কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উ’পজেলায় পীরের আস্তানায় সাত বছরের এক শিশুর রহস্যজনক মৃ’ত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে উ’পজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের দেওতান এলাকায় লুৎফর রহমান না’মে এক পীরের আস্তানায় একটি ঘরের ভেতর জানলার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মাইসা নামে ওই শিশুর ম’রদেহ পাওয়া যায়।
মাইসা ওই পী’রের খাদেম মানিক মিয়ার ক’ন্যা। মানিক মিয়ার বাড়ি তাড়াইল উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের মৌ’গাঁও গ্রামে।
পুলিশ জানায়, রাউতির প্রয়াত পীর আ’স্তানায় বারী শাহের দরগার সামনে দীর্ঘদিন ধরে আস্তানা তৈ’রি করে পীরালি করছেন তারই মুরিদ লুৎফর রহমান।
তার আস্তানায় বিভিন্ন এ’লাকার মুরিদরা বসবাস করেন। দ’রগার খাদেম মানিক মিয়া স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে নি’য়ে ওই পীরের দ’রগায় থাকতেন।
দরগা ক’র্তৃপক্ষ ও শিশুটির বাবা-মায়ের দাবি দরগার ভে’তর একটি খালি কক্ষে মাইসাসহ দু’ই শিশু খেলা করছিল। মাইসা বউ সাজতে গি’য়ে জানলার সাথে একটি ওড়না বেধে এর এক পা’শ গলায় জড়ায়। এ সময় সে পা পিছলে চৌকি থেকে প’ড়ে গেলে গলায় ফাঁ’স লেগে যায়।
খবর পেয়ে শি’শুটির বাবা-মা তাকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নি’য়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ শি’শুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কি’শোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ব্যাপারে পী’রের বক্তব্য জানা যায়নি। এ ঘটনায় তাড়াইল থানায় একটি অ’পমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
তাড়াইল থানার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, ‘ প্রা’থমিক ভাবে খেলা করার সময় ফাঁস লেগে তার মৃ’ত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে শি’শুটির মৃ’ত্যুর প্রকৃত কারণ বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর শি’শুটির মৃ’ত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’