নিজ জমিতে উদবাস্তু মানুষ গড়ার কারিগর নুরজহান এবার ভূমি দস্যুূদের মুখোশ উন্মোচন করবেন

Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদক : চাকুরীজীবনের কষ্টে অর্জিত বেতন ভাতা এবং টিউশনির সঞ্চিত অর্থ দিয়ে রাজধানীর বুকে কিনে ছিলেন এক খন্ড জমি। অথচ নিজ জমিতেই এখন উদবাস্তু মানুষ গড়ার কারিগর অবসরপ্রাপ্ত অসহায় স্কুল শিক্ষিকা নুরজহান বেগম।


এবার ভূমি দস্যুূদের মুখোশ উন্মোচন দৃঢ় প্রত্যায়
ব্যাক্ত করেছেন এই স্কুল শিক্ষিকা।
তিনি বলেন, চাকুরী থেকে অবসর নেবার পরে সঞ্চিত অর্থে মোহাম্মদপুরে সাত মসজিদ গৃহ নির্মান সমবায় সমিতির কিছু জমি কিনি আমি এই সমিতির পুরাতন সদস্য। আমার প্লট নং ১২ রোড নং ০৭। যা বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে আমাকে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তুু পরবর্তীতে গিয়ে দেখি আমার জমিতে জনৈক নুর ইসলাম চাঁদ হাউজিং এর মো: আলম হোসেনের মদদে জায়গাটি দখল করে আছেন। অথচ আমি নিয়মিত সরকারি খাজনা দিয়ে আসছি। সমিতি কর্মকর্তারা তার কাছে জমির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে চাইলে তার তিনি বলেন এই ব্যাপারে চাঁদ হাউজিং এর সাথে যোগাযোগ করতে। পরবর্তীতে সাত মসজিদ গৃহ নির্মান সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে চাঁদ হাউজিংকে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানানো হয়।

তিনি বলেন, খাসজমি, খাল ও জলাশয় বেদখল, অসহায় স্কুল শিক্ষিকা ,প্রবাসী সহ বিভিন্ন পেশাজীবির জমি,অবৈধ দখল উদ্ধারের দাবিতে খুনিজিয়া খলেদা-তারেকের সহকর্মী মো: আলম হোসেন( জাতীয় পরিচয়পএ নং- ২৬৯৫০৪৬৯ও৫১৫৪৪) এর মুখোশ এবার উন্মোচিত করবো।দেশবাসীকে জানাতে চাই কে এই বর্নচোরা সুবিধা ভোগী আলম। আসলে আলমদের কোন দল নেই। এরা সুবিধা ভোগী। এই আলম একসময় বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ ভুলু, মোহাম্মদপুরের সাবেক কমিশনার ইকবাল, হারেছ চৌধুরীর কাছের মানুষ ছিলো। এখন মোহাম্মদপুরে কার ছত্রছায়ায় একের পর এক খাসজমি দখল করে মার্কেট নির্মান করছেন। নিরীহ মানুষের বসতভিটা, জমি দখলের সাহস কার ইশারায় পান? কে তার মদদদাতা? আপনারা সাংবাদিকরা চাঁদ হাউজিং -এ গিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করলেই আমার কথার সত্যতার প্রমাণ পাবেন।
অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা নুরজহান বেগম আরো বলেন, আলম গংদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও অভিযুক্ত -দের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক, ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশের দাবিতে দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যান এবং মহান জাতীয় সংসদের ৩৫০জন মাননীয় সংসদ সদস্যর নিকটে জাতীয় ডাক বিভাগ এর মাধ্যমে অসহায় পত্র “ ভূমি দস্যুদের বিচার চাই ” শীর্ষক অসহায় পত্র প্রদানের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছি।
ভূমিদস্যুদের হুশিয়ার করে এই অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা বলেন, ভূমিদস্যুরা সাবধান হয়ে যান। যারা আওয়ামিলীগ করে এবং আওয়ামিলীগ ভালোবাসে তারা, অন্যের ভুমি দখল করতে পারে না ।
জাতির পিতার নেতৃত্বে “আওয়ামিলীগ-বাংলাদেশ “ স্বাধীন করেছে। দেশ রত্ন শেখ হাসিনার বাংলায়/ ভূমিদস্যুদের ঠাঁই নাই । “এরা কারা” এদের রুখে দাড়ানোর এখুনি সময় ।
তিনি আরো বলেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বামীকে পাঠিয়েছিলাম মুক্তিযুদ্ধে। অথচ স্বাধীন এই দেশে ভূমিদস্যুদের কাছ কোন ভাবেই পরাজয় মেনে নিতে রাজি নই আমি। এই আমি জেনারেল জিয়ার কালো আইন “ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ ” বাতিল এবং জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা,
বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে জনমত তৈরী ও আন্দোলন কে বেগবান করতে নিজের শখের গয়না বিক্রি করে রাজপথে আন্দোলনকারীদের সহযোগিতা করেছিলাম।
খুব দ্রুত সাংবাদিক সম্মেলন করে আমি মোহাম্মদপুরের ভূমিদস্যু ও তাদের মদদদাতাদের মুখোশ উন্মোচিত করে দিবো।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মো : আলম হোসেনের মোবাইলে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

 



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »