বি’স্ফোরক ব্যবহার করে মাছ ধরলে তিন বছরের জেল
নভেম্বর ১৭ ২০২০, ০১:১১

বিস্ফোরক ব্য’বহার করে, অচেতন বা অ’ক্ষম করে মাছ ধরলে তি’ন বছরের জেল বা এক কো’টি টাকা দণ্ড এবং নিষিদ্ধ জাল, স’রঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি ব্য’বহার করলে ২ বছরের জে’ল এবং ২৫ লাখ জরিমানা, বি’ধান জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে ‘সা’মুদ্রিক মৎস্য (মেরিন ফিসারিজ) বি’ল-২০২০’।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আ’জ সংসদের স্থিরকৃত আকারে ক’ণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। ‘দি মে’রিন ফিশারিজ অধ্যাদেশ’ র’হিত করে বিলটি পাসের প্র’স্তাব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ম’ন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ’রআগে বিলের ওপর আনীত ক’তিপয় প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ত’বে বিলটির ওপর আনীত জনমত যা’চাই ও বাছাই কমিটিতে পা’ঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে না’কচ হয়ে যায়।
বিলে ম’ৎস্য কর্মকর্তাকে কর্তব্য কর্মে বাঁ’ধা দিলে দুই বছরের জেল ও ১০ লাখ টা’কা অর্থদণ্ড, ইচ্ছাকৃতভাবে মৎস্য আহরণের নৌ’যানের ক্ষতি করলে ২ বছরের জেল এবং ২৫ লাখ টাকা জরিমানা, বেআইনিভা’বে মাছ ধরা, সংরক্ষণ, মজুত বা বিক্রি করলে ২ ব’ছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা অর্থ’দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া কো’ন বিদেশি জাহাজ এ আইনের অধীনে অপরাধ কর’লে তার মালিক, স্কিপার এবং নৌ’যানে অবস্থানরত ব্যক্তিরা দায়ী হবেন। এ’র জন্য ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ কোটি টাকা জরি’মানার বিধান রাখা হয়েছে। কেউ য’দি বাংলাদেশের মৎস্য জলসীমায় মা’ছ ধরার নৌযান পরিচালনা এবং তা নির্ধারিত নিয়মে মা’র্কিং না করে তবে দুই বছরের জেল এ’বং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রা’খা হয়েছে।
বিলের উদ্দে’শ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আ’ইনি লড়াইয়ের ফলে অর্জিত বঙ্গো’পসাগরে বাংলাদেশের এক লাখ ১৮ হাজার ১১৩ বর্গকিলোমিটার একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চ’লে মৎস্যসম্পদ নিরূপণ, পরিকল্প’না গ্রহণ, দেশি-বিদেশি মৎস্য নৌযান কর্তৃ’ক অবৈধভাবে ও অতিরিক্ত মৎস্যসম্পদ আহরণ নি’য়ন্ত্রণ, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনে বিদ্যমান অধ্যাদে’শ হালনাগাদ করার জন্য বিলটি আনা হয়েছে। আ’র সামরিক শাসনামলে জা’রি হওয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলো’কে বিলটি তা বাংলায় রূপান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া আজ সংস’দে মৎস্য ও মৎস্যপণ্য পরিদর্শন ও মান নিয়’ন্ত্রণ বিল ২০২০ পাস হয় সংস’দে। ১৯৮৩ সা’লে জারি করা অধ্যাদেশ রহিত ও যু’গোপযোগী করে নতুন এই বিলটি আ’না হ’য় ও পাস করা হয়।