ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে হাইকোর্টে রায়হানের মা

Spread the love

সিলেটে পুলিশ হে’ফাজতে রায়হান আহমেদের মৃ’ত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় ত’দন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বা’রস্থ হয়েছেন নিহত রায়হানের মা সালমা বেগম। তিনি রবিবার হা’ইকোর্টে আবেদন দিয়ে বলেছেন, তা’র ছেলেকে পুলিশী হেফাজতে হ’ত্যার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চে’য়ে যে রিট আবেদন করা হ’য়েছে তাতে তিনি একজন আ’বেদনকারী(পক্ষভূক্ত) হ’তে চান।
সোমবার বি’চারপতি জেবিএম হাসান ও বি’চারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বে’ঞ্চে এ আবেদনের ও’পর শুনানি হবে বলে জা’নিয়েছেন সালমা বেগমের আ’ইনজীবী ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমদ।

পুলিশ হেফাজতে রায়হান আহমেদের মৃ’ত্যুর ঘটনায় বিচার বি’ভাগীয় তদন্ত চেয়ে গত ১২ অ’ক্টোবর হাইকোর্টে রিট আবেদন(রিট নম্বর-৭১৩২/২০২০) করেন ব্যা’রিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমদ। এ’ই রিট আবেদনে নিজেকে আ’বেদনকারী হি’সেবে বিবেচনা করতেই (পক্ষভূক্ত) হাই’কোর্টে আবেদন দিয়ে’ছেন রায়হানের মা সা’লমা বেগম। আ’দালত এ বিষয়ে সোমবার শুনানির জ’ন্য দিন ধার্য করেছেন ব’লে জানিয়েছেন আ’ইনজীবী। রায়হানের মৃত্যু নিয়ে বি’ভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্র’তিবেদন সং’যুক্ত করে ওই রিট আবেদন ক’রা হয়।

গত ১১ অ’ক্টোবর বিকেলে সিলেট ন’গরের আখালিয়া নেহারিপাড়া এ’লাকার বাসিন্দা রায়হান আহমেদের(৩৫) ম’রদেহ পাওয়া যায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হা’সপাতালে। খবর পেয়ে পরিবারের স’দস্যরা সেখানে ছুটে যান। তারা রা’য়হানের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চি’হ্ন দেখতে পান। এ ঘ’টনায় নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বা’দী হয়ে ওইদিনই সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মা’মলা করেন। মা’মলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সি’লেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁ’ড়িতে রায়হান আহমেদকে নির্যাতন করে হ’ত্যা করা হয়েছে। য’দিও পুলিশের পক্ষ থেকে দা’বি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছে রায়হান।

রায়হানের মৃ’ত্যুর ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অ’ভিযোগ ওঠায় তা তদন্তের জন্য সি’লেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-ক’মিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আলম মা’মুনের নেতৃত্বে একটি ক’মিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি পু’লিশী নির্যাতনের অভি’যোগের সত্যতা পেয়েছে। এ ঘ’টনায় বন্দরবাজার ফাঁ’ড়ি ইনচার্জ আকবর হোসেন ভুঁ’ইয়াসহ চার পুলিশকে সা’য়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে প্র’ত্যাহার করা হয়েছে। ক’য়েকজন পুলিশ সদস্যকে গ্রে’প্তার করা হয়েছে। এরইমধ্যে মূল অভিযুক্ত আ’কবর হোসেন ভুইয়া পা’লিয়ে গেছেন।

প’রিবারের দাবি, গত ১০ অক্টোবর রা’তে রায়হানকে বন্দরবাজার ফাঁ’ড়িতে ধরে নিয়ে ১০ হা’জার টাকা ঘুষ দাবি ক’রে পুলিশের কয়েকজন সদস্য। ফো’নে পরিবারের স’দস্যদের টাকা নিয়ে আ’সতে বলেন রায়হান। গত ১১ অ’ক্টোবর সকালে ৫ হাজা’র টাকা নিয়ে প’রিবারের সদস্যরা থানায় গিয়ে জা’নতে পারেন, অসুস্থ হয়ে প’ড়ায় তাকে ওসমানী মে’ডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভ’র্তি করা হয়েছে। সে’ খানে যেয়ে তারা জানতে পা’রেন, রায়হান মারা গে’ছেন।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »