আলোচিত সেই গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বন্ধুর স্ত্রীকে ধ’র্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত এক আ’সামিকে সীমান্তবর্তী বান্দরবান থেকে গ্রে’ফতার করেছে পুলিশ। গ্রে’ফতার আসামি হলেন কাপাসিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সা’বেক সদস্য ব্যবসায়ী খা’ইরুল আলম সবুজ। তিনি কাপাসিয়ার সা’ফাইশ্রী গ্রামের মৃ’ত শুক্কুর আলীর ছে’লে বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ অনেক অ’ভিযোগ রয়েছে।
কা’পাসিয়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার ধ’র্ষণ মামলার আসামি খাইরুল আলম সবুজ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে বা’ন্দরবানে অবস্থান করছেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে এ খ’বর জানতে পেরে বান্দরবানে একটি হোটেলে অ’ভিযান চালিয়ে তাকে গ্রে’ফতার করা হয়। অভিযুক্ত আসামি খা’ইরুল আলম সবুজের সাত দিনের রি’মান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছি। মামলা সূ’ত্রে জানা গেছে, দলিল লেখক মাহফুজুর রহমান রাসেল মোল্লার স’হকারী হিসেবে কাজ করতেন সা’ফাইশ্রী গ্রামের এক ব্যক্তি। ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে রাসেল মোল্লা ওই ব্য’ক্তির বাড়িতে যান। ওই ব্যক্তি বাড়িতে না থাকার সু’যোগে তার স্ত্রীকে জোর করে ধ’র্ষণ করেন রাসেল মোল্লা। এ দৃশ্য রাসেল মো’ল্লা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। প’রে ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে রা’সেলের দুই বন্ধু সবুজ ও সোহেলকে নিয়ে প্রায়ই তারা ওই না’রীকে ধ’র্ষণ কর’তেন। মামলায় আরও বলা হয়, গত ২২ জুলাই খাইরুল ইসলাম সবুজ ওই নারীকে ধ’র্ষণ করেন। বিষয়টি ওই নারীর স্বামী জে’নে যান। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ সৃ’ষ্টি হয়। স্ত্রীর বাড়ির লোকজনকে ডে’কে এনে তার স্বামী সংসার ভাঙার ই’চ্ছা প্রকাশ করেন। গত ২৪ আগস্ট রাত সা’ড়ে ৯টার দিকে অভিযুক্ত ধ’র্ষণকারী রাসেল মোল্লা, সবুজ ও সোহেল ওই না’রীর বাড়িতে গিয়ে ওই নারী ও তার স্বা’মীকে গালিগালাজ করেন। এক’পর্যায়ে অ’স্ত্র দেখিয়ে তাদের হত্যার চে’ষ্টা করেন। পরে ওই নারী এ ঘটনার প’রিপ্রেক্ষিতে কাপাসিয়া থানায় এ’কটি মামলা দা’য়ের করেন।
অপর’দিকে অভিযুক্ত ধ’র্ষণকারী রাসেল মোল্লা, সবুজ ও সোহেল ওই নারীকে ধ’র্ষণ করার ভিডিও বিদেশি কয়েকটি প’র্নোসাইটে আপলোড করে মোটা অং’কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প’র্নোসাইটে ধর্ষণের ভি’ডিও আপলোড করার অভিযোগ এনে গা’জীপুর আদালতে ওই নারী বাদী হয়ে প’র্নোগ্রাফি আইন ২০১২-এর ৮(১) এবং প্যানেল কোট ৪৪৮/৫০৬ ধারার মা’মলা দায়ের করেন। ‘ধর্ষ’ণের শিকার ওই নারীর স্বামী অভি’যোগ করে বলেন, রাসেল মোল্লা, সবুজ ও সোহেল মিলে তার স্ত্রীকে ধ’র্ষণের ভিডিও আন্তর্জাতিক কয়েকটি প’র্নোগ্রাফি সা’ইটে বিক্রি করে দেন। ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের এসব প’র্নোসাইটে ধ’র্ষণের ভিডিও এখন সবার হা’তে হাতে। তিনি বলেন, বিদেশি অ’নলাইন সার্ভার এনজিইবিওকেইপি নামে’র সার্ভারের ওয়েব সাইট টিআইএনওয়াইইউআরএল ড’টকম এবং আন্তর্জাতিক কয়েকটি প’র্নোসাইটে ধ’র্ষণের ভিডিও আ’পলোড করা হয়। ধর্ষ’ণকারী আসামি রাসেল মোল্লার বাবা মফিজ উদ্দিন মোল্লা, আসা’মি সবুজের ব্যবসার ম্যা’নেজার দুলালসহ অন্যরা না’নাভাবে আমাকে ও আমার স্ত্রীর আ’ত্মীয়স্বজনদের হু’মকি দিচ্ছে।