বাংলাদেশের  ব্লু   ইকোনমি নিয়ে স্বাধীন গণআদালত

ব্লু ইকোনমির ক্ষেত্রে উপকূলীয় মানুষের অধিকার রক্ষাকে প্রাধান্য দিতে হবে

ডিসেম্বর ০১ ২০২০, ১৭:০০

Ajkerjholok

Spread the love

বাংলাদেশের  ব্লু   ইকোনমি নিয়ে স্বাধীন গণআদালত: ব্লু ইকোনমির ক্ষেত্রে  উপক‚লীয় মানুষের অধিকার রক্ষাকে প্রাধান্য দিতে হবে

ajkerjholok

ঢাকা, ৩০ নভেম্বর, ২০২০। ব্লু ইকোনমি সম্পর্কিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উপকূলীয় মানুষের অধিকার, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র ও প্রতিবেশ এবং বিশেষ করে প্রাকৃতিক সম্পদ নির্ভর প্রান্তিক মানুষের জীবন ও জীবিকার অধিকার রক্ষার বিষযটি সক্রিয়ভাবে নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে একটি আন্তর্জাতিক গণআদালত। গত ৩০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক জুরি, বিশেষজ্ঞ এবং অধিকার কর্মীদের অংশগ্রহণে এই ভার্চুয়াল এই গনআদালত পরিচালনা করা হয়।  ইকোনমি টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মডেল হিসাবে আবির্ভূত হলেও, এই গণআদালত দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জন্য এই ব্লু ইকোনমি নব্য উদারতাবাদী অর্থনীতি সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখতে পারে বলে অভিমতক প্রকাশ করা হয় গণআদালতে। পিআইপিএফপিডি (ভারত) এর সাধারণ সম্পাদক এমজে বিজয়ান এবং কোস্ট ট্রাস্টের (বাংলাদেশ) উপ-নির্বাহী পরিচালক সনাত কুমার ভৌমিক গণআদতালতটি সঞ্চালনা করেন।

উদ্বোধনী অধিবেশনে ওয়ার্ল্ড ফোরাম অব ফিশারফোক পিপল (ডাবলুএফএফপি) জেনারেল সেক্রেটারি নাদিন নেমবার্ড (জ্যামাইকা), ইন্টারন্যাশনাল প্ল্যানিং কমিটি ফর (আইপিসি) ফিশারিজ ওয়ার্কিং গ্রুপের নাসিগ জাফর (দক্ষিণ আফ্রিকা), কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী (বাংলাদেশ), ন্যাশনাল ফিশারফোক ফোরাম (এনএফএফ)-এর চেয়ারম্যান নরেন্দ্র পাতিল (ভারত), চেয়ারম্যান, এনএফএফ (ভারত) বক্তৃতা করেন। এতে জুরি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপমহাদের প্রখ্যাত পরিবেশ এবং খাদ্য অধিকার কর্মী ডক্টর বন্দনা শিবা, সিনিয়র অ্যাডভোকেট ও প্রাক্তন ইউএন র‌্যাপোটিয়ার আনন্দ গ্রোভার, আবিকা উহাকি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ইজার এমবোগিরি (কেনিয়া), নারীপক্ষের নির্বাহী কমিটির সদস্য শিরিন পারভিন হক (বাংলাদেশ)। এর পর এমএস জেসু রেথিনাম, পরিচালক, ইন্ডিয়া ট্রাইবুনালের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে ““The Blue Economy in Bangladesh: Exploring the Socio-Economic Political and Ecological Implications on the Coastal Communities”.  ”. শীর্ষক একটি সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এ গান্ধিমথি। সমীক্ষাটি এমন তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছে যা বøু ইকোনমি মডেলকে নব্যউদারতাবাদী মডেল করে তুলেছে, এই তিনটি কারণ উপক‚লীয় এবং সামুদ্রিক সম্পদের অতি ব্যবহারের ফলে জীববৈচিত্র্য হ্রাস, উপকূলীয় অধিবাসীদের নিজেদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ প্রশাসনিক ব্যবস্থা, এবং সমুদ্র ও উপক‚লীয় অঞ্চলে ব্যবহারকারীর অধিকার এবং সমুদ্র এবং উপক‚লে উন্মুক্ত প্রবেশাধিকারের ফলে জীবিকার উৎসের ক্ষয়ক্ষতি। তবে তিনি তা বলেছেন বøু একোনমি উপকূলীয় জীবন জীবিকার আমুল পরিবর্তন আনতে পারবে যদি একে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায়।

কক্সবাজারের বিভিন্ন পেশার কয়েকজন বাসিন্দা তাদের এলাকার সা¤প্রতিক পরিস্থিতি গণআদালতে উপস্থাপন করেন। মহেশখালীর বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাছাকাছি বসবাসকারী মহেশখালীর বাসিন্দা মোঃ মামুনুল হক বলেন, স্থানীয় শ্রমিকদের এই অঝ্চলে নিয়োগ দেওয়া উচিত। সরকারের উচিত প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা। কক্সবাজারের গভীর সমুদ্রের মাছ ধরেন এমন একজন মোঃ আবদুল হালিম বলেন, বড় ট্রলারগুলো বেশিরভাগ মাছ ধরে নেওয়ায় ছোট ছোট নৌকার জেলেরা এখন মাছ পাচ্ছেন না। শুটকি মাছ উৎপাদনকারী মোঃ আমান উল্লাহ বলেন, কাঁচা মাছের উৎপাদন ধীরে ধীরে হ্রাস পাওয়ায় তাদের কাজের সুযোগও হ্রাস পাচ্ছে। তিনি জৈবপদ্ধতিতে শুটকি উৎপাদনের বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। কাঁকড়া চাষী মোঃ এনায়েত উল্লাহ বলেন, মহামারীর কারণে আমরা কাঁকড়া রফতানি করতে পারি না, এটি আমাদের জীবন-জীবিকাটিকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। কক্সবাজার শহরের বাসিন্দা আসিফ উদ্ দৌলা বলেছেন, বøু ইকোনমির ফলে এখন পর্যটন ব্যবসা বহুজাতিক সংস্থাগুলিতে স্থানান্তরিত হয়েছে। ফলস্বরূপ, উপক‚লীয় স¤প্রদায় তাদের জীবন-জীবিকা হারাচ্ছে। কোস্টের মোঃ শাহিনুর ইসলাম মহেশখালী দ্বীপের জেলে সম্প্রদায়ের নানা সমস্যার উপর বক্তৃতা করেন। ইউএন ক্লাইমেট টেকনোলজি সেন্টারের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য- সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী এবং সৌম্য দত্ত, Promotion of Culture Fishers in the Context of Blue Economy and Climate Change. Aggressive Oceanic & Coastal Development and Future of Fishers Livelihoods respectably শীর্ষক বিশেষ রচনা উপস্থাপন করেন

জুরি বোর্ড তাদের অন্তর্বকালীন পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন যে, উপক‚লীয় স¤প্রদায়ের মানুষজনকে সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করতে হবে। প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রেখে স¤প্রীতি বজায় রাখা এবং উপক‚লীয় স¤প্রদায়ের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে, লাভজনক উপার্জন নয়। এই অঞ্চলের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষা করে, এই অঞ্চলের মানুষের অধিকারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, অন্ধভাবে বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফের চাপানো পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত নয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »