আজকের ঝলক নিউজ

লামায় মামলার বাদীনিকে হুমকির অভিযোগ

Spread the love

ফরিদ উদ্দিন,লামা প্রতিনিধি
বান্দরবানের লামা উপজেলায় চাঁদা দাবী ও মারধরের প্রতিকার চেয়ে থানায় মামলা করায় বাদীনিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার বিকালে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বদুরঝিরির বাসিন্দা আবদুল হামিদের স্ত্রী সুমি আক্তার (২৪) সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, মামলায় অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ জামিনে বের হয়ে আমাকে মেরে ফেলবে কেটে ফেলবে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছেন। অপর অভিযুক্তরা হলেন- একই গ্রামের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদের ছেলে আবদুল হাকিম ও আবদুল হামিদ, জসিম উদ্দিনের স্ত্রী সুরা খাতুন (৪৫), কবির আহমদের স্ত্রী আয়েশা বেগম, বাহাদুর মিয়ার স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম (৩৫), শের আলীর ছেলে মো. হানিফ। হুমকিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান, মামলার বাদী সুমি আক্তার।

অভিযোগে জানা যায়, জমি বিরোধের জের ধরে গত ১৮ নভেম্বর বদুরঝিরি এলাকার আবদুল হামিদের স্ত্রী সুমি আক্তার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারায় নুর মোহাম্মদসহ ৭ জনকে বিবাদী করে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন।

 

মামলার আদেশের প্রেক্ষিতে বিরোধীয় জমিতে বাদী বিবাদীকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ প্রদান করে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাদীগন বাদীকে মারধর ও প্রানে হত্যার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ বাদীর কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবীসহ বসতবাড়ীতে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন হুমকি দেন। এ ধারাবাহিকতায় ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নুর

 

মোহাম্মদের নির্দেশে অপরাপর অভিযুক্তরা সুমি আক্তারের বসতবাড়ীতে হামলা করে। এ সময় প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা বাদী সুমি আক্তারসহ তিনজনকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। শুধু তাই নয়, এ সময় অভিযুক্তরা বাদীর কাছ থেকে একটি স্বর্ণের চেইন ও বসতঘর থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে এ ঘটনায় ২৫ নভেম্বর থানায় এজাহার দায়ের করলে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদী সুমি আক্তারকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। এদিকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান, অভিযুক্ত আবদুল হাকিমসহ অন্যরা।

 

মামলার বাদী সুমি আক্তার বলেন, মামলায় আটাক নুর মোহাম্মদ কারাগার থেকে জামিনের বের হয়ে আমাকে মেরে ফেলবে কেটে ফেলবে বলে আতœীয় স্বজন ও অন্য অভিযুক্তদের মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছেন। এতে আমি ও আমার পরিবারের অন্য সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

Exit mobile version