আজকের ঝলক নিউজ

বাবরি মসজিদের রায় দিতেই অবসরে যাননি বিচারক

Spread the love

ভা’রতে ঐতিহাসিক বাবরি ম’সজিদ ধ্বংস মা’মলায় সব আ’সামিকে খালাস করে দিয়েছেন দেশটির একটি বিশেষ আ’দালত।বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে লখনৌয়ের বিশেষ সিবিআই আ’দালতের বিচারক সুরেন্দ্র কুমা’র যাদব রায় এ রায় ঘোষণা করেন।

আর এ রায়ই ছিল তার কর্মজীবনের শেষ রায়। এ রায় ঘোষণার দিনই অবসরে গেলেন বিচারক সুরেন্দ্র কুমা’র।ফৈজাবাদ আ’দালত (বর্তমানে অযোধ্যা) থেকেই অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন বিচারক সুরেন্দ্র কুমা’র যাদব। বুধবার বাবরি ম’সজিদ ধ্বংস মা’মলার রায় ঘোষণা দিয়েই তিনি তার কর্মজীবনে দাঁড়ি টানলেন।

যদিও ভা’রতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, বুধবার নয়, বিচারক যাদবের চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর। কিন্তু বাবরি ম’সজিদ মা’মলার শুনানি অসম্পূর্ণ রেখে অবসর নিতে চাননি তিনি।

৫ বছর আগে সুরেন্দ্র কুমা’র যাদবকে এ মা’মলায় স্পেশাল জাজ নিযু’ক্ত করা হয়। এর পর ২০১৭ সালের এপ্রিলে সুপ্রিমকোর্ট তাকে দুই বছরের মধ্যে বাবরি ম’সজিদ ধ্বংস মা’মলার শুনানি পর্ব শেষ করার নির্দেশ দেন।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে লখনৌ জে’লা বিচারকের পদ থেকে অবসরগ্রহণ করেন সুরেন্দ্র কুমা’র যাদব। কিন্তু বাবরি ম’সজিদ ধ্বংস মা’মলার শুনানি শেষ করতে তার অবসর নেয়ার সময়কালের মেয়াদ বাড়িয়ে দেন সুপ্রিমকোর্ট। ফলে ডিস্ট্রিক্ট জাজ হিসেবে অবসরগ্রহণের পরও স্পেশাল জাজ হিসেবে রয়ে যান বিচারক সুরেন্দ্র কুমা’র যাদব।

জানা গেছে, চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে সুরেন্দ্র কুমা’র চিঠি লিখেছিলেন সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে।

তিনি আর্জি জানিয়েছিলেন, সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে টানা চার বছর ধরে তিনিই মা’মলার শুনানি করছেন। এ অবস্থায় অ’ত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মা’মলার রায় তিনি নিজেই দিয়ে যেতে চান।আর সুরেন্দ্র কুমা’রের আবেদন মেনে নেন ভা’রতের শীর্ষ আ’দালত।

তথ্যসূত্র: জি নিউজ, ডিএনএ ইন্ডিয়া, এনডিটিভি

Exit mobile version