আজকের ঝলক নিউজ

নোয়াখালীতে নির্যাতিতা গৃহবধূর মামলায় স্বামী গ্রেফতার

Spread the love

নো’য়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী এবং শ্ব’শুর বাড়ির লোকজনের হাতে নি’র্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক গৃ’হবধূ। নিজের নি’র্যাতনের চিত্র তুলে ধরে ঘটনার পুরো ব’র্ণনা দিয়ে একটি ভি’ডিও প্রকাশ করেন ওই গৃ’হবধূ। গত ৭ অক্টোবর ৫ জ’নকে আসামি করে থা’নায় লিখিত অ’ভিযোগ দায়ের করে বা’ড়িতে গেলে সেখানেও তাকে পূ’নরায় মরধর করে আ’হত করেন স্বা’মী জয়নাল।

অ’পরাধীরা গৃ’হবধূকে বিভিন্ন মাধ্যমে গুম খু’নের হুমকি দিচ্ছেন বলেও অ’ভিযোগ করেন নি’র্যাতিতা নারী। লিখিত অ’ভিযোগের পর ৭২ ঘণ্টা পার হয়ে গে’লেও অভিযুক্তদের গ্রে’ফতার না করায় নি’র্যাতিতাকে পালিয়ে বেড়াতে হ’চ্ছে। এমন ভি’ডিও সোস্যাল মিডিয়ায় প্র’কাশের পর পুলিশ শুক্রবার বিকেলে আ’সামি গৃ’হবধূর স্বামী জয়নালকে গ্রে’ফতার করে।

ভি’ডিওতে দেখা যায় নি’র্যাতিতা তার ওপর ঘটে যাওয়া নি’র্যাতনের বর্ণনা দিচ্ছেন। এস’ময় তিনি বলেন, ২০১৫ সালে সু’বর্ণচর উপজেলার চ’রক্লার্ক ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন চ’রক্লার্ক গ্রামের মৃত মনির আহম্মেদের ছেলে জ’য়নাল আবেদিন (৩৭)’র সাথে বিয়ে হয়। বি’য়ের পর জানতে পারেন জ’য়নাল এর আগেও আরো একটি বি’য়ে করেছেন এবং ওই ঘরে ২ টি স’ন্তানও রয়েছে। বিয়ের ৩ মাস পর থে’কে ব্যবসা করার নাম করে নি’র্যাতিতা নারীর কাছ থেকে একা’ধিকবার ৮০ হাজারের ম’তো টাকাও নেন জয়নাল।

এছা’ড়াও গত এক বছর ধরে তাকে যৌ’তুকের দাবিতে জয়নাল আ’বেদিন ও তার বড় ভাই মাঈন উদ্দিন (৪০), জসিম উদ্দিন (৪৩), মাঈন উদ্দিনের ছেলে তারেক (১৯) একা’ধিকবার অমানসিক নি’র্যাতন করে। গত ৫ অক্টোবর পূ’নরায় তাকে যৌ’তুকের জন্য মা’রধর করে স্বামী জয়নাল আ’বেদিন।

তি’নি আরো বলেন গত ৩/৪ মাস ধরে ন’দী থেকে তার পরিচিত লো’কের সাথে টাকার বি’নিময়ে রাত কাটাতে বাধ্য ক’রার চেষ্টা করেন, এ’তে সে রাজি না হলে শুরু হয় নি’র্মম নির্যাতন। মে’য়ের ওপর এমন নি’র্যাতনের খবর পেয়ে তার মা মে’য়েকে স্বামীর বাড়ি থেকে নিয়ে আ’সতে গেলেও অ’ভিযুক্তরা তাকেও পিটিয়ে আ’হত করে। পরে কৌ’শলে তারা জয়’নালের বাড়ি থেকে পা’লিয়ে এসে চরজব্বার থানায় এ’কটি লিখিত অভিযোগ দা’য়ের করেন।

এ বি’ষয়ে চর জব্বার থানার ওসি (তদন্ত) ইব্রাহিম খ’লিল জানান, অভিযোগ ৭ অ’ক্টেবর করা হলেও কিছু ভুল থা’কায় আজ শু’ক্রবার সকালে তা সংশোধন ক’রে মামলা রে’কর্ড করা হয়েছে এবং বি’কেলে অভিযুক্ত আসামি জ’য়নালকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে।

Exit mobile version