এসআই আকবর ৭ দিনের রিমান্ডে
নভেম্বর ১০ ২০২০, ১৫:০৯

সিলেটে পুলিশ ফাঁ’ড়িতে রায়হান হত্যার প্রধান অ’ভিযুক্ত এসআই আকবরকে ৭ দি’নের রিমান্ড মঞ্জুর ক’রেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দু’পুরে আকবরকে সিলেটের ম’হানগর মুখ্য হাকিম আ’দালতে তোলা হয়। শু’নানি শেষে বিচারক মো. আবুল কাশেম ৭ দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর ক’রেন। আদালতের জিআরও মে’হের দাশ এ তথ্য নি’শ্চিত করেন।
সোমবার (৯ নভেম্বর) দু’পুর দেড়টার দিকে কা’নাইঘাট উপজেলার ডো’না সীমান্ত এলাকা থে’কে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সিলেট জেলা পুলি’শের সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা ও ডিবির পরিদ’র্শক সাইফুল আলম বিষয়টি নি’শ্চিত করে বলেন, বরখাস্ত এসআই আকবরকে ভারতীয় সীমান্ত থেকে গ্রেফ’তার করা হয়। পরে তাকে সিলেটে আনা হয়।
এদিকে গত ২১ অক্টো’বর এসআই আকবর হোসেন ভূঁই’য়াকে ফাঁড়ি থেকে পালাতে সহা’য়তা করা ও তথ্য গোপনের অপরাধে বন্দরবাজার পুলি’শ ফাঁড়ির টু আইসি এসআ’ই হাসান উদ্দিনকে সাম’য়িক বরখাস্ত করা হয়।
এর আগে মঙ্গল’বার (৩ নভেম্বর) সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ি’তে পুলিশের নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় পু’লিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলে’টের পরিদর্শক আও’লাদ হোসেনকে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নি’য়োগ দেওয়া হয়। পিবিআই সিলেটের পুলি’শ সুপার খুলেকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খুলেকুজ্জামান বলেন, রায়হান হ’ত্যা মামলায় আগের তদন্ত কর্ম’কর্তা পুলিশ পরিদর্শক মুহিদুল ই’সলাম করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মাম’লার তদন্তের স্বার্থে আওলাদ হোসেন’কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
রায়হান হ’ত্যার পর যা ঘটেছে:
গত ১১ অক্টো’বর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যা’তন করে সিলেট এমএজি ওসমা’নী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেও’য়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় স’কাল ৭টা ৫০ মিনিটে রায়হানের মৃ’ত্যু হয়। রায়হান সিলেট নগরের আখালিয়ার নেহা’রিপাড়ার বিডিআরের হা’বিলদার মৃত রফিকুল ইসলা’মের ছেলে। তিনি নগরের রিকাবিবাজার স্টেডিয়া’ম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে চা’করি করতেন।
এ ঘটনায় গত ১২ অ’ক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আ’সামি করে পুলিশি হেফাজতে মৃ’ত্যু আইনে নগরীর কোতোয়ালি মডেল থা’নায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তা’হমিনা আক্তার তান্নি।
১৪ অক্টোবর মা’মলাটি পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশ পি’বিআইতে স্থানান্তর হয়। ত’দন্তভার পাওয়ার পর পিবিআইর টিম ঘ’টনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, নগ’রের কাস্টঘর, নিহতের বা’ড়ি পরিদর্শন করে। সর্বোপরি ম’রদেহ কবর থেকে তোলার পর পুনরায় ময়না’তদন্ত করা হয়।
রায়হানের ম’রদেহে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন উঠে এসেছে ময়’নাতদন্ত প্রতিবেদনে। এসব আঘা’তের ৯৭টি ফোলা আঘাত ও ১৪টি ছি’ল গুরুতর জখমের চিহ্ন। এসব আ’ঘাতগুলো লাঠি দ্বারাই করা হ’য়েছে। অসংখ্য আঘাতের কারণে হা’ইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শ’কে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফু’সফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো ক’র্মক্ষমতা হারানোর কারণে রায়হানের মৃ’ত্যু হয়।
এ ঘটনায় গত ২০ অ’ক্টোবর দুপুরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি’তে নির্যাতনে রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় ওই ফাঁড়ির ক’নস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে ও ২৩ অক্টোবর কনস্টে’বল হারুনুর রশিদকে গ্রে’ফতারের পর পাঁচ দিনের রি’মান্ডে নেওয়া হয়। ২৫ অক্টোবর কন’স্টেবল টিটুকে ফের তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পি’বিআই।
ঘটনার দিন বিকে’লে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এক’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রা’থমিক প্রমাণ পায় কমিটি। তদ’ন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দ’রবাজার ফাঁ’ড়ির ইনচার্জ এসআই আক’বর হোসেন ভূঁইয়া, কনস্টেবল হা’রুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস’কে সাময়িক ব’রখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএস’আই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করে তাদের পুলিশ লাইন্সে সংযু’ক্ত করা হয়।
এ ছাড়া গত ২১ অ’ক্টোবর এ ঘটনায় প্রধান অভি’যুক্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁ’ইয়াকে ফাঁড়ি থেকে পালাতে সহায়তা ক’রা ও তথ্য গোপনের অপরাধে বন্দ’রবাজার পুলিশ ফাঁড়ির টু আইসি এস’আই হাসান উদ্দিনকে সাময়িক বর’খাস্ত করা হয়।