আজকের ঝলক নিউজ

জুলফিকার আলী ভূট্টো ছিলেন অন্যরকম নেতা!

Spread the love

মরহুম জুলফিকার আলী ভূট্টো ঝালকাঠী-২ আসনের ৩বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও নলছিটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ঝালকাঠী জেলার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আস্থাভাজন নেতা ছিলেন যার কাছে দল-মত নির্বিশেষে মানুষের কল্যাণই ছিলো মূখ্য বিষয় ।জনমুখে প্রচার আছে জুলফিকার আলী ভূট্টো র এলাকায় রাস্তাঘাট ও কালভার্ট গুনে শেষ করা যাবেনা । তিনি ছিলেন একজন কোমল ও হৃদয়বান মানুষ, রাস্তায় যে কোন মানুষকে অনায়াসে জড়িয়ে ধরতেন এবং অবাক করার বিষয় ছিলো অসংখ্য ভোটারের নাম ও পিতার নাম বলে দিতে পারতেন ভূট্টো !।ঝালকাঠী ও নলছিটির অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার ছিল অসাধারণ ভূমিকা। ততকালীন সময় জুলফিকার আলী ভূট্টো সংসদে বক্ত দিতে দ্বাঁড়ালে টিভি ও রেডিওর সামনে মানুষের ভীর দেখা যেতো কারণ তিনি অনেক মজাকরে ও আবেগীয় ভাবে এলাকার সমস্যাগুলো সংসদের তুলে ধরতেন ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালে ছাত্রথাকাকালীন হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের হাত ধরে রাজনীতিতে পা রাখেন এ নেতা। মৃত্যুর আগ অবধি জাতীয় পার্টিতেই ছিলেন তিনি। জাপা নেতা আনওয়ার হোসেন মঞ্জু, গোলাম ফারুক অভি, নাজিউর রহমান মঞ্জুসহ জনপ্রিয় মন্ত্রী, এমপি ও জাপা নেতাদের সাথে তার ঘনিষ্টতা ছিলো চোখে পড়ার মতো ।

২০০০ সালের ২৯’মে  বিকালে রাজধানীর জাতীয় হৃদ রোগ ইন্সটিটিউটে  মৃত্যুবরণ করেন ভূট্টো ।এ সংবাদ তার সংসদীয় এলাকার মানুষের জন্য ছিলো অত্যান্ত কষ্টের, ততকালীন সময়ে তার মৃতদেহ হেলিক্যাম্পারে নলছিটি চায়না মাঠে নামানো হলে হাজারো জনতা আবেগতারিত হয়ে পড়েছিলেন ।রাস্তায় মানুষের ভীর সামলে তার মৃতদেহ মোল্লারহাট কলেজ মাঠে পেীঁছাতে সময় লেগেছিলো প্রায় ৩ ঘন্টা । তার মৃত্যুর পরে জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাবে বক্তব্য দিতে গিয়ে ততকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন‘‘ আমরা একটি সদা হাস্যজ্বল সংসদ সদস্যকে হারালাম, এটি সংসদের অপূরণীয় ক্ষতি। ভূট্টো বেশিরভাগ সময় রঙিন চেক জামা পড়ে অত্যান্ত আবেগময়ী বক্তব্য দিয়ে তার এলাকার উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ নিতে পারতেন’’ ।

জুলফিকার আলী ভূট্টো লা জুলাই ১৯৫৪ ঝালকাঠী জেলার, নলছিটি উপজেলাধীন মোল্লারহাট ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত মোল্লা বংশে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা আব্দুল মালেক মোল্লা। ৫ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি ৪র্থ । তিনিসহ তারা ৪ভাই রাজ্জাক মোল্লা, চুন্নু মোল্লা, হারুন মোল্লা মৃত্যুবরণ করেছেন । ছোট ভাই মজিবুর রহমান মোল্লা  বরিশালের সিএন্ডবি রোডের বাসিন্দা । ছোট দুই ছোটবোন ওয়াহিদা বেগম ও ফিরোজা বেগম মোল্লারহাটেই বসবাস করেন।

মরহুম জুলফিকার আলী ভূট্টো র ছেলে নাফিউ ভূট্টো ও মেয়ে সুমাইয়া ভূট্টো ঢাকাতে বসবাস করেন । মরহুম জুলফিকার আলী ভূট্টো র মৃত্যুর পরে তার সহধর্মীনি ইসরাত সুলতানা ইলেন ভূট্টো রাজনীতিতে পা রাখেন প্রথমবার স্বতন্ত প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরে বিনপিতে যোগ দিয়ে একবার ঝালকাঠী-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছেন। জুলফিকার আলী ভূট্টোর কনিষ্ঠ বোন ওয়াহিদার বড় ছেলে  এ্যাডভোকেট রাশেদুল হাসান সুমনও রাজনীতির মাঠে রয়েছেন তিনি ঝালকাঠী জেলা বিএনপির পররাস্ট্র বিষয়ক সম্পাদক পদে আছেন ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশায় যুক্ত আছেন ।জানাগেছে ভূট্টো র মৃত্যুর পরে ইলেন ভূট্টো র প্রতি আস্থা রেখেছেন পরিবারের সদস্যরা ।

Exit mobile version