উপকূলীয় জেলে পরিবারে জেন্ডার সমতা ও ন্যায্যতার সুযোগ তৈরীতে সমন্বয় কমিটি গঠন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

Ajkerjholok

Spread the love

উপকূলীয় জেলে পরিবারে জেন্ডার সমতা ও ন্যায্যতার সুযোগ তৈরীতে সমন্বয় কমিটি গঠন কর্মশালা অনুষ্ঠিত :
টেকসই মৎস্যসম্পদ বিনির্মাণে নারীর অংশগ্রহণ এবং নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করবে কমিটি

ঢাকা । বুধবার (১৮নভেম্বর) বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। মৎস্যখাত থেকে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৩%, জিডিপির ৪.৩৭% এবং মোট কৃষি খাতের ২৩.৭% ভাগ অর্জিত হয়। সরকারের নানা ইতিবাচক উদ্যোগের ফলে অভ্যন্তরীণ উৎস্য হতে মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম শীর্ষ স্থানে রয়েছে। তবুও উপকূলীয় প্রান্তিক জেলেদের জীবনমান উন্নয়নে এখনো অনেক কিছু করার প্রয়োজন রয়েরছ। বিশেষ করে জেলে পারিবারের নারীদের অবস্থান ও অবদান নিয়ে বিশেষ উদ্যোগের প্রয়োজন।

Jholok

সকাল ১০ঘটিকার সময় কোস্ট ট্রাস্টের সাহিদা কাদের মিলনায়তনে সেন্ট্রাল জেন্ডার কমিটি গঠন বিষয়ক কর্মশালায় সংস্থান উপ-পরিচালক ফেরদৌস আরা রুমীর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্যে সংস্থার সকারী পরিচালক মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, কোস্ট ট্রাস্ট ১৯৯৭ সাল থেকে উপকূলীয় জেলেদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক কাজকে অগ্রাধীকার দিয়েছে। ভোলা, বাগেরহাট ও কক্সবাজার জেলায় ‘সুইড-বায়ো’ এর সহায়তায় পরিচালিত ‘জেন্ডার ও এ্যাকুয়াকালচার’ প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় জেলে পরিবারের নারী সদস্যদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উপর একটি গবেষণা পরিচালনা করেছে। গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী নারীদের অগ্রগতির জন্য জাতীয় পর্যায়ে যেসকল সংস্থা জেন্ডার মূলশ্রতধারা ও জেন্ডার ন্যায় বিচার নিয়ে কাজ করে তাদের নিয়ে একটি সমন্বয় নেটওয়ার্ক তৈরী করা হয়। এই কমিটি মৎস্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে সমন্বিত সহযোগিতার জন্য কাজ করবে ও উপকূলীয় মৎস্য চাষে নারীদের অংশগ্রহন ও জেন্ডার ন্যায্যতা নিয়ে কাজ করবে। জাতীয় পর্যায়ে কর্মশালা যা স্থানীয় বা জেলা পর্যায়ের সুপারিশ নিয়ে এ্যাডভোকেসি ও পলিশি তৈরী ও সংশোধনের জন্য কর্মসূচী অব্যাহত রাখবেন’’ ।

প্রধান অতিথি কোস্ট ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান বেগম সামছুন নাহার বলেন ‘‘ জেলে নারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের আয়মূলক কাজে যুক্ত করতে হবে, পাশা-পাশি তাদের অধিকার বিষয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

উপ-নির্বাহি পরিচালক সনত কুমার ভৌমিক বলেন জেলোরা যখন নদীতে/সাগরে মাছ ধরতে যায় তখন পুরো পরিবারটি সামলে রাখেন নারীরা অথচ সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে নারীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছেনা।

এছাড়াও ভোলা, কক্সবাজার ও বাগেরহাট থেকে আসা নারী নেত্রীরা সভায় বক্তব্য রাখেন । তারা নিজ নিজ এলাকার নারীদের অবস্থান ও জেলে কাজে তাদের অবদানের কথা তুলে ধরেন ।

কর্মশালার সভাপতি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন ‘‘কোস্ট ট্রাস্ট সব সময় উপকূলীয় জেলেদের অধিকারের বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েছে। সহকর্মীরা প্রান্তিক জেলেদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ অব্যাহত রেখেছে। দাতা সংস্থার পাশা-পাশি কোস্ট ট্রাস্ট নিজস্ব অর্থায়নে এ কাজ অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর। এই মুহুর্তে ঘুরে দাঁড়াতে বিকল্প কর্মসংস্থানমূলক প্রতিষ্ঠান দরকার’’।

পরিচালক মোস্তফা কামাল বলেন ‘‘কৃষি উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা পেলে নিজেদের পাশাপাশি এলাকাকেও সমৃদ্ধ করতে পারবে জেলেরা, জেলে নারীদের জেন্ডার ন্যায্যতা নিয়ে সচেতনতা বাড়তে হবে’’।

সরকারি সুবিধা পেতে সকল পর্যায়ের নারী জেলেদের নিবন্ধিত হওয়ার আহবান জানান উপস্থিত বক্তাগন। কর্মশালা শেষে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট সেন্ট্রাল নারী নেটওয়াক উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা :
১. প্রধান উপদেষ্টা : বেগম শামছুন্নাহার  ২. জেন্ডার ফোকাল ওয়ার্ল্ড ফিষ  ৩. মাসুমা ফারুক রত্না ৪. সাবরিনা ৫. কল্পনা৬. শমীমা ৭. মিসেস মিতা
৮. মারিয়া বেগম ৯. ফাতেমা বেগম ১০. রাজিয়া সুলতানা ১১. জিনাত রেহানা ১২. জোৎসা বেগম  ১৩. জেন্ডার প্রতনিধি কোস্ট ট্রাস্ট ।

 

বার্তা প্রেরণ : মোঃ জহিরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক, কোস্ট ট্রাস্ট ।



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »