রাজধানীর মুগ’দার দক্ষিণ মান্ডায় একটি বাসা থে’কে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ত’রুণীর লাশ উদ্ধার ক’রেছে পুলিশ। চার-পাঁচদিন আ’গে তাকে খুন করা’ হয় বলে ধা’রণা করা হচ্ছে। এ ঘ’টনায় ওই তরুণীর কথিত স্বামী’কে দায়ী করছেন নি’তের বড় ভাই। রহস্য উদ’ঘাটনে মাঠে কা’জ করছে পুলিশ।

রাজধানীর মান্ডার চার’তলার এই ভবনের তিন’তলায় ভাড়া বাসায় গত মা’র্চ থেকে বসবাস করছি’লেন লিমা আক্তার। ছো’ট্ট এই কক্ষে’ই থাকতেন স্বামী লি’মনের সঙ্গে।

প্রতিবে’শীরা জানান, গত দুদিন ধরে বাসা থে’কে দুর্গন্ধ আসায় বা’ড়ির মালিক ও পুলিশে খ’বর দেন তারা। পরে রুমের তা’লা ভেঙে বিছানার ওপর থে’কে লিমার হাত-পা বাঁ’ধা লাশ উদ্ধার করা হয়।
‘
এক প্রতি’বেশী বলেন, ‘গতকালকে খব’র পেলাম একটা মে’য়ে মারা গেছে। আ’মি চিন্তা করলাম, কো’ন মেয়েটা? পরে শুনলা’ম হো’ন্ডা চালাইতো যে ওই মেয়ে’টা।’’

বুধবার (০৪ নভেম্বর) রা’তে উদ্ধারের পর লাশ ম’য়নাতদন্ত ঢাকা মেডি’কেলে পাঠায় পু’লিশ।

নিহত লি’মার ভাই জানান, মতবিরোধের কা’রণে পরিবারের সঙ্গে যো’গাযোগ ছিল না লিমার। পড়া’শোনা বা অন্য কো’নো কাজেও যুক্ত ছি’লেন না তিনি। স্বামী লিমনের দি’কে অভিযোগের আ’ঙুল তুললেন তিনি।

লিমার ব’ড় ভাই সুমন বলেন, ‘চি’ন্তা করলাম যাক বিয়ে হলে মি’ল মহব্বত থাকবে। এর মধ্যে ৪ থে’কে ৫ দিন কোনো খোঁজ-খব’র নাই। পরে ছোট ভাই’য়ের মাধ্যমে জা’নলাম যে মান্ডায় এক মেয়ে মা’রা গেছে। পরে গিয়ে দেখলাম আমার বোন মা’রা গেছে।’

পুলিশ বলছে, প্রাথ’মিকভাবে হত্যাকাণ্ড ম’নে হলেও রহস্য উদঘা’টনে পুলিশের বেশ ক’টি টিম কা’জ করছে।

মুগদা থানা ও’সি (অপারেশন) আশীষ কু’মার দেব বলেন, ‘এই সং’ক্রান্তে ভিকটিমের ভাই’ সুমন কা’জী বাদী হয়ে মুগ’দা থানায় অভি’যোগ দায়ে’র করেছে। আমরা মা’মলা রেকর্ড করেছি। এ’ই সংক্রা’ন্তে আমরা এখন পর্যন্ত কাউ’কে আটক করি নাই। র’হস্য উদ’ঘাটনের কাজ ‘চলছে।’

এ ঘটনায় মুগদা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।