এমন ভাইকে নিয়ে একালে গর্ব করাই যায়

Spread the love

যা’রা বলেন অনেকে সুযোগের অভাবে সৎ, তা’দের মুখে ছাই দিয়ে পীর ফজ’লুর রহমান মিসবাহ এম’পি হয়ে প্রমাণ ক’রেছে সততা, রক্ত ও আদ’র্শের রাজনীতির উত্তরাধিকারিত্বের বিষয়। চিন্তা চেতনার বিষয়। নির্লোভ মানুষ অনেকেই আছে। সমাজ তাদের সেই সুযোগ দেয় না। যারা বলেন, ক্ষমতার দম্ভ অনে’কে সইতে পারে না, তাদের মুখ ব’ন্ধ করেও প্রমাণ করেছে ক্ষমতা বলে কিছু নেই। মানুষের সেবক মানু’ষের মতন সহজ সরল সাদামাটা নিরাবরণ জীবন মানুষকে নিয়েই কা’টানো যায়। বাড়ির দরোজা খো’লা থাকে মানুষের জন্য। এতো কথার কারণ আ’জ মিসবাহর জন্মদিন। আল্লাহ তাকে ‘দীর্ঘ সুস্থ জীবন দিন। নির্লোভ নিরহংকারী সৎ চরিত্র সাধনায় অর্জন করেছে।

আমাদে’র ৮ ভাই বোনের সবার ছোট মিসবাহ। বাড়ির আদরের। আমরা চা’র ভাই বোনকে অকালে হারিয়েছি। মিসবাহ মেধাবি ছাত্র ছিলো। স্কুল জীবন থেকে বিশ্ব’বিদ্যালয় জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছে। ক্রিকেটার ছিলো, নাট’কও করতো। প্রচুর পড়াশোনা তার। সুনামগঞ্জ সরকারি জুবিলী ‘স্কুল থেকে এসএসসি, সরকারি কলেজ থেকে এ’ইচএসসি কৃতিত্বের সাথে পাশ করে। ভর্তি পরীক্ষা দিতে যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে’খানে তখন শিবিরের দূর্গ। ছাত্রলীগের সভায় শিবির বিরোধী জ্বালা’ময়ী বক্তৃতা দিয়ে বসে। শিবি’র ক্যাডাররা তাকে পাগলের মতোন খুঁ’জে। সিনিয়ররা শহর হয়ে চ’লে যেতে পথ করে দেন। এর পরে’ই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যা’লয়ে ভর্তি পরীক্ষা। তখন আইন অনুষদ কেবল ঢাবি ও রাবি’তে। সে আইনে পড়বে। ঢাবি রাবিতে এক সময় পরীক্ষা। সে রাবিতেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হ’য়ে সুযোগ পায়। এলএলবি অনার্স, এলএলএম শেষ করে সুনামগঞ্জ বারে যোগ দেয়, এ জন্য জাহানুর ভাইয়ের অবদান আছে। বারের সেক্রে’টারি ছিলো। ম্যাজিস্ট্রেট কো’র্টে কখনো মামলা লড়তে যায়নি। তার ডি’পার্টমেন্টের জুনিয়র মে’য়ে সহকারী জজ হয়ে এলো। তার বাসা ঠিক করে দিলেও তার কোর্টে মা’মলা করতে যায়নি। এটাই নী’তি।

সে হাই’কোর্টে প্র্যাকটিস করেনি এটা আমার দু:খ। সুনা’মগঞ্জের প্রতিটি আন্দো’লনের কর্মী বক্তা ছিলো। যুব’লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হয়ে বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে লড়াই, সংগ্রাম, সংগঠনে শ্রম দিয়েছে। যুবলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বি’ষয়ক সম্পাদক হয়েছে। আমা’কে অনেকে বলেন তাকে কেনো জা’তীয় পার্টিতে দিয়ে এমপি করালাম। আমি জানি দলবদল ঠিক নয়। কিন্তু দ’লের নেতারা যখন আদ’র্শহীন হন, দল যখন উপর থেকে মা’সুম অযোগ্য কাউকে চা’পিয়ে দেয় তাহলে কি’ভাবে? মিসবাহ সংস’দে না এলে কেউ কি জানতো এমন প্রতি’ভাবান সম্ভাবনাময় নেতৃ’ত্বকে অযোগ্য নেতাদের সিন্ডি’কেট পাথর চাপা দিয়ে মারে?
কিন্তু ‘পীর মিসবাহ দুই টার্মে এমপি হয়ে প্র’মাণ করেছে নিজের নয় মা’নুষের ভাগ্যো’ন্নয়ন ও এলাকার উ’ন্নয়ন জ’নসেবাই তার ইবাদত। নি’রহংকারী বিনয়ী আচরণে সবার মন জয় ক’রেছে। প্রতিপক্ষরাও তাকে বে’য়াদব অসৎ বলবে না। সে ‘ক্যাডার লালন ক’রেনি, ঠিকাদার সিন্ডিকেট গড়েনি, যেখা’নেই অন্যায় সেখানেই প্রতি’বাদ, যেখানে সমস্যা সে’খানেই সমাধান। যখ’ন তখন অস্ত্রবাজ ছাড়া মানুষের দুয়ারে ঘুরছে। শহরের পয়েন্টে পয়েন্টে আড্ডা দিচ্ছে। জেলা ও পুলিশ প্রশাসনে অন্যায় আবদার নিয়ে ফোন করে না। কোথাও জুলুম হ’লেই ব্যবস্থা নিতে বলে। নির্বাচনী এলা’কা জুড়ে ব্যাপক উন্য়নের মহাযজ্ঞ চলছে। কোন ঠকাদার তকে বা তার কোন লোককে চিনতে হয় না। মানষকে কাজের মান দেখতে উসাহিত করে। সংসদের অধিবেশন ছাড়া এলাকায় মানুষের সাথে তার নিরন্তর যোগাযোগ, উন্নয়ন তদারকি।

মন্ত্রীদের কাছে এ’লাকার উন্নয়ন ছাড়া তার কোন তদবির নাই। এ’মন এমপি দেশে অনেক আছে। কত দু’স্থ অসহায় মানুষকে সবব’চ্ছতায় সাহায্য করে। কারও উপকার না করুক অপকার করা তার ধ’র্মে নাই। সবাইকে প্রাপ্য সম্মান দি’তেও কার্পন্য করেনি। সে এমপি সাব হয়নি, মানুষের কর্মী হয়েছে। কারও সন্তান, কারও ছোট ভাই, কারও বড় ভাই। এমপি পদ চলে গেলে দেশ ত্যাগ দূরে থাক, দরোজা খুলে নি’শ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে। অর্থবিত্তের লোভ’হীন মিসবাহর গত নির্বা’চনে টাকার সংকট ছিলো। লুটেরা এক নাবালক এ নিয়ে টিট’কারী মেরেছে, আজ অঢেল অর্থসম্পদের মালিক বে’হায়া ভুলে গেছে তার সৎ পিতা ৭৯ সালের নির্বা’চনে কত আর্থিক কষ্ট করেছেন। সেই বে’য়াদব মিসবাহকে বাপ তুলে সমাবে’শে গালি দিলেও মিসবা’হ তার বাবার প্র’তি শ্রদ্ধা রে’খে এমন বেয়াদ্দ’বকেও স্নেহে স’ম্মান দিয়েছে।

সংস’দের কোন অধিবেশনে মিসবাহ বোবা হয়ে বসে থাকেনি। পড়া’শোনা করে। জাতীয় ও স্থানীয় সকল ইস্যুতে বাগ্মিতায় সবার নজর কেড়েছে, স্নেহ কুড়ি’য়েছে। প্রধান’মন্ত্রী ও স্পিকারও স্নেহ করেন। বঙ্গবন্ধুর আদ’র্শচ্যুত হয়নি, আদর্শহীন হয়নি, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদা’য়িক চেতনা হারায়নি। এমন ভাই’কে নিয়ে গর্ব করাই যায়। শু’ভ জন্মদিন মিস’বাহ।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »