একসঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আছে হাসিনা-বাইডেনের
নভেম্বর ১০ ২০২০, ০৪:২৪

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডে’ন্ট বদলে যাচ্ছে। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প’কে হারিয়ে ক্ষমতায় আসছেন ডেমোক্র্যাট নেতা জো বাইডেন। নির্বাচনের ফলা’ফল স্পষ্ট হওয়ার পরপরই বাংলাদেশের প্র’ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাইডেনকে অভিনন্দন জানান।
অভিনন্দন বার্তায়, ভবিষ্যতে বি’ভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একসাথে কা’জ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।
৭৭ বছর বয়সী বাইডেন এই প্র’থম যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে চললেও শেখ হাসি’নার সঙ্গে আগেও একত্রে কাজ ক’রেছেন তিনি।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জা’তিসংঘ শান্তি সম্মেলনের আয়োজন করে যু’ক্তরাষ্ট্র। তখন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছি’লেন জো বাইডেন। সেবার বাংলাদেশের প্র’ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কো-চেয়ার হিসেবে স’ম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য অনুরো”ধ করা হয়। সেই অনুরোধ গ্রহণ ক’রেন শেখ হাসিনা। জো বাইডেন, শে’খ হাসিনা ছাড়াও সম্মেলনে কো-চেয়ার ছিলেন জাপা’নের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনবো আ’বে এবং রুয়ান্ডার তখনকার প্রেসি’ডেন্ট পল কাগামে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ স’র দফতরে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে জো বা’ইডেন এবং শেখ হাসিনা উভয়ের বক্তব্যেই বি’শ্ব শান্তি রক্ষার পথে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জে’র বিষয়গুলো জায়গা পায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হা’সিনা তার বক্তব্যে বলেন, জাতিসংঘের শা’ন্তিরক্ষী এবং জাতিসংঘের জন্যই এটি এখন অনেক বেশি জটিল ও বি’পজ্জনক হয়ে পড়েছে।
বাইডেনের মুখেও শোনা যায় একই ধরণের বক্তব্য। উদ্বো’ধনী ভাষণে বাইডেন আফ্রিকার বিভিন্ন দে’শসহ বিশ্বজুড়ে সহিংসতা থেকে নিরীহ জনগণকে রক্ষার জন্য শান্তিরক্ষীদের এগি’য়ে আসার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বি’শ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘকে দে’ওয়া বাংলাদেশের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে বলেন, বিশ্বে শান্তি রক্ষায় পরী’ক্ষিত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এ ক্ষে’ত্রে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাই’ডেনের বিজয়ী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর রোববার তা’কে পাঠানো অভিনন্দনবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দম’নসহ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেনের নেতৃত্বে বিশ্ব শান্তি, আন্ত’র্জাতিক সহযোগিতা এবং জলবায়ু ইস্যু ন’তুন মাত্রা পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে ক’রছেন, জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ায় বাংলাদে’শের সংকটপূর্ণ ইস্যুগুলোতে, যুক্তরাষ্ট্র আগের চেয়ে আরও বেশি সহযোগিতা ক’রবে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশিরা সহজে স্থায়ী হওয়ার সুবিধা পাবেন। তারা মনে করেন, ডোনাল্ড ট্রা’ম্পের আমলে, অভিবাসনবিরোধী যে মনো’ভাব গড়ে উঠেছিল তা থেকে সরে আসবে ওয়াশিংটন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লে’ষক সাহাব এনাম খান বলেন, পররাষ্ট্র নী’তিতে যেটা ওবামা প্রশাসন পর্যন্ত আমরা দেখেছি সেগুলো কিন্তু চলতে থাকবে। যুক্ত’রাষ্ট্র জো বাইডেনের নেতৃত্বে বহুপাক্ষিক বি’শ্বব্যবস্থার দিকে আবার ঝুঁকে পড়বে।
অভিবাসীবান্ধব হওয়ায় প্রবাসী বাং’লাদেশি আর মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমাতে আগ্রহীদের জ’ন্য বাইডেন প্রশাসনকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন এই বিশ্লেষক।
এ বিষয়ে সাহাব এনাম খান বলেন, স্বস্তির জায়গা’টা হলো, যে ধরণের ইমিগ্রেশন পলিসি মা’র্কিন প্রশাসন নিচ্ছিলো, সে জায়গায় হয়তোবা আমরা একটা বড় রকমের পরি’বর্তন দেখব। দ্বিতীয়ত অভিবাসন ছাড়া’ও যাদের মিডল ইনকাম বা লোয়ার ইনকাম আছেন তাদেরও একটা ট্যাক্স সম্পর্কিত রি’লিফ আমরা দেখব। সেখানেও কিন্তু আ’মাদের বাংলাদেশি প্রবাসী আছেন তাদের একটা স্বস্তি হবে।
গেলো ক’য়েক বছরে ট্রাম্প প্রশাসন বৈশ্বিক বিভিন্ন সংস্থায় কমি’য়েছে অনুদান। বাইডেন অনুদান বাড়া’নোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এতে জাতি’সংঘের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ঢাকা তার কাঙ্ক্ষিত সু’ধা আদায় করে নিতে পা’রবে। এছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানেও নতুন করে আশার আলো দে’খছেন তিনি। জলবায়ু সংকট মোকাবিলায়ও ওয়া’শিংটনকে পাশে পাবে ঢাকা।