আজকের ঝলক নিউজ

এনজিও কর্মীদের জীবন ব্যবস্থা

Spread the love

এনজিও কর্মীদের জীবন ব্যবস্থা

আজকের ঝলক :

ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে যাচ্ছে এনজিও কর্মীদের জীবন ব্যবস্থা। অন্যান্য পেশার সাথে তাল মিলিয়ে এনজিও কর্মীরা দিনে ৮ ঘন্টার বেশি পরিশ্রম করলেও তারা ওভার টাইমের আওতায় নেই। গার্মেন্ট কর্মীরা ৮ ঘন্টার বেশি পরিশ্রম করলেও তারা অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য ওভার টাইম পায় কিন্তু দেশীয় এনজিওগুলো কর্মীদের এরকম সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন আগ্রহী নয়। কর্মীদের ছুটি নিয়েও রয়েছে অভিযোগ।

মাঠেও ভিভিন্ন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। প্রায়ই কর্মীরা শাররীক ও মানুসিক আঘাত সহ্য করেন। কোনো সংস্থা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও অনেক সংস্থ এসকল বিষয় কর্মীকে একাই মোকাবেলার জন্য ছেড়ে দেন।

এ বিষয় পড়তে পারেন http://ajkerjholok.com/ngo/12954/ মাদারীপুরে এনজিও কর্মীর ২০ লাখ টাকা ছিনতাই

http://ajkerjholok.com/court-of-law/12845/ নারী এনজিও কর্মীর গায়ে হাত

 

সময় এসেছে এনজিও কর্মীদের জন্য একটি মানবীয় নীতি গ্রহন করার জন্য জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন করা।

এছাড়াও বেশ ঝুকি নিয়ে কাজ করেন তারা কিছু দিন আগের ঘটনা

ঘাতক চেয়েছিলেন আরো এনজিও কর্মী খুন করতে । অবশেষে খুনের কারণ ‍উদঘাটন করেছেন গোয়েন্দা সংস্থা । জানা গেছে, স্থানীয় সোনালী অটোগ্যারেজ ওয়েল্ডিং পোলট্রি ফার্মের মালিক ইউসুফ হোসাইন এসডিসি থেকে ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণের বিপরীতে সাপ্তাহিক কিস্তি আদায় করতে গিয়েই দুই এনজিও কর্মকর্তা পরপর খুন হন। আদালতে দেওয়া ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দুই হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেছে দুই ঘাতক। আরও কর্মকর্তাকে খুনের পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছে ঘাতক ইউসুফ।

আজকের ঝলক এনজিও প্রতিনিধি :

বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান (এনজিও) সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটির (এসডিসি) দুই কর্মকর্তা ৩ মাসের ব্যবধানে খুন হয়েছেন। কিস্তির টাকা আদায় করতে গিয়ে তারা খুনের শিকার হন। গত বছর ৫ ডিসেম্বর এসডিসির সিনিয়র ক্রেডিট অফিসার রাজিবুল ইসলাম রাজিব এবং এ বছর ১৬ মার্চ ক্রেডিট অফিসার অভিজিৎ কুমার মালো নিখোঁজ হন। ঢাকার নবাবগঞ্জের একটি স্পটে তাদের ইলেকট্রিক শক দিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

জানা গেছে, স্থানীয় সোনালী অটোগ্যারেজ ওয়েল্ডিং পোলট্রি ফার্মের মালিক ইউসুফ হোসাইন এসডিসি থেকে ৮০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণের বিপরীতে সাপ্তাহিক কিস্তি আদায় করতে গিয়েই দুই এনজিও কর্মকর্তা পরপর খুন হন। আদালতে দেওয়া ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দুই হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেছে দুই ঘাতক। আরও কর্মকর্তাকে খুনের পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছে ঘাতক ইউসুফ।

সম্প্রতি ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানার আদালতে ঘাতক ইউসুফ জানায়, ঋণের কিস্তির টাকা আদায়ের জন্য প্রতি সপ্তাহে রাজিব আমার কাছে আসতেন। আমি তাকে প্রতি সপ্তাহে দুই হাজার করে টাকা দিতাম। আরও বিভিন্ন সংস্থা থেকে আমার ঋণ নেওয়া ছিল। ওইসব সংস্থার লোকজন কিস্তি নিতে আসত। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি শুরু হওয়ার আগে আমার ফার্মের অনেক মুরগি মারা যায়। এতে অর্থ সংকটে পড়ে যাই।

ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। এনজিওর লোকজনও কিস্তির জন্য চাপ দিতে থাকে। তখন পরিকল্পনা করি রাজিবকে হত্যা করে তার কাছে থাকা টাকা নিয়ে অন্য এনজিওর ঋণ পরিশোধ করব। কর্মচারী মোস্তফাকে জানালে প্রথমে সে নিষেধ করেছিল। পরে আমার চাপাচাপিতে সে রাজি হয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী এক সপ্তাহ আগে একটি কাঠের মাঝে চার ইঞ্চি দুটি পেরেক লাগাই। একটিতে বিদ্যুতের সংযোগ দেই এবং অন্যটিতে নিউট্রাল তার লাগিয়ে শক দেওয়ার মেশিন (‘টি’ আকৃতির) বানাই। পাশাপাশি ফার্মের পেছনে মোস্তফাকে একটি গর্ত করে রাখতে বলি। যেখানে আগে থেকে মুরগির বিষ্ঠা ফেলে হয়।

জবানবন্দিতে ইউসুফ বলেন, নির্ধারিত দিনে বাইসাইকেল চালিয়ে রাজিব কিস্তির টাকা নিতে আমার ফার্মে আসেন এবং একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে বসেন। তাকে কিস্তির দুই হাজার ১০০ টাকা দিই। ওই টাকা তিনি গুনতে থাকলে পেছন দিক থেকে আমি তার ঘাড়ে ইলেকট্রিক শক মেশিন চেপে ধরি। রাজিব নিস্তেজ হয়ে পড়লে মোস্তফাকে বলি রাজিবের সাইকেলটি দূরে কোথাও রেখে আসতে। টিকিরপুর এন মল্লিক পেট্রোল পাম্পের সামনে সে সাইকেলটি রেখে আসে। পরে তার লাশ ফার্মের পেছনের গর্তে মাটিচাপা দিয়ে রাখি। উপরে ভুসি ও মুরগির বিষ্ঠা ফেলে রাখি। যাতে কেউ কোনো সন্দেহ করতে না পারে। ইউসুফ আরও বলেন, রাজিবকে হত্যার পর তার কাছ থেকে তখন আমরা ৩১ হাজার টাকা পাই। তার জুতা ও ব্যাগ পুড়িয়ে ফেলি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখি। ঘটনার পাঁচ দিন পর রাজিবের মোবাইল ফোন অন করে এসডিসির ম্যানেজারকে কল দিই।

আরো বলেন

তার কাছে রাজিবের মুক্তিপণ হিসাবে দুই লাখ টাকা দাবি করি। পরে সিম ভেঙে রাস্তার পাশে ফেলে দিই। রাজিবের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোনসেটই মোস্তফাকে দিয়ে দিই। পরবর্তীতে আমার একটি ফোনসেট নষ্ট হলে মোস্তফার কাছ থেকে রাজিবের বাটন সিম্ফোনি সেটটি নিয়ে ব্যবহার করতে থাকি। ইউসুফ আরও বলেন, রাজিব নিখোঁজ হওয়ার পর তার খোঁজে এনজিওর লোকজন আমার কাছে এসেছিলেন। আমি তাদের বলেছি, রাজিব এসে টাকা ও বই নিয়ে চলে গেছেন।

স্বীকারোক্তিতে ইউসুফ বলেন, রাজিবকে হত্যার পর তার জায়গায় ঋণের টাকা নিতে আসতেন অভিজিৎ। তাই একই কায়দায় তাকেও হত্যার পরিকল্পনা করি। ঘটনার আগের দিন গ্যারেজের পেছনে ইছামতি নদীর ধারে বাঁশঝাড়ে গর্ত খুঁড়ে রাখি। ১৬ মার্চ অভিজিৎ দুপুর ১টার দিকে আমাকে ফোন দেন। কিন্তু আমি তার ফোন রিসিভ করিনি। কারণ তিনি যেন আমার গ্যারেজে আসেন। দুপুর সোয়া ১টার দিকে অভিজিৎ সাইকেল চালিয়ে আসেন এবং আমি তাকে ৩৫০ টাকা দিই।

ভিডিও দেখুন https://www.youtube.com/watch?v=LvH-hz0hNqI