প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব’র্তমানে করোনার বিস্তার ঠেকাতে মাস্ক পরা নিশ্চিত করার জন্য প্র’য়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ০৭ ডিসেম্বর অনলাইনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন এবং স্থানীয় স’রকারের প্রতিনিধিদের এ নির্দেশ দেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সং’বাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
কোভিড-১৯ সম্পর্কে এখন বি’জ্ঞানীরা সব জানেন না। সময়ের সঙ্গে এটি দুর্বল হয়ে পড়বে নাকি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। হার্ড ইমিউনিটি আসলেই সম্ভব কিনা ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর এখনো ধোঁয়াশায়। তবে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য মার্কিন ওষুধ উ’ৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকাকে সর্বসাধারণের ব্য’বহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
দেশে করোনা ভা’ইরাসের সবশেষ অবস্থা নিয়ে রোববার (০৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, এ দিন ক’রোনা আক্রান্ত হয়ে ৩১ জনের মৃত্যু হয়। এতে দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃ’তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৮৩৮ জন। একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৬৬ জন। করোনাভাইরাস নিয়ে উ’ৎকণ্ঠা, ভয় শেষ না হতেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে সদস্যদের সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কেবল পশ্চিমা দেশেই নয়, বাং’লাদেশেও দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
তবে ভ্যাকসিন কবে না’গাদ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশগুলো পাবে সেটি নিয়ে ধোয়াশা রয়েছে ব্যাপক। তাই ভ্যা’কসিন আসার খবরে উচ্ছ্বসিত হওয়ার সুযোগ নেই। আবার ভ্যা’কসিনের দাম এবং সহজ লভ্যতা নিয়ে সংশয় থাকায় সতর্কতারও বি’কল্প নেই। এতে মোট শ’নাক্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫৪৫ জন হয়েছে। একই সময়ে আরও ২ হাজার ৫৫২ জন ক’রোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। এতে আক্রান্তের মোট সং’খ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৯৬০ জন হয়।