ব্যবস্থাপনার হিসাববিজ্ঞান শাস্ত্র ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালানা সংক্রান্ত যাবতীয় সিন্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। উক্তিটি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হলোঃ
সূচনাঃ
শিল্প, ব্যবসায়, বাণিজ্য ও নানাবিধ অর্থনৈতিক কর্মকান্ড দ্বারা পরিবেষ্টিত সদা কর্মব্যস্ত এ আধুনিক বিশ্বের হিসাববিজ্ঞানের এমন এক কৌশল বা পদ্ধতি যা ব্যবস্থাপনার প্রতিটি ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে নীতি নির্ধারণ ও দৈনন্দিন কার্য পরিচালনায় ব্যাপকভাবে সহায়তা করে থাকে। ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান হলো সামগ্রিক হিসাববিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যা পরিকল্পনা প্রনয়ন ও নিয়ন্ত্রন কার্যসহ ব্যবস্থাপনার প্রতিটি কাজে সাহায্য করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উৎস হতে তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ পূর্বক ব্যাখ্যা সহযোগে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করে।
এ শাস্ত্রের উদ্দেশ্যসমূহ বর্ণনা করা হলোঃ
* পরিকল্পনা প্রনয়ন ও নীতি নির্ধারণঃ
ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান অতীত ফলাফল ও ভবিষ্যতের সম্ভাব্য প্রাক্কলনের মাধ্যমে পরিকল্পনা প্রনয়ন ও নীতি নির্ধারনে ব্যবস্থাপনাকে সহায়তা করে থাকে।
*সিদ্ধান্ত গ্রহনঃ বিভিন্ন বিকল্প কার্যধারার সম্ভাব্য আয়, ব্যয়, মুনাফা প্রভৃতি সংক্রান্ত তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষনের মাধ্যমে দক্ষ ও বিজ্ঞানসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহন নিশ্চিত করে।
* আর্থিক তথ্যের ব্যাখ্যা প্রদানঃ বিভিন্ন চিত্র, চার্ট, ডায়াগ্রাম, গ্রাফ, সূচক সংখ্যা প্রভূতি পরিসংখ্যানিক কৌশল ব্যবহার করে ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান বিভিন্ন আর্থিক তথ্যের সহজ উপস্থাপনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনাকে এরূপ তথ্য সংক্রান্ত মাধ্যমে বিশ্লেষনে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে।
*নিয়ন্ত্রনঃ বাজেটিয় নিয়ন্ত্রন এবং মান ব্যয় পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান কর্মীদের দক্ষতা, বিভিন্ন বিভাগের দক্ষতা, উৎপাদন ব্যয় প্রভ‚তি নিয়ন্ত্রনে অত্যন্ত কার্যকরী ভ‚মিকা রেখে থাকা।
* প্রেষণা দানঃ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রেষনা দান ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞানের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান এজন্যে উদ্দেশ্য স্থিরকরন, পরিকল্পনা প্রনয়ন, কার্য সম্পাদন, কর্মীদের ওপর কর্তৃত্ব অর্পন করে থাকে। ফলে কর্মীরা প্রেষনা পায়।
* প্রতিবেদনঃ প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ ও হালনাগাদ তথ্য সংরক্ষণ ও প্রয়োজনের মুহূর্তে তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবস্থাপনাকে সরবরাহ করাও ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞানের একটি উদ্দেশ্য।
*প্রতিবেদনঃ প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ ও হালনাগাদ তথ্য সংরক্ষণ ও প্রয়োজনের মুহূর্তে তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবস্থাপনাকে সরবরাহ করাও ব্যবস্থাপনাকে সরবরাহ করাও ব্যবস্থা হিসাববিজ্ঞানের একটি উদ্দেশ্য।
* দায়িত্ব বিকেন্দ্রীকরণঃ ব্যবস্থাপনা হিসাব বাজেট কেন্দ্র, বিনিয়োগ কেন্দ্র, ব্যয় কেন্দ্র, মুনাফা কেন্দ্র প্রভূতি প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব দিতে দায়িত্ব বিকেন্দ্রীকরনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
*সমন্বয়সাধনঃ বিভিন্ন প্রকার বাজেট প্রনয়ন সমন্বয় সাধনের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার কারন বাজেটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সকল বিভাগ ও কার্যের মধ্যে একটি অন্তঃসম্পর্ক তৈরি হয়।
এ শাস্ত্রের আওতাঃ যেসব ক্ষেত্রগুলোকে ব্যবস্থাপনার হিসাববিজ্ঞানের আওতা ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হয় তা নি¤েœ ব্যাখ্যা করা হলোঃ
*আর্থিক হিসাববিজ্ঞানঃ ব্যবসায়িক লেনদেনগুলোকে হিসাবের প্রাথমিক বইতে লিপিবন্ধকরণ, খতিয়ানে স্থানান্তকরণ ও জের নির্ণয় ও স্থিতিপত্র তৈরির মাধ্যমে নির্দিষ্ট দিনে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় সম্পত্তি ও দায়-দেনার পরিমাণ নির্ণয় করার সাথে সাধারণত আর্থিক হিসাববিজ্ঞান জড়িত, ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান আর্থিক হিসাববিজ্ঞানের এসব মূল তথ্যগুলোকে বিচার বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থাপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে থাকে।
উৎপাদিত পন্যের ব্যয় নির্ধারণের সাথে জড়িত হিসাববিজ্ঞানের একটি অন্যতম শাখা হলো উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞান। মান ব্যয়, বাজেটের নিয়ন্ত্রন, মজুত পন্য নিয়ন্ত্রন, প্রান্তিক ব্যয় বিশ্লেষণ প্রভ‚তি কৌশলের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যয়, হিসাববিজ্ঞান পরিকল্পনা প্রনয়ন, সিদ্ধান্ত, সমন্বয় সাধন ও নিয়ন্ত্রণ প্রভ‚তি ব্যবস্থাপকীয় কার্যের দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে থাকে।
*বাজেট ও পূর্বানুমানঃ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সংখ্যাত্মক প্রকাশই হলো বাজেট, আবার পূর্বানুমান হলো কোনো নির্দিষ্ট কার্যকরণের ভবিষ্যৎ ফলাফল অনুমান করা ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন বিভাগের লক্ষ্য স্থির করে এবং বাজেটের সাথে প্রকৃত কার্যের তুলনা করে থাকে।
* মজুত পণ্য নিয়ন্ত্রনঃ মজুতকে কাম্য মাত্রায় রাখাই হলো মজুত নিয়ন্ত্রন। অধিক পণ্য মজুদ বা স্বল্পন মজুত উভয়ই প্রতিষ্ঠানের জন্য বিপদজনক। মজুতের সর্বোচ্চ স্তর, গড় মজুত স্তর প্রভ‚তি নির্ণয় করে ব্যবস্থাপকীয় সিন্ধান্ত গৃহীত হয়।
পরিসংখ্যানিক পদ্ধতিঃ পরিসখ্যানের বিভিন্ন গ্রাফ, চার্ট, ডায়াগ্রাম প্রভ‚তির মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যের উপস্থাপন করে থাকে। এ দৃষ্টিকোন থেকে পরিসংখ্যান ও পরিসংখ্যানের ব্যবহৃত বিভিন্ন কলা-কৌশল ও ব্যবস্থাপনা হিসাব বিজ্ঞানের তথ্য উপস্থাপন ও বিশ্লেষনে সহায়তা করে থাকে।
*তথ্যের ব্যাখ্যাঃ আর্থিক বিবরণীর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। একাধিক হিসাবকালের হিসাব বিবরণী অথবা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিবরণীর তুলনা করা হয়।
প্রতিবেদনঃ বিভিন্ন সংখ্যাত্মক সংশ্লিষ্ট পক্ষ সমূহের নিকট সময়মতো উপস্থাপন ও সরবরাহ করা ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞানের অন্যতম কাজ।
*অভ্যন্তরীন পরীক্ষাঃ ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞানের অভ্যন্তরীন নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগ ও ব্যক্তির দায়িত্ব সুনির্দিষ্টকরনে ব্যবস্থাপনাকে সাহায্য করে থাকে।
*কর হিসাববিজ্ঞানঃ ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান নিট মুনাফা অনুমান করে মোট কর নির্ধারনে সহায়তা করে। এতে প্রতিষ্ঠানের গ্রহনযোগ্যতা যেমনি বাড়ে তেমনি সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধি পায়।
*ব্যবস্থাপনীয় তথ্য ব্যবস্থাঃ ব্যবস্থাপনীয় তথ্য ব্যবস্থায় হিসাব সংক্রান্ত, সরবরাহ ও ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনাকে দক্ষ ও গতিশীল করার কাজে ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান সদা নিয়োজিত।
উপরে বর্ণিত কার্যাবলি সবই ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞানের পরিধির অন্তভর্‚ক্ত। এছাড়াও উৎপাদন বিভাগ, ক্রয় বিভাগ, বিক্রয় বিভাগ, অর্থ বিভাগ প্রভ‚তি যাবতীয় বিভাগীয় কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ ও পরামর্শ দান করাই ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞানের কাজ।
ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান শাস্ত্রের গুরুত্বঃ
ব্যবস্থাপনার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান। ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞানের প্রতিটি স্তরে পরামর্শ ও উপদেশ দেন। এ হিসাব ব্যবস্থা কেবলমাত্র ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধি করে না, কর্মীদের দক্ষতাও বৃদ্ধি করে। নি¤েœ ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান শাস্ত্রের গুরুত্ব আলোচনা করো হলোঃ
* দক্ষতা বৃদ্ধিঃ ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান কারবারি প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বিভিন্ন বিভাগের লক্ষ্য আগে থেকে ঠিকা করা হয়। তারপর কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে সম্পাদিত কাজের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্যের তুলনা করে কতখানি লক্ষ্য পুরণ হয়েছে তা যাচাই করা হয় এবং দক্ষতার পরিমাপ করা হয়।
*যথাযথ পরিকল্পনাঃ
ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান যে সব আর্থিক তথ্য বিশ্লেষিতভাবে বিবরণীর আকারে ব্যবস্থাপনাকে সরবরাহ করে, সেসব তথ্যের উপর নির্ভর করে ব্যবস্থাপনার পক্ষে ভবিষ্যত পরিকল্পনা রচনা করা সহজ হয়।
* সম্পাদিত কাজের পরিমাপঃ
বাজেট নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ও প্রমান ব্যয় নির্ধারণ পদ্ধতির সাহায্যে সম্পাদিত কাজের পরিমাপ করা হয়। এ দুটি পদ্ধতিতে পূর্ব থেকেই আয়-ব্যয়ের আর্থিক পরিকল্পনা এবং প্রমান ব্যয় স্থির করা হয়।
*কার্যকর নিয়ন্ত্রনঃ ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান যে সব কৌশল ও পদ্ধতি ব্যবহার করে তা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন আর্থিক ও অনার্থিক কাজ সম্পাদনে ব্যবস্থাপনাকে সাহায্য করে।
*সামাজিক গুরুত্বঃ কোন কারবারের সুষ্ঠু পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞানের উপর অনেকখানি নির্ভর করে।
অন্যান্য হিসাববিজ্ঞানের সাথে ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞানের শাস্ত্রের তুলানামূলক বিশ্লেষণঃ
ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান, উৎপাদন ব্যয়, হিসাববিজ্ঞান, আর্থিক হিসাববিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ শাখা, আর্থিক হিসাববিজ্ঞান অতীত তথ্য ভিত্তিক, উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞান, অতীত ও বর্তমান তথ্য ভিত্তিক আবার ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান, অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ তথ্যভিত্তিক।
*উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান এবং আর্থিক হিসাববিজ্ঞানের অংশ নিয়ে রচিত।
নি¤েœ অন্যান্য হিসাববিজ্ঞানের হল তথ্যের শনাক্তকরণ, পরিমাপ, সংগ্রহ, ব্যাখ্যা, তৈরি, বিশ্লেষণ এবং যোগাযোগ প্রক্রিয়া এবং প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্যসমূহ পূরণে নির্বাহীগণকে সাহায্য করে।
আর্থিক হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হচ্ছে আর্থিক বছরের শেষে প্রতিষ্ঠানের লাভ-ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা এবং আর্থিক অবস্থা জানতে বিভিন্ন লেনদেনকে নথিভ‚ক্ত করা।
হিসাববিজ্ঞানের যে শাখা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ব্যয় সমূহের শ্রেণিবিণ্যাস, লিপিবদ্ধকরন, বন্টন , সংক্ষিপ্তকরণ এবং প্রতিবেদন প্রস্তুত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞান বলে।
* ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য হলো পরিকল্পনা প্রনয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহনে ব্যবস্থাপনাকে তথ্য সরবরাহ করা। আর্থিক হিসাববিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠানের আর্থিক কার্যাবলির ফলাফল নিরূপন করা।
উৎপাদন কার্যাবলির হিসাববিজ্ঞান মূল উদ্দেশ্য হলো উৎপাদিত পন্য বা সেবার ব্যয় নির্ণয় ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করা।
* ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ তথ্যভিত্তিক।
উৎপাদন হিসাববিজ্ঞান মূলত অতীত, বর্তমান এর তথ্য সরবরাহ করে থাকে।
* ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান ব্যয় বিশ্লেষণ করে আর্থিক হিসাববিজ্ঞান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার ময়না তদন্ত করা হয়।
উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞান ব্যয় লিপিবদ্ধকরন, শ্রেণিভ‚ক্তকরন, বন্টন, একত্রীকরণ এবং প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
* ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞানে সর্বজনগ্রাহ্য নীতি, কোম্পানি আইন ও সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ নীতি দ্বারা প্রভাবিত।
উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞানে সর্বজনগ্রাহ্য নীতি ব্যবহৃত হয়।
* ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান উর্ধ্বতন ব্যবস্থাপক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
আর্থিক হিসাববিজ্ঞান আর্থিক হিসাবরক্ষক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞানে ব্যয় হিসাব রক্ষক দ্বারা নিয়ন্ত্রন।
* ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞানের সময়কাল কয়েক ঘন্টা থেকে এক যুগও হতে পারে।
আর্থিক হিসাববিজ্ঞানের সময়কাল সাধারণত এক বৎসর হয়ে থাকে।
পরিশেষে বলা যায়, ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান উৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞান, আর্থিক হিসাববিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ শাখা।
উপসংহার :
ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান হলো হিসাববিজ্ঞানের সেই শাখা যে শাখায় ব্যবস্থাপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহায়তা করে থাকে । ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞানের আওতা ব্যপক এবং ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য মুনাফা নির্ধারণ বা ক্ষতি সর্ব নি¤œকরণ । আধুনিক ব্যবসা বানিজ্যের যে কোন শাখায় সিদ্ধান্ত গ্রহনের জন্য ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান প্রমানিত ।
রেফারেন্স :
১. বাউবি পাঠ্য বই
২. ব্যবস্থাপনা হিসাববিজ্ঞান- লেখক মোঃ ইসুফ আলী, সমন্বয় প্রকাশনী
৩. শ্রেণি শিক্ষকের উপস্থাপন
৪. প্রথম আলো পত্রিকা
৫. ডেইলি স্টার
৬. বিজনেস স্ট্যান্ডর্স