আজকের ঝলক নিউজ

এনজিও কর্মীদের জন্য সমন্বিত টেকসই পরিকল্পনা প্রনয়ন সময়ের দাবি

Spread the love

এনজিও কর্মীদের জন্য সমন্বিত টেকসই পরিকল্পনা প্রনয়ন সময়ের দাবি

 

বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ করে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এনজিওদের ভূমিকা অপরিসীম । এমডিজি অর্জনে এনজিওগুলো বিশেষ অবদান রেখেছে। কিন্তু তার প্রকৃত স্বীকৃতি কই ? । জাতীয় অর্থনীতিতে এনজিও কর্মীদের ভূমিকার স্বীকৃতির প্রয়োজন রয়েছে সাথে সাথে টেকসই পরিকল্পনা । পরিকল্পনার ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেতে পারে ।
– এনজিও কর্মীদের চাকুরিবিধি ও বেতন কাঠামো সরকার কর্তৃক নির্ধারিত করে দেয়া ।
– এনজিও কর্মীদের বীমার আওতায় আনা কারণ এনজিও কর্মীরা বেশ ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে সেক্ষেত্রে অনেক সময় কর্মীরা কাজ করা অবস্থায় আহত-নিহত হয় ।
– এনজিও কর্মীদের পিএফ, গ্যাইচ্যুটিসহ সকল সঞ্চয় যাতে সঠিকভাবে ফেরৎ পায় সে জন্য সরকারী মনিটরিং জোরদার করা ।
– দেশের উন্নয়নে এনজিওগুলো কতটুকো ভূমিকা রাখছে তা সংখ্যায় গুনগতমানে প্রকাশ করা দরকার এবং জাতীয় বাজেটে এনজিওদেও জন্য বরাদ্দ রাখা ।
– এনজিওদের জবাবহিদীতা নিশ্চিত করতে তাদের জন্য একটি নিদ্রিষ্ট মানবসম্পদ ও অর্থ-নীতিমালা থাকা প্রয়োজন যা সরকার কর্তৃক নিদ্রিষ্ট থাকবে।
– অনেক ছোট ছোট এনজিওরা কাজ পায়না সে ক্ষেত্রে স্থানীয়করণ করে সকল এনজিওদের ফান্ড দেয়ার ব্যবস্থা করা ।
– বড় বড় এনজিওগুলোকে ঋণের লাভের টাকার একটি ফান্ড তৈরী করে সহজ শর্তে ছোট ছোট এনজিওদেরকে উন্নয়ন ফান্ড হিসাবে দেয়া, যাতে ছোট ছোট এনজিওগুলো উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যেতে পারে ।
– পিকেএসএফ’র মতো আরো অর্থ-প্রদান কারী সংস্থার প্রয়োজন ।
– প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি কমিটি রাখা প্রয়োজন আছে ।
– এনজিওদের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার দিকেও মনোনিবেশ করতে হবে । জাতীয় সকল পর্যায়ে যাতে এনজিওগণের প্রতিনিধিরা থাকেন সে ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে স্থায়ী কমিটিগুলোতে ।

লিখেছেন :

মোঃ জহিরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক, জেন্ডার ও এ্যাকয়াকালচার ।