“সাহস” মূলত একটা টিমের সিনেমা – সাজ্জাদ খান

Spread the love

তুষার ইমরান নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাগেরহাটের দুই পাশে নদী আর পেছনে জঙ্গল। জীবন এখানে প্রকৃতির মতই খেয়ালী, ঝড়-ঝঞ্ঝা অবিরাম। এরই মাঝে ফুল হয়ে ফুটতে চায় নীলা-রায়হানের প্রেম। কিন্তু আচমকা ঝড়ে লন্ডভন্ড হয় সব। ঘুরে যায় জীবনের কম্পাস। তবুও দমে না তারা। বুকে সাহস নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায়, লড়াই করে প্রাণপণ। এমন খাঁটি একটা গল্প নিয়ে সাজ্জাদ খান নির্মাণ করেছেন চরকি এক্সক্লুসিভ সিনেমা ‘সাহস’ ফুয়েলড বাই মাই ফুয়েল পাম্প। বাগেরহাটের আঞ্চলিক ভাষায় লোকালভাবে নির্মিত সিনেমাটা আগামী ১৬ জুন মুক্তি পেতে যাচ্ছে চরকিতে।

কনটেন্টের বিষয়বস্তু সময়ের সাথে ভীষণ মিলে যায়। কোনো কৃত্তিমতা নেই। চরকিতে এই বছরের শুরুতে ১০০% লোকাল সিরিজ হিসেবে রাজশাহীতে নির্মিত ‘শাটিকাপ’ বেশ আলোচনার জন্ম দেয়।

সিনেমার রায়হান চরিত্র দেখা যাবে মোস্তাফিজ নুর ইমরানকে। তার বেড়ে ওঠা, শৈশব, কৈশোর সব কেটেছে বাগেরহাটেই। সিনেমটা নিয়ে তার আবেগের জায়গাটা একটু ভিন্ন। তিনি বলেন, ‘বাগেরহাট আমার নিজের শহর। অভিনেতা হিসেবে যদি বলি, এই শহরের হেঁটে-চলে অভিনয় করাটা আমার জন্য খুব উপভোগ্য ছিল। বাগেরহাটের মানুষ কখনও শুটিং দেখেনি, তার উপর আবার সিনেমা। গোটা শহরের মানুষ শুটিং দেখে খুব মজা পেয়েছে।

পুরা কাজটা করার সময় আমার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, বাগেরহাটের রেপাটরি থিয়েটারের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। এই মানুষগুলার সহযোগিতার কারণে কাজটা করার সাহস পেয়েছি। সেই সাথে সিনেমার পরিচালক, সহঅভিনেত্রীরা ছিলেন দুর্দান্ত।’

এই সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে আছেন নাজিয়া হক অর্ষা। তিনি বলেন, ‘এরকম গল্পের সঙ্গে কাজ করতে পারলে আমার বরাবরই ভালো লাগে। কারণ সমসাময়িক যে ধরনের গল্প হয় তা থেকে আলাদা। একটা লোকাল অঞ্চলের চিন্তা-চেতনা, সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে একটা সিনেমা খুব রেয়ারলি হয়। তো দেখা যাচ্ছে যে, এরকম একটা কাজের সাথে থাকতে পেরে নিজে সৌভাগ্যবানই মনে হচ্ছে।’

‘সাহস’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক নতুন অভিনেতা। যাদের বেশিরভাগই বাগেরহাটের স্থানীয়। খালিদ মাহবুব তূর্য, শাফিন সানি, রাজেশ সেন, রিজিয়া পারভীন, বাবুল রহমান, সাহেদ রানা, ইমরান হোসাইন ফার্সি নামের এই মানুষগুলার দেখা মিলবে চরকি এক্সক্লিসিভ সিনেমা ‘সাহস’ ফুয়েলড বাই ‘মাই ফুয়েল পাম্প’-এ। ১৬ জুন রাত ৮টা থেকে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে দেখা যাবে ‘সাহস’।

এক নজরে ‘সাহস’-এর ট্রেইলার দেখে ফেলতে পারেন- https://fb.watch/dFcD_d0lD4/
বাগেরহাটের লোকাল ভাষায় কাজ করার জন্য নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করেছেন- এমন প্রশ্নে অর্ষা বলেন, ‘আমি বাগেরহাটে গিয়ে জানতে পারি সেখানকার লোকাল ভাষায় শুটিং হবে। প্রথমে বেশ ভয়ই পেয়েছি। কিন্তু সবার সহযোগিতায় কাজটা শেষ করেছি। জানি না দর্শকের কতটুকু বভালো লাগবে তবে আমি চেষ্টা করেছি।’

‘সাহস’-এ একদম ভিন্ন এক চরিত্রে দেখা যাবে খাইরুল বাসারকে। তিনি বলেন, ‘এই সিনেমায় আমাকে খুব অল্প সময় দেখা যাবে। তবে খুব জরুরি ও মিস্ট্রিময় চরিত্র। সাধারণত এমন চরিত্রে আমার কাজ করা হয়নি। আর এখানে সাহস-এর গল্পটা নিজেই হিরো।’

 

এই সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক করছেন কুন্তল বিশ্বাস বিকু। তিনি বলেন, ‘সিনেমার কাজ এই প্রথম করা হলো। কাজটা করার সময় আমাদের টিমের দুই-একজন বাদে সবাই আমরা নবীন অভিনেতা ছিলাম। প্রচণ্ড উত্তেজনা, ভয়, সাহস, আবেগ নিয়ে কাজটা করা হয়েছে। আর মোস্তাফিজ নুর ইমরান ভাইয়ের সহযোগিতায় কাজটা আমার জন্য সহজ হয়ে গিয়েছিল। এখন দর্শক যদি কাজটা পছন্দ করে তাহলেই হবে আমাদের স্বার্থকতা।’
সম্পূর্ণ ঢাকার পরিবেশ ও আবহাওয়ায় বড় হয়েছেন সাজ্জাদ খান। বাগেরহাটের এমন আঞ্চলিক ভাষা ও ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করেছেন তিনি। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি বলেন, ‘একদিন রাতে ইমরানের সাথে ফোনে কথা বলতে বলতে পরিকল্পনা হয় সিনেমা বানাবো। তারপরই তো সাহস নিয়ে সাহস বানিয়ে ফেললাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম থেকেই ইচ্ছা ছিল মফস্বলের গল্প দেখানোর। তারপর তো ধীরে ধীরে টিম গঠন হলো। সিনেমাটা বানানো হলো। এখন দর্শকদের দেখার পালা। সাহস মূলত একটা টিমের সিনেমা।’

 



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »