আজকের ঝলক নিউজ

মানুষ শহর ছাড়ছেন অভাবের তাগিদে না’কি করোনা আতংকে !

Spread the love

মানুষ শহর ছাড়ছেন অভাবের তাগিদে ও করোনা আতংকে

আজকের ঝলক নিউজ

প্রতিকী ছবি :

প্রথমে বলে নেই আমি একদিকে বাসার মালিক ও ভাড়াটিয়া ।করোনার শুরুতে অনেকে বলেছেন বাড়ি ভাড়া মওকুফ করতে । একটি বারও ভেভে দেখেছেন এমনো মানুষ আছে যাদের সারা জীবনের ইনকাম দিয়ে একটি বাড়ি বা ফ্লাটের মালিক হয়েছেন যেটির ভাড়ায় চলে তার সংশার সবার বেলায় হয়তো একই কথা মানানসই নয় তবে যারা বাসা ভাড়া দেন তাদের প্রয়োজন আছে বলেই দেন । আবার অনেক বাড়িওয়ালা আছেন যারা ব্যাংক ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মান করেছেন আর ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেন ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ভাড়া পেয়ে ।

একটু লক্ষ করবেন আগের চেয়ে শহরে বাড়ি ভাড়ার নোটিশ বেড়ে চলছে । তার মানে এটা সত্য যে মানুষ শহর ছাড়ছেন অভাবের তাগিদে বা করোনা আতংকে ।আয় কমে যাওয়ায় অনেকে ভাড়া দিতে পারছেন না আবার মালামাল বিক্রি করে কেউ কেউ ভাড়া পরিশোধ করছেন ।

বেসরকারী সংস্থা ব্র্যাকের গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী চাকরি হারানো ৩৬ শতাংশ ব্যক্তির বেশিরভাগ অংশই ঢাকার ভাড়া বাসা ছেড়ে দিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে শুরু করেছেন। চলতি জুন মাসে গোটা রাজধানী জুড়ে ভাড়াটিয়াদের বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ছে। পিকআপ, ভ্যানগাড়ি বা ট্রাকে করে মালামাল ভরে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন এসব পরিবার। আবার অনেকেই বেশি টাকায় ভাড়া নেওয়া বড় ফ্ল্যাট ছেড়ে দিয়ে ছোট ফ্ল্যাট বা সাবলেটে ভাড়ায় উঠছেন। আবার কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের মালামালসহ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে নিজে মেসে উঠছেন খরচ কমানোর জন্য।

বর্তমানে ঢাকাসহ সিটির বাড়ী ওয়ালাদের অবস্হা একটু হইলেও করুন। প্রতি বৎসর অন্তত এক বার কেউ কেউ বৎসরে দুই বার বাড়ী ভাড়া বাড়ানো যেন নেশায় পরিনত হইয়াছিল। ভাড়াটিয়া কারেন্ট বিল দেয় কিন্তু বিলের ফটোকপি চাইলে তাদের সস্মানে লাগতো। আগে কথায় কথায় বলতো বাসা ছেড়ে দেন এখন বলে ভাড়া কমাবো থেকে যান। ভাড়াটিয়ার তো এমনিই সস্মানহীন, দুচার পাচ মাস বাসা ভাড়া না হইলে বুঝা যাবে কে কত বড় সস্মানি লোক।
এই পোষ্টটি সকল বাড়িওয়ালার ক্ষেএে প্রযোয্য নহে, অনেক ভাল বাড়িওয়ালাও আমাদের সমাজে আছেন তাছাড়া অনেক বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ার সস্পর্ক মধুর ও বটে।

কিন্তু পালিয়ে বেড়ানো সমস্যা সমাধান নয় । আবার বাড়িওয়ালাদেরও ভাড়া নিয়ে অতিরিক্ত আয়ের চিন্তা বাদ দেয়া উচিত । এখন টিকে থাকা হলো সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ তাই টিকে থাকতে উভয়কে ছাড়া দিতে হবে ।

লেখক মোঃ জহিরুল ইসলাম, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার কর্মী

Exit mobile version