জাতীয় সংস’দে বিএনপি’র বিরুদ্ধে বাসে অগ্নিসং’যোগের পক্ষে তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীতে বাসে অগ্নিসংযোগের পর বিএনপি’র অডি’ও রেকর্ড শুনিয়ে তিনি বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় আছি। আমরা নিজেরাই আগুন দিয়ে আমাদের সরকা’রকে দুর্নামের ভাগীদার করবো কেন?
সোমবার রাতে জাতীয় সংসদ অ’ধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে বিএনপি সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ রা’জধানীতে সম্প্রতি ১১টি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপি’র বিরুদ্ধে প্রধা’নমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীদের ‘আনা অভিযোগ সত্য বলে দাবি করেন। এসময় তিনি ‘সংসদীয় কমিটি গঠনেরও দাবি জানান।
এর জবাবে সংসদে ফ্লোর নেন প্র’ধানমন্ত্রী। অধিবেশন মুলতবি ঘোষণার আগ মুহূর্তে স্পিকার ড. শিরীন শার’মিন চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি’ উঠতে চাইনি। কিন্তু মাননীয় সংসদ সদস্য যেভাবে কথাগুলো বল’লেন তা ঠিক নয়। আমার কাছে একটা রেকর্ড আছে, আ’মি তা এই সংসদে শোনাতে চাই। টেকনোলজি অনেক এগি’য়ে গেছে। এখন মানুষকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নেই।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী সং’সদে বিএনপি নেতা ও এক নেত্রীর গাড়ি পোড়ানো সংক্রা’ন্ত কথোপকথন পুরো’টাই শোনান। যা সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মা’ধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এরপর বিএনপি দলীয় এমপি মো. হা’রুনুর রশীদকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির এমপি’কে আমার সংসদের সামনের সিটে বসিয়েছি কথা বলার জ’ন্য। কিন্তু উনি বিভি’ন্ন সময় এমন এমন কথা তোলেন, সব সময় আ’মরা কথার উত্তর দেই না। কিন্তু আজকে তিনি যে কথা’গুলো বললেন- এ সম্পর্কে তার দলের তথ্য নিয়ে কথা বলা উচিত ছিল।
হারুনুর রশীদের উদ্দে’শ্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, উনি নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছে’ন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে- আদৌ তারা নির্বাচন করে কি না? নির্বাচনে তারা অংশ নেন, মনোনয়ন নিচ্ছেন আর যাচ্ছেন। কিন্তু নি’র্বাচনের দিনে কোন এজে’ন্ট দেন না। একটা সময় প্রার্থিতা প্রত্যা’হার করে বলেন, নির্বাচন ঠিক হচ্ছে না। আসলে জনগণের সম’র্থন হারিয়েছেন তারা অনেক আগেই। ২০০১ সালে চক্রান্ত করে ক্ষ’মতায় আসার পর সন্ত্রাস, মানুষ খুন করা, নারী নির্যাতন থেকে’ শুরু করে সকল প্র’কার নির্যাতন করেছে বিএনপি। হাজার হাজা’র মেয়েদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করানো অগ্নি ‘সন্ত্রাস করে মানুষ পোড়ানোই তাদের আন্দোলন।
তিনি বলেন, এখন তো টেক’নোলজির দিন। সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা আছে। হাতে-নাতে ধরা পড়ে যাচ্ছে। কারা কারা সত্যিকারে আগুন দিচ্ছে- এ’গুলো একদম পরিষ্কার। কারণ আমার কাছে ছবি আছে। সংসদে ছবি দেখানোর সুযোগ থাকলে আমি ছবি দেখাতে পারতাম’। কয়েকজন মিছিল থেকে বেরিয়েই বাসে আগুন দিচ্ছে সেই ছবি আমার কা’ছে আছে। রাস্তার সিসি ক্যামেরা থেকে সেগুলো নে’ওয়া। সুতরাং আগুন দিয়ে সংসদে এসে সরকারের ওপর দোষারোপ করা- এটা তাদের অভ্যাস।
বিএনপির উদ্দেশ্যে শে’খ হাসিনা বলেন, এটা তাদের গোড়ায় গলদ। জি’য়াউর রহমান ক্ষমতায়’ এসেছে হত্যা-ষড়যন্ত্র করে। তার ক্ষমতা দখলটাই হচ্ছে খু’নের মধ্যে দিয়ে। সে খুনের রাজনীতি, সন্ত্রাসে’র রাজনীতি ভালো বু’ঝো। দুর্নীতি করা, অর্থ পাচার করা, নানা ধরনের অপকর্ম তা’রা করে গেছে। কোন কারণ নেই বাসে আ’গুন দিয়ে পোড়ানো। কিন্তু তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এটা করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা নেতা বানি’য়েছে কাকে? খুনের মামলার আসামি, ১০ ট্রাক অস্ত্র মা’মলার আসামি, যে দেশ থেকে পলাতক- তাকে বানানের দলের ভারপ্রাপ্ত চে’য়ারম্যান। দেশে কি এমন কোনো যোগ্য নেতা নেই, যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হতে পারেন? ফেরারি খুনের আসামি দ’লের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তাদের নেত্রী এতিমের টাকা আত্মসাৎ করা সাজাপ্রাপ্ত। কিন্তু তবুও তাকে বাসায় থাকতে দেওয়া হয়েছে।
সংসদে অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত’ না করার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জা’নান তিনি। সাথে সাথে মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধেরও অনু’রোধ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।