আকাশপথে দু’র্ঘটনা : ক্ষতিপূরণ ৬ গুণ বাড়িয়ে সংসদে বিল পাস
নভেম্বর ১৮ ২০২০, ০৩:১১
আকাশপথে প’রিবহনের সময় দুর্ঘটনায় নিহত বা আ’হত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ ৬ গুণ বা’ড়িয়ে এবং ব্যাগেজ ন’ষ্ট বা হারিয়ে গেলে ক্ষতিপূরণের প’রিমাণ বৃদ্ধি করে ‘আকাশপথে প’বহন (মন্ট্রিয়ল কনভেনশন) বিল-২০২০’ পা’স হয়েছে জাতীয় সংসদে। ন’তুন আইনে আ’কাশপথে পরিবহনের সময় যাত্রীর মৃ’ত্যু বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে ক্ষতিপূরণ এক কো’টি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৩৪ টাকা করা হয়েছে। আ’গে এর পরিমাণ ছিল ২০ লাখ ৩৭ হা’জার ৬০০ টাকা।
স্পিকার ড. শি’রীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ম’লবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সং’সদের স্থিরিকৃত আকারে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হ’য়। বি’লটি পাসের প্রস্তাব করেন বেসাম’রিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতি’মন্ত্রী মাহবুব আলী।
এর আগে, বি’লের ওপর আনীত সংশোধনী, বাছাই কমি’টিতে প্রেরণ ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তা’বগুলো নাকচ হয়ে যায়।
নতুন আইন কা’র্যকর হলে যাত্রীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে তার স’ম্পত্তির বৈধ প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তি’দের মধ্যে এ আইনের বিধানের আলোকে ক্ষ’তিপূরণের অর্থ ভাগ করা যাবে। সংশ্লিষ্ট এয়ার’লাইন্স বা বিমাকারী প্রতিষ্ঠানের সা’থে আলোচনার ভিত্তিতে অথবা আদালতের মা’ধ্যমে ক্ষতিপূরণ আ’দায় করা যাবে।
এছাড়া ফ্লা’ইট বিলম্বের কারণে পরিবহনকারীর দা’য় ২০ ডলারের পরিবর্তে পাঁচ হা’জার ৭৩৪ ডলার, ব্যাগেজ নষ্ট বা হা’রানোর জন্য প্রতি কেজি’তে ২০ ডলারের পরিবর্তে এক’ হাজার ৩৮১ ডলার এবং কার্গো বি’মানের মালামাল নষ্ট বা হা’রানোর জন্য প্রতি কেজি’তে ২০ ডলারের পরিবর্তে ২৪ ডলার ক্ষতি’পূরণ নি’র্ধারণ করা হয়েছে।
আকাশপথে পরি’বহনের ক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় যা’ত্রীর মৃত্যু বা আঘা’তপ্রাপ্ত হলে এবং ব্যাগেজ নষ্ট বা হা’রানোর ক্ষেত্রে আন্ত’র্জাতিকভাবে ১৯৯৯ সালে ‘মন্ট্রিয়ল কন’ভেনশন’ অনুযায়ী আইনে এ’সব ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধি করা হয়। বাং’লাদেশ ওই ক’নভেনশনে ১৯৯৯ সা’লেই স্বাক্ষর করে।
আগে ও’য়ারশ কনভেনশন-১৯২৯ অনুযায়ী প্রচ’লিত ‘দ্য ক্যারেজ বাই এয়ার অ্যাক্ট-১৯৩৪’, ‘দ্য ক্যা’রেজ বাই এয়ার (ইন্টার’ন্যাশনাল কনভেনশন) অ্যাক্ট-১৯৬৬’ এবং ‘দ্য ক্যারে’জ বাই এয়ার (সাপ্লিমেন্টারি কন’ভেনশন) অ্যাক্ট-১৯৬৮ আইনের আলো’কে প্রাণহানি, আঘাত ও ব্যাগেজ নষ্ট বা হা’রানোর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হতো ব’লে এসবের পরিমাণ ছিল কম।
বিলের উ’দ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘ম’ন্ট্রিয়ল কনভেনশন’ আলোকে নতুন আ’ইন না হওয়ায় কোনো দুর্ঘটনার জন্য বর্তমানে প্র’চলিত আইনে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ খু’বই কম এবং তা আদায়ের পদ্ধতি অ’স্পষ্ট, সময়সাপেক্ষ ও জটিল। এ অ’বস্থা থেকে উত্ত’রণের জন্য জন্য আকাশে চলাচলকারী যা’ত্রীর অধিকার সুরক্ষা ও মালামাল প’রিবহন নিশ্চিত করা, যাত্রীর মৃ’ত্যুর কারণে পরি’বারের ক্ষতিপূরণ প্রায় ৬ গুণ বৃদ্ধি এবং আ’দায় পদ্ধতি সহজ করতে আইন’টি প্র’য়োজন।
































































































