চাঁ’দপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় আপন ভা’তিজা মো. মহিবকে (৭) খেলার মা’ঠ থেকে তুলে নিয়ে হ’ত্যার অপরাধে চাচা জামাল হোসেন ও সহ’যোগী সজীব আলমকে মৃ’ত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে ১০ হা’জার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়ে’ছেন আদালত। রবিবার বি’কেলে জেলা ও দায়রা জজ এসএম জি’য়াউর রহমান এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জা’মাল হোসেন মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘো’না গ্রামের গোগন প্রধানিয়া বা’ড়ির মুকবুল হোসেনের ছেলে এবং সজীব আলম একই গ্রা’মের ওমেদ আলী বেপারী বাড়ির মো. শ’হীদ উল্যাহর ছেলে। মামলার বা’দী মৃ’ত্যুদণ্ড জামাল হোসেনের ছোট ভাই ও নিহ’ত শিশুর পিতা মো. মা’সুদ রানা। ঘটনার সময় মাসুদ রানা প্র’বাসে ছিলেন।
আদালত প্রাঙ্গনে রা’য়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নিহত শি’শুর পিতা মাসুদ রানা জানান, ২০১৮ সা’লের ৩ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে তার ছেলে মহিব ঘোনা স্কুল মা’ঠে খেলতে যান। সন্ধ্যায় সে বা’তে না আসলে অনেক খোঁজাখুঁজি ক’রে ৪ ডিসেম্বর আমার স্ত্রী ও ভাই জামালসহ (আসামি) থা’নায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তী’তে মাসুদ রানাকে তার স্ত্রী ঘ’টনাটি জা’নালে তিনি দেশে এসে ৯ ডিসেম্বর থানায় মামলা দা’য়ের করেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত স’ন্দেহে প্রথমে সজিবকে আটক করেন। সজি’ আলম আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে গেলে আ’সল ঘটনা বেরিয়ে আসে।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ঘট’নার দিন খেলার মাঠ থেকে শিশু মহিব’কে ধরে নিয়ে চাচা জামাল ও স’হযোগি সজীবসহ তার চায়ের দোকানে হত্যা করে এবং তা’জুল ইসলাম নামে ব্যক্তির বাড়ির সে’প্টি ট্যাংকিতে ডুকিয়ে’ রাখে।
পরবর্তীতে মামলার তৎ’কালীন তদন্তকারী ক’র্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. ইব্রা’হীম খলিল তদন্ত শেষে ২০১৯ সা’লের ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশীট দাখি’ল করেন। আদালত দী’র্ঘ দেড় বছরে ২৫ জনের সা’ক্ষ্য গ্রহণ করেন এবং মাম’লার সকল নথিপত্র প’র্যালোচনা করে এই রায় প্রদান ক’রেন।
সরকার প’ক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্র’সিকিউটর রনজিত কুমার রা’য় চৌধুরী ও সহকারী পা’বলিক প্রসিকিউটর মোক্তার আহম্মেদ (অভি)। আ’সামিপক্ষের আইনজীবী ছি’লেন মো. শফিকুল ইসলাম ভুঁ’য়া, মো. মুরাদ হোসেন চৌধুরী ও মো’হাম্মদ আলী।