আজারবাইজানের রাজধানী বা’কু সফর করেছেন তুর্কি প’ররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসৌগলু। এক’ মাসের বেশি সময় ধরে নার্গোনো-কারা’বাগ নিয়ে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে যু’দ্ধ চলছে।
রোববার আজারবাইজা’নের প্রেসিডেন্ট এবং দে’শটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যুদ্ধে’র সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন মেভলুত কাভুসৌগলু।
টুইট বার্তায় তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আ’জারবাইজানের প্রিয় ভাইদের প্রতি আমাদের অ’কুণ্ঠ সমর্থন পুনরায় ব্যক্ত করার জন্য আবারো বাকুতে। সবশেষ নার্গোনো-কা’রাবাগ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আলোচনাকালে আজারবাই’জানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বলেন, চলমান যু’দ্ধ, উভয়পক্ষের ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের জন্য আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পা’শিনিয়ান দায়ী।
সহায়তা চেয়ে রাশিয়ার কাছে লেখা চি’ঠির বিষয়ও তুলে আজারবাইজানের প্রে’সিডেন্ট। বলেন, মস্কোর কাছে সহায়তার চাওয়ার অর্থ আর্মেনিয়া পরাজয় মেনে নিয়ে’ছে। কিন্তু তারা নার্গোনো-কারা’বাখ সহজে ছেড়ে যাবে না।
নার্গোনো-কারাবাখ পুনরুদ্ধারে যুদ্ধ চা’লিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তি’নি। বলেন, আর্মেনিয়া আমাদের ভূখণ্ড ছেড়ে দিলেই কেবল যুদ্ধ থা’মতে পারে।
পাশে থাকার জন্য তু’র্কি সরকার এবং দেশটির গণমাধ্য’মের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আলিয়েভ। বলেন, তু’র্কি গণমাধ্যম গানজা এবং বারদায় আর্মেনিয়ার চালানোর হামলার সংবাদ প্রথম বিশ্বগণমাধ্যমে তু’লে ধরে। সাধারণ মানুষের প্রাণ’হানি, জীবনের ঝুঁকি এবং যুদ্ধের সার্বিক প’রিস্থিতি প্রচার করায়ে তুর্কি গ’ণমাধ্যমের প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, স’ত্যিকারের ‘ভ্রাত্ববোধের পরিচয় দিয়েছে আঙ্কারা।
তুর্কি পররা’ষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তুরস্কের জনগণ দে’শটির সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জা’নাচ্ছে আজারবাইজানকে দেয়া সমর্থন, সহায়তা আরো বা’ড়ানোর জন্য। প্রত্যেকে দেখছে আ’র্মেনিয়া যা করছে। তারা প্রতিবার যু’দ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। আজারবাইজানের অ’ধিকার রক্ষায় আমাদের সমর্থন, সং’হতি অব্যাহত থাকবে।
শনিবার সহায়তা চেয়ে আ’নুষ্ঠানিকভাবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পু’তিনকে চিঠি লেখেন আর্মেনিয়ার প্র’ধানমন্ত্রী। চিঠিতে দু’পক্ষের প্রতিরক্ষা চু’ক্তি এবং সুসম্পর্ক তুলে ধ’রেন তিনি।
মস্কো জানিয়ে’ছে আর্মেনিয়ার সঙ্গে থা’কা প্রতিরক্ষা চুক্তিতে নার্গোনো-কারা’বাখ অন্তর্ভুক্ত নয়। তবে আর্মেনিয়ার মূলভূণ্ডে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লে ইয়েরেভানকে প্র’য়োজনীয় সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে’ছে মস্কো।
১৯৩টি জনবসতি মুক্ত করে’ছে আজার’বাইজান
৩০ বছর ধরে জোরপূর্বক দখল ক’রে রাখা আজারবাইজানের ভূখণ্ড আর্মেনিয়া ছে’ড়ে দিলেই কেবল স্থা’য়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। রোববার তুর্কি প্রতিরক্ষা ম’ন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে এ তথ্য জা’নানো হয়। বলা হয়, আ’র্মেনিয়ার হামলায় ৯১ ‘আজা’রবাইজানি নিহত হয়েছে। আহত হ’য়েছে চার শতাধিক।
১৯৯১ সালে আর্মেনি’য়ার সেনাবাহিনী নার্গোনো-কা’রাবাখ দখলে নেয়ার পরই সাবে’ক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশ দু’টির মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। আ’ন্তর্জাতিকভাবে নার্গোনো-কারাবাখ আ’জারবাইজানের ভূখণ্ড।
মন্ত্রণালয় জানায়, স’ফল অভিযানের মা’ধ্যমে আজারবাইজানের সে’নাবাহিনী ১৯৩টি এলাকা দ’খলমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
২৭ অক্টোবর সংঘাত ছড়িয়ে প’ড়ার পর থেকে আজারবাইজানের সা’ধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হা’মলা অব্যাহত রেখেছে আর্মেনিয়া। ১০ অক্টোবরের প’র তিনি দফা যুদ্ধবিরতিতে কা’র্যকর হলেও প্রতিবারই তার লঙ্ঘ’ন করেছে ইয়েরেভান।
শনি’বার রাতভর এবং রোববার স’কালেও দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ অ’ব্যাহত ছিল।
রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ব’শক্তিগুলো স্থায়ী যু’দ্ধবিরতির আহ্বান জা’নিয়ে আসছে। আ’জারবাইনের আত্মরক্ষা এবং সার্বভৌমত্ব অ’ধিকার রক্ষায় বাকুকে স’মর্থন দিচ্ছে আঙ্কারা।