কলাপাড়ায় ভূমি, রাজস্ব ও অডিট সুপারের বিরুদ্ধে ভুমি অধিগ্রহনের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের বিস্তর অভিযোগ ॥
অক্টোবর ১০ ২০২০, ২২:০৪

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ কলাপাড়ায়
জাল-জালিয়াতী কাগজপত্র তৈরী করে বিধিবহির্ভূত ভাবে জমি অধিগ্রহনের ৯ লক্ষ
৮ হাজার ৩৪৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মো: মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা
অডিট সুপার, ভূমি, রাজস্ব’র বিরুদ্ধে। ক্ষতিগ্রস্ত পারুল বেগম প্রতিকার
পেতে দুদকে অভিযোগ দেয়ার পরও অদ্যবধি কোনো প্রতিকার পায়নি সে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লালুয়া ইউনিয়নের ছোট ৫ নং গ্রামের মো: এফরান
হাং’র এর স্ত্রী পারুল বেগম একই গ্রামের বাসিন্দা জেলা অডিট সুপার, ভূমি,
রাজস্ব, মো: মোস্তাফিজুর রহমান’র বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতী কাগজ পত্র তৈরী
করে বিধিবহির্ভূত ভাবে জেএল নং ১৬, নয়াকাটা মৌজার, পায়রা বন্দর কর্তৃক
১৪/২০১৫-১৬ কেস’র অধীন তার বাড়ী-ঘর, জমি অধিগ্রহনের ৯ লক্ষ ৮ হাজার ৩৪৫
টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন উপ-পরিচালক, দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়,
পটুয়াখালী, বরাবর। এরপর দুদক প্রধান কার্যালয়ের মহাপরিচালক (অনুসন্ধান ও
তদন্ত-২) আ ন ম আল ফিরোজ ২রা ডিসেম্বর ২০১৯, স্মারক
নং-০০.০১.৭৮০০.৬৫৩.২৬.০০৩.১৯-৪৬৭৯০এ এক মাসের মধ্যে অনুসন্ধানপূর্বক
মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা
প্রশাসক, পটুয়াখালীকে অনুরোধ জানান। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়
থেকে ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা লুৎফুন্নেসা খানম ১ জানুয়ারী ২০২০, স্মারক
নং-৩১.১০.৭৮০০.০১৩.১০.০০১.১৯-০৭এ বর্নিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক
সুস্পষ্ট মতামত সহ জরুরী ভিত্তিতে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য রেভিনিউ
ডেপুটি কালেক্টর বকুল চন্দ্র কবিরাজকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানোর দীর্ঘ
১০ মাসেও রহস্যজনক কারনে এর কোন অগ্রগতি হয়নি। তবে এনিয়ে লুৎফুন্নেসা
খানম বলেন সে পদোন্নতি পেয়ে ইউএনও হয়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার’র
কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। আর বকুল চন্দ্র কবিরাজও পদোন্নতি জনিত বদলী
হয়েছেন। তবে দীর্ঘদিনেও ভুক্তভোগী পারুল বেগম’র অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক
প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধানপূর্বক মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরনের ব্যবস্থা
গ্রহনে কালক্ষেপনের বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পটুয়াখালী’র বর্তমান ভূমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা
উম্মে হাবিবা মজুমদার বলেন, ’এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ রেভিনিউ ডেপুটি
কালেক্টর’র দপ্তরে আছে, তদন্তপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিল
করার পর দুদক, প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে।
রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মো: ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, আমি সদ্য এ
দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক মতামত তৈরীতে সময় লাগবে।
এ বিষয়ে জেলা অডিট সুপার, ভূমি, রাজস্ব, মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,
পারুল বেগম’র অভিযোগের বিষয়টি অফিসিয়াল ভাবে নিস্পত্তি করা হয়েছে। তার
অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।