এআর সোহেব চৌধুরী চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধিঃ উপকূলের সমস্যা, সংকট, সম্ভাবনা, উপকূল মানুষের ন্যায্যতা দাবিসহ ১৯৭০ সালে ১০ লাখ নিহতদের স্বরণে ভোলার চরফ্যাশনে ভয়াল সেই বার নভেম্বর ট্রাজেডি দিবস পালিত হয়েছে।
গত দুই বছর এই দিবসটি রাষ্ট্রীয় ভাবে স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে ” উপকূল দিবস” হিসেবে পালন করা হয়। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে উপকূল ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২নভেম্বর) সকালে চরফ্যাশন প্রেসক্লাবের আয়োজনে মানববন্ধন ও ক্লাবভবনে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন উপকূলের সংকট,সমস্যা,সম্ভাবনা এবং উপকূলের মানুষের অধিকার ও ন্যায্যতা ও রাস্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে উপকূলজুড়ে প্রতিবছর দাবি অব্যাহত থাকবে। আজ উপকূলবাসীর কাছে সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় এই শোকাবহ দিনটি।
বক্তারা আরও বলেন বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের উপকূলের নতুন নতুন দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এই বিষয় সম্পর্কে মানুষকে আরও সচেতন করে তুলতে দিবসের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। উপকূলের চারণ সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টুর সার্বিক পৃস্টপোষকতায় উপকূল ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকারের কাছে দাবি সমূহ- প্রথমতঃ উপকূলের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, দ্ব দ্বিতীয়তঃউপকূলকে প্রাকৃতিক বিপদ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবমুক্ত রাখা, তৃতীয়তঃ উপকূলের দিকে নীতিনির্ধারণী মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ; চতুর্থতঃ উপকূলের মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা; পঞ্চমতঃউপকূলের সম্ভাবনা বিকাশের পথ সুগম করা; ষষ্ঠতঃউপকূলের দিকে দেশী -বিদেশী প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার নজর বাড়ানো।
সপ্তমতঃউপকূলের ইস্যুগুলো জাতির সামনে তুলে আনা।অষ্টমতঃ১৯৭০ নবমতঃ১৯৭০সালের ১২ নভেম্বরের সাইক্লোনে নিহতদের স্মরণে রাস্ট্রীয়ভাবে উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষনা করা
মানব বন্ধনে অংশগ্রহনকারী উপকূল ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা জানান জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ থেকে উপকূলের জন্য ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর দিনটি আরও গুরুত্বপূর্ণ।জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা(ডব্লিউএমও) বিশ্বের পাঁচ ধরনের ভয়াবহ প্রানঘাতি আবহাওয়া ঘটনার শীর্ষ তালিকায় বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৭০ এর ভয়াল ১২ নভেম্বরের ঘূর্ণিঝড়টিকে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাণঘাতি ঘূর্নিঝড় হিসেবে উল্লেখ করেছে।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন, চরফ্যাশন প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল হাসেম মহাজন, সাধারন সম্পাদক মনির আহম্মেদ শুভ্র,প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি
এম আবু সিদ্দিক,সহসভাপতি ইয়াছিন আরাফাত, নির্বাহী সদস্য কামাল মিয়াজি, প্রভাষক নজরুল ইসলাম,যুগ্ন-সম্পাদক নোমান শিকদার, বার্তা সম্পাদক কামরুল শিকদার, প্রচার সম্পাদক অশোক সাহা ও সদস্য লোকমান হোসেন,মাহবুবর রহমান নাজমুল,এশিয়ান টেলিভিশন ভোলা দক্ষিণ প্রতিনিধি মো. ইলিয়াস আহমেদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।