এবার পিবিআইতে তনু হত্যা মামলা
নভেম্বর ১৭ ২০২০, ১৬:৩৭

কুমিল্লা ভি’ক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সো’হাগী জাহান তনু হত্যা মামলার তদ’ন্তকারী সংস্থার পরিবর্তন হ’য়েছে। অপরাধ তদ’ন্ত বিভাগ সিআইডির পর এবার পু’লিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগে’শন পিবিআইতে হস্তান্তর ক’রা হয়েছে মামলাটি। এ’র আগে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা ডি’বির হাত পরিবর্তন হয়ে সি’আইডিতে যায় এই হত্যা মা’মলার তদন্তভার। হ’ত্যাকাণ্ডের সাড়ে ৪ বছরে থানা পুলি’শ, ডিবি, সিআইডির হাত পরি’বর্তন হলেও দীর্ঘ এই সম’য়েও তনুর হত্যাকারীরা শ’নাক্ত হয়নি। নেই মামলার উল্লেখ’যোগ্য কোনও অগ্রগতি। তনুর খু’নি চিহ্নিত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ তনুর পরিবার এবং কু’মিল্লার বিশি’ষ্টজনরা।
তনুর হ’ত্যা মামলা পিবিআইতে হস্তান্তরের বি’ষয় নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) স’কালে সাবেক তদন্তকারী সং’স্থা সিআই’ডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনামুল হ’ক জানান, সোহাগী জাহান তনু হত্যা মা’মলাটি সিআইডি পিবিআইতে হ’স্তান্তর করে’ছে। বর্তমানে পিবিআই মামলাটি তদন্ত ক’রছেন।
তনুর বাবা ই’য়ার হোসেন জানান, চার বছর ধরে মা’মলাটি সিআইডিতে। তা’রা কখন পিবিআইতে হস্তা’ন্তর করেছে আম’রা জানি না। গত (১৫ ন’ভেম্বর) ঢাকা থেকে কিছু পিবি’আই সদস্য আসেন সেনানিবা’সের ভেতরে। ঘটনাস্থল প’রিদর্শন করে। তা’রপর আমাদের স’ঙ্গে কথা বলতে এসে জানায়, মা’মলাটি এখন পি’বিআই তদন্ত ক’রা হয়েছে। সি’আইডিতে এ’খন আর নেই।
তনুর পরিবা’রের সূত্র জানায়, ২০১৬ সা’লের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভে’তরে একটি বাসায় টিউশনি করতে গি’য়ে আর বাসায় ফি’রেনি তনু। পরে স্বজনরা খোঁ’জাখুঁজি করে রাতে বাসার অদূরে সেনানিবা’সের ভেতর একটি জঙ্গলে তনুর মর’দেহ পায়। পরদিন তা’র বাবা কুমিল্লা ক্যান্ট’নমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বা’দী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি ম’ডেল থানায় হত্যা মামলা দা’য়ের করেন। থানা পুলিশ ও ডিবির পর ২০১৬ সা’লের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দা’য়িত্ব পায় সিআইডি কুমিল্লা। ত’নুর দুই দফা ময়নাতদন্তে কুমিল্লা মেডিকেল কলে’জ হাসপাতালে ফরেনসিক বি’ভাগ মৃত্যুর সুস্প’ষ্ট কারণ উল্লেখ করেনি। শেষ ভর’সা ছিল ডিএনএ রিপোর্ট। ২০১৭ সালের মে মা’সে সিআইডি তনুর জামাকাপড় থেকে নেও’য়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করে তি’নজন পুরুষের শুক্রানু পাওয়ার কথা গণমাধ্য’মকে জানিয়েছিল। পরে সন্দেহ’ভাজনদের ডিএনএ ম্যাচিং করার কথা থা’কলেও তা করা হয়েছে কিনা- এ নিয়েও সিআ’ইডি বিস্তারিত কিছু বলছে না। সর্ব’শেষ সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনকে ২০১৭ সা’লের ২৫ অক্টোর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্য’ন্ত সিআইডির একটি দ’ল ঢাকা সেনা’নিবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ করা ব্য’ক্তিরা তনুর মায়ের সন্দেহ করা আসামি ব’লেও সিআইডি জানায়। তবে তাদে’র নাম জানানো হয়নি।
মাম’লাটির সর্বশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন সি’আইডি কুমিল্লার সিনিয়র সহকা’রী পুলিশ সুপার জালাল উ’দ্দীন আহমেদ।
তনুর মাম’লা তদন্তের বিষয়ে পিবিআই কু’মিল্লার পুলিশ সুপার মিজানুর রহ’মান জানান, সিআইডি থেকে মা’মলাটি পিবিআইতে এসেছে শু’নেছি। তবে কুমিল্লা পিবিআ’ইতে এটি হস্তান্তর করেনি। মামলাটি সে’ন্ট্রাল পিবিআই দেখছেন স’ম্ভবত।’