তাদের সঞ্চয় থেকে বা ঋণ দিয়ে জীবন-যাপন করবে । তাহলে আর মৎস্য পাহাড়া দেয়ার জন্য বাহিনীর প্রয়োজন হবেনা।

স্বাক্ষাতকার: মোঃ জহিরুল ইসলাম,

https://www.youtube.com/shorts/Yg8K7U312m4



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »