আজকের ঝলক নিউজ

মানুষ ও ফসল রক্ষা করতে হলে বেড়িবাঁধের মালিকানা স্থানীয় মানুষকে দিতে হবে

Spread the love

বন্যা, প্লাবন বা জলোচ্ছাস হলেই দেখা যায় দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গেছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণ নিয়ে সীমাহীন দুর্নীতির কথা আমরা সবাই জানি। এবার নজিরবিহীন যে ঘটনা দেখা গেল, মানুষ সারিবেঁধে বুক পানিতে নেমে জলোচ্ছাসের দিকে ফিরে দাঁড়াল দুর্বল বেড়িবাঁধ রক্ষা করার জন্য, যাতে প্রাণ ও ফসল রক্ষা করা যায়।

প্রশাসনের অপেক্ষা না করে সাধারণ মানুষের নিজেরাই বেড়িবাঁধ মেরামতের কথা অনেক শুনেছি। কিন্তু মানবঢাল দিয়ে বাঁধ রক্ষার শেষ চেষ্টার এই নজির বোধহয় পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নাই।

ভোলার চরফ্যাশনে বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের একটা অসাধারণ উদাহরণ আছে। একটি ভূমিহীন পরিবারকে বেড়িবাঁধের ১ কিলোমিটার করে জায়গা দেয়া হয়েছে, সেখানে সে ঘর তুলে থাকবে, বেড়িবাঁধের ঢালে সবজি বা ফসল ফলাবে, দীর্ঘমেয়াদে বড় বড় গাছ লাগাবে।

এই ব্যবস্থায় বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় প্রায় নেই বললেই চলে। বরং, ভূমিহীন মানুষেরা ভূমি পায়, তাদের আয়ের সংস্থান হয়। কিন্তু, এতে শুধুমাত্র দুর্নীতির সুযোগ কমে যায়।

রোল মডেল হতে হলে দীর্ঘমেয়াদে এই টেকসই ব্যবস্থায় যেতে হবে। বেড়িবাঁধের মালিকানা স্থানীয় মানুষের হাতে দিতে হবে। চরমভাবে ব্যর্থ পিডাবিলিউডিকে বেড়িবাঁধের নির্মান বা ব্যবস্থাপনা থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। ছবি সংগৃহীত ।

বরকত উল্লাহ মারুফ

Exit mobile version