বিচার দেখে যেতে পারলে বাচ্চাটার আত্মা শান্তি পাবে: রায়হানের মা
নভেম্বর ০৯ ২০২০, ২১:১৫

ঘটনার দি’ন ১০ অক্টোবর রাত আড়াইটার দিকে রা’য়হানকে তাড়া করে সি’লেটের বন্দরবাজার ফাঁ’ড়ির পুলিশ। জীবন বাঁচাতে কা’ষ্টঘর এলাকার সুইপার ক’লোনির এ বাড়িতে আশ্রয় নে’য় রায়হান। এরপর সি’এনজিতে তুলে পুলিশ ফাঁ’ড়িতে নেয়া হয় তাকে। তখন রা’ত তিনটা। সিএনজি’র ওই চা’লক জানান, যখন গ্রে’ফতার করা হয় তখন একেবারে সু’স্থ ছিল রায়হান। হাতে হা’তকড়া লাগিয়ে নিয়ে আসা হ’য় তাকে।
পুলিশ সু’পারের কার্যালয় লাগোয়া ফাঁ’ড়িতে নিয়ে ফাঁড়ির ই’নচার্জ আকবরের নেতৃত্বে চ’লে অমানুষিক নির্যাতন। ফাঁ’ড়ির গা ঘেঁষে অব’স্থিত এই মেস থেকে নির্যা’তনের সে আওয়াজ শু’নেছেন অনেকে। তাদের ম’ধ্যে একজন বলেন, আ’মাকে মেরো না। আমি তো চো’র বা ডাকাত নই। এ’মনভাবে চিৎকার ক’রতেছিল। জানোয়ারকেও মা’নুষ এভাবে মারে না।
রায়হানের প’রিবার জানায়, ওই রাতেই দশ হা’জার টাকা না দিলে তাকে মেরে ফে’লা হবে বলে এসআই তৌ’হিদের নাম্বার থেকে ফোন করে রায়হান। টা’কা নিয়ে রাতে ও ভোরে ফাঁ’ড়িতে গিয়েও রায়হানের স’ঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি তা’দের।
কান্না জ’ড়িত কণ্ঠে রায়হানের মা বলেন, আ’মার ছেলের পেটের মধ্যে তারা বু’ট জুতা দিয়ে ভিতরটা আ’উলিয়ে ফেলছে। আমার ছেলের নাড়িভুঁড়ি সব ফে’টে গেছে। আমার ছেলে হ’ত্যার বি’চার যদি আমি মৃত্যুর আগে দে’খে যেতে পারি তাহলে আমার বা’চ্চাটার আত্মা শা’ন্তি পাবে। কিন্তু আমি তো আমার বাচ্চা পা’বো না আর।
রাতভর এস’আই আকবরের নেতৃত্বে চালানো নি’র্যাতনেই মৃত্যু হয় রায়হানের। এর’পর পুলিশ হেফাজতে রা’য়হানের মৃ’ত্যুকে আ’ড়াল করতে সাজানো হয় গ’ণপিটুনির নাটক। গা’য়েব করা হয় মামলার গু’রুত্বপূর্ণ আলামত। পরে সিসিটিভির ফু’টেজে গণ’পিটুনির সত্যতা না মেলায় বে’রিয়ে আসে রায়হান হ’ত্যার চাঞ্চল্যকর ঘ’টনা।