বাইডেনের নেতৃত্বে ওয়াশিংটন-ঢাকা সম্পর্কে যোগ হবে ভিন্নমাত্রা
নভেম্বর ০৭ ২০২০, ২২:৪০

চার বছর পর যুক্ত’রাষ্ট্রে আবারও সরকার গঠন ক’রতে যাচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা। জো বা’ইডেনের নেতৃত্বে ও’য়াশিংটন-ঢাকা সম্পর্কে ভি’ন্নমাত্রা যোগ হবে বলে মনে করছেন বি’শ্লেষকরা।
তারা বলছেন, রো’হিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর, অভিবাসন ই’স্যুতে আরও নমনীয় হওয়ার ম’তো’ সুযোগ বাইডেন প্রশাসন থেকে মিলবে। চীনের স’ঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করে, ওয়াশিংটনকে কৌ’শলগতভাবে পাশে রাখাই এখন মূল চ্যা’লেঞ্জ বলে মনে করছেন তারা।
হোয়াইট হাউ’জের নতুন বাসিন্দা হচ্ছেন ডেমোক্র্যাট নে’তা জো বাইডেন। তিনি এমন একটা স’ময় দায়িত্ব নিতে চলেছেন যখন, করোনার কা’রণে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি অ’নেকটাই ভঙ্গুর। যা চাঙা করতে বি’দেশি শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সেক্টরে দ’ক্ষকর্মীর প্রয়োজন। ফ’লে বাংলাদেশকে এখনই প্রস্তুত হওয়ার ‘আহ্বান বিশেষজ্ঞদের। পো’শাক খাতের রফতানি বা’ড়ানোর প্রচেষ্টাও কর’তে হবে।
আন্তর্জাতিক স’ম্পর্ক বিশ্লেষক শমসের মবিন চৌধু’রী বলেন, ‘বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বা’চিত হলে তার প্রশাসন অভিবাস’নের ক্ষেত্রে তুলনা’মূলকভাবে ট্রাম্প প্রশাসন থে’কে অনেক বেশি নমনীয় হবে। র’প্তানির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ৯০ শ’তাংশই হচ্ছে আমা’দের তৈরি পোশাক।’
ডোনাল্ড ট্রা’ম্পের সময় চীনের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক গ’ড়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের। বাইডেন যা স্বা’ভাবিক করার প্রয়াস নি’তে পারেন। এ’ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা সংকটের সমা’ধানে একটা সমঝোতার আ’শা দেখছেন সাবেক এ কূ’টনীতিক।
আন্ত’র্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক শমসের মবিন চৌ’ধুরী বলেন, ‘প্রত্যাবাসন যাতে হয় সে চে’ষ্টা তো বাংলাদেশ সরকার করেই যাবেন, দ্বিপাক্ষিকভাবে, আ’ঞ্চলিকভাবে এবং আ’ন্তর্জাতিকভাবে। সে’ই চেষ্টার পাশাপাশি প্রত্যা’বাসন প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে যেখা’নে রাখতে হবে যুক্তরাষ্ট্র সে ধরণের ভূ’মিকা পালন করতে পারে। রাজ’নৈতিক সম্পর্ক, কূটনৈতিক স’ম্পর্ক এগুলো হচ্ছে স্টে’বল রিলেশনশিপ। আ’মাদের যোগাযোগ আ’রও বাড়াতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র কং’গ্রেসে, যুক্তরাষ্ট্র সিনেটে, যু’ক্তরাষ্ট্র সুশীল সমাজের সা’থে এবং বাইডেন প্রশা’সনের সাথে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবা’সী বাংলাদেশি ও গবেষকরাও মনে ক’রছেন, ঢাকার কূট’নৈতিক তৎপরতা জোরদা’রের সময় এখন।
নিউইয়র্ক বি’শ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং গ’বেষক ড. কে এম ফয়সাল খান ব’লেন, ‘বাইডেন নি’র্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে আমাদের কিছুটা অ্যা’ডভান্টেজেস আসবে। কারণ আ’মাদের কর্মসংস্থান, বাসস্থান এবং অ’ন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলো রি’পাবলিকানদের তুলনায় ডে’মোক্রেটরা বেশি দিয়ে থাকে।’
ভারত বা অন্য কো’নো দেশ নয়, জাতীয় স্বার্থে বাই’ডেন প্রশাসনের সঙ্গে স’রাসরি যোগাযোগ স্থাপনের তা’গিদ দিয়েছেন তারা।