আজকের ঝলক নিউজ

মাদকের বিরুদ্ধে কুডিয়ানাবাসীরা দুর্বার গতিতে ও শক্ত অবস্থান নিয়ে প্রশংসার দাবীদার

Spread the love
পিরোজপুর জেলা   প্রতিনিধি
মাদকের কড়াল গ্রাসে নিমজ্জিত স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে আটঘর কুডিয়ানা ইউনিয়নের   সমগ্র  অলিগলি। বিগত সময়ে মাদকের বিরুদ্ধে কেহ দুর্বার আন্দোলনের ডাক দেয়নি। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সুন্দর সমন্বয় ছিলো না বিদায় মাদক সেবনকারীরা ও ব্যাবসায়ীরা ছিলো মুক্ত বিহঙ্গেরমত স্বাধীন। অথচ সময়ের পরিবর্তন ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের সুবাতাস প্রবাহিত হওয়ায় স্বরূপকাঠির আটঘর কুডিয়ানা ইউনিয়নের পরিবেশে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
গত দেড় বছর থেকে চমৎকার রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে রাজনৈতিক নেতাদের নেতৃত্বের সুবাতাসে।  মাননীয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের আর্শীবাদ সহ মাননীয় সংসদ শেখ এ্যানি রহমানের সুদৃষ্টির ফসল আজকের  কুড়িয়ানার রাজনীতি। যদিও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম আউয়াল মহোদয়কে ভুল পথে পরিচালনা করার কারনে কুডিয়ানার রাজনৈতিক পরিবেশ ছিল হিংসায় জর্জরিত। সেই সময়ে আটঘর কুডিয়ানা  এলাকার নাম মাত্র দুএক জনের কুপরামর্শে  সমগ্র কুডিয়ানা ইউনিয়নে ছিল নেতৃত্ব সংকট। আর সেই বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অভাবে মাদক সেবনকারী সহ ব্যাবসায়ীরা ছিলো কঠিন বেপরোয়া। অথচ আজ পরিবর্তন আসছে রাজনীতি সহ মাদকের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ।
গত সপ্তাহে বর্তমান চেয়ারম্যান বাবু শেখর সিকদারের আপন ভাগিনার গাজা সেবনের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর টনক নডেছে সমগ্র কুডিয়ানাবাসীর। এলাকার স্বার্থে বেশির ভাগ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদের ডাক দিয়েছেন। গত সপ্তাহে মানব বন্দন সহ নানান কর্মসূচি পালন করেন এলাকার শান্তিপ্রিয় জনতা। ” মাদক কে না বলুন ” আর সেই শ্লোগানকে সামনে রেখে এলাকার শান্তিপ্রিয় নেতা বাবু শঙ্কর প্রসাদ  হালদার সহ বহুশীর্ষ নেতৃবৃন্দ মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেন। এলাকায় সাধারণ মানুষের নিখাঁদ ভালবাসা নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে এগিয়ে চলছে সকলের সহযোগিতা নিয়ে। এদিকে বর্তমান প্রজন্মের অহংকার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু     মিঠুন হালদারও সর্বদা মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান।
  এ ব্যাপারে আটঘর কুডিয়ানাবাসীরা   জেলার  ও স্থানীয় গণ মাধ্যম কর্মীদের জানান, আমরা সকলেই আতঙ্কিত আমাদের বর্তমান প্রজন্ম নিয়ে। যেভাবে আমাদের এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি তাতে আমাদের সকলের সন্তানরা নিরাপদ নয়। নইলে উন্নয়নের রূপকার বাবু শেখর সিকদারের আপন ভাগিনার মাদক সেবন সকলকেই হতভম্ব করে দিয়েছে। বিগত সময়ে আমাদের এলাকায় মাদকের কড়াল গ্রাসে নিমজ্জিত ছিল। আর আজকের জলন্ত প্রমান এলাকার শীর্ষ নেতাদের আত্মীয় স্বজনরা মাদকে আসক্ত। অবশ্য এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শেখর সিকদার গন মাধ্যম কর্মীদের জানান, আমি   বরাবরই মাদকের বিরুদ্ধে সাহসী উচ্চারন । তবে কঠিন সমালোচনাকারীরা জানান, চেয়ারম্যান   শেখর সিকদারের আপন ভাগিনার কারনে মাথা নতজানু হয়ে গেছে। তবে ভিন্ন কথা বলেন শান্তিপ্রিয় নেতা বাবু শঙ্কর প্রসাদ হালদার।
গন মাধ্যম কর্মীদের জানান, আমি বরাবরই সত্যের পূজারী। আমি এলাকার স্বার্থে বরাবরই মাদকের বিরুদ্ধে সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে আসছি। আর আগামীতেও কঠিন ভাবে তা অভ্যাহত থাকবে। এদিকে বর্তমান প্রজন্মের অহংকার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু মিঠুন হালদারের সাথেও কথা হয়। তিনি জানান, আমি রাজনীতি করি তাই সঠিক নিয়মে কথা বলাই উত্তম। তবে আমিও মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে আছি । মাদক ধ্বংস করে ব্যাক্তি সহ বহু পরিবারকে। তবে ভিন্ন কথা বলেন সাবেক ইউনিয়ন  চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন নান্টুর সাথে। তিনি গন মাধ্যম কর্মীদের জানান, বর্তমানে কুড়িয়ানায় মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান এলাকার বেশীরভাগ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের। আমিও শতভাগ সহমত পোষণ করি।
বিগত সময়ে বর্তমান চেয়ারম্যান বাবু শেখর সিকদারের আসকারায় তার নিজস্ব লোকজন মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। আজ তার আপন  ভাগিনাই একটা জলন্ত প্রমান। সর্বশেষ তথ্য মতে বর্তমান নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোঃ হোসেনও শতভাগ সহমত পোষণ করেন। মাদকের বিরুদ্ধে তার সাহসী উচ্চারন ও পদক্ষেপ সর্বদা অভ্যাহত থাকবে। যদিও সদ্য  দায়িত্ব পালনের সময় খুবই  অল্প  হলেও বিগত সময়ের প্রোফাইল বলে দেয় তার দায়িত্বশীলতার কারিশমা। একান্ত আলাপ চারিতায় তিনি বলেন, শুধু আটঘর কুডিয়ানা নয় আমার নেছারাবাদ থানা হবে মাদক মুক্ত। আমি এখানে আসার পর পরই মাদকের বিরুদ্ধে কঠিন জেহাদ ঘোষণা করেছি।
Exit mobile version