যৌথ দরকষাকষির প্রয়োজনীয়তা

Spread the love

যৌথ দরকষাকষির প্রয়োজনীয়তা

আজকের ঝলক

যৌথ দরকষাকষি– এটি যৌথ চুক্তি, চুক্তির প্রস্তুতি, উপসংহার এবং সংশোধন বিষয়ে কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তাদের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার একটি পদ্ধতি।

যৌথ দরকষাকষির বিধি শ্রম আইন ২০০৬ এর অধীনে ধারা ২০২ এর অন্তর্ভুক্ত। যেক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে একটি মাত্র ট্রেড ইউনিয়ন থাকে সে ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য তা যৌথ দরকষাকষির প্রতিনিধি হিসেবে গন্য হবে। যেক্ষেত্রে কোন প্রতিষ্ঠানে একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন থাকে সেক্ষেত্রে কোন ট্রেড ইউনিয়ন অথবা মালিক পক্ষ থেকে আবেদনের ভিত্তিতে শ্রম পরিচালক আবেদন পাওয়ার ৪ সপ্তাহের মধ্যে কোন ট্রেড ইউনিয়ন যৌথ দরকষাকষির প্রতিনিধি হবে, তা নির্ধারণের জন্য গোপন ভোটের ব্যবস্থা করবে। একবার ট্রেড ইউনিয়ন যৌথ দরকষাকষির প্রতিনিধি ঘোষণা করলে তা আগামি ২ বছরের জন্য থাকবে। কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তার যৌথ দরকষাকষির এজেন্ট সেই প্রতিষ্ঠানে যদি শ্রমিকের চাকরি না থাকে, চাকরির শর্তাবলি অথবা কাজের সাথে সম্পর্কিত বিষয়ে মালিকের সাথে দরকষাকষি করার, যেকোনো কাজে শ্রমিকের প্রতিনিধিত্ব করা, এই বিধান অনুযায়ী ধর্মঘটের নোটিশ দেওয়া এবং ঘোষণা করার, কোন কমিটিতে শ্রমিকের প্রতিনিধি কে মনোনীত করা, আইন অনুযায়ী তহবিল গঠন এবং চুক্তি গঠন করা ইত্যাদি সব কাজ করে থাকে।

সামাজিক অংশীদারিত্বের মূলনীতি:

  1. আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আইনি নিয়ম মেনে চলা;
  2. দলগুলির প্রতিনিধিদের ক্ষমতা;
  3. যৌথ দরকষাকষিতে দলগুলোর সমতা, যৌথ চুক্তি ও চুক্তিতে স্বাক্ষর;
  4. পক্ষের স্বার্থের প্রতি সম্মান এবং বিবেচনা;
  5. চুক্তিভিত্তিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে পক্ষের আগ্রহ;
  6. বাধ্যবাধকতার স্বেচ্ছায় গ্রহণ এবং তাদের বাস্তব সম্ভাব্যতা;
  7. যৌথ চুক্তি এবং চুক্তি বাস্তবায়নের উপর পদ্ধতিগত নিয়ন্ত্রণ;
  8. সম্মিলিত চুক্তি, চুক্তি এবং তাদের পূরণ না করার জন্য দায়িত্ব পালনের বাধ্যবাধকতা।

যে বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবে ।

বাংলাদেশের সংবিধানে সমিতি বা সংঘ গঠন করার অধিকার আছে। সংবিধানের ধারা ৩৮ অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের নৈতিকতা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা নিষেধ সাপেক্ষে সমিতি বা সংঘ গঠন করার অধিকার রয়েছে। শ্রম আইন ২০০৬ এর অধীনে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিভিন্ন দিক রয়েছে। শ্রমিক এবং নিয়োগকর্তা উভয়েরই পূর্বের অনুমোদন ছাড়া নিজের পছন্দসই সংস্থা স্থাপন এবং যোগদান করার অধিকার আছে। ট্রেড ইউনিয়নদের তাদের নিজস্ব সংবিধান এবং নিয়মাবলি বিশ্লেষণ, পূর্ণ স্বাধীনতায় তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন, তাদের প্রশাসন এবং কার্যক্রম সংগঠন করা এবং কার্যক্রম প্রনয়ন করার অধিকার আছে। কোন ট্রেড ইউনিয়ন, তাদের সদস্য এবং সচিবের সাক্ষর নিয়ে, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারে। কোন শ্রমিক কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য আছে বা হতে চান অথবা অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্তরূপ সদস্য বা কর্মকর্তা হওয়ার জন্য প্ররোচিত করেন এই কারনে, অথবা কোন ট্রেড ইউনিয়নের গঠন, কার্যকলাপ বা তার প্রচারে অংশগ্রহন করে এই কারনে তাকে চাকরি হতে বরখাস্ত, ডিসচার্জ অথবা অপসারণ করা যাবে না অথবা তাকে কোন প্রকার ভয় প্রদর্শন করা যাবে না।

দরকষাকষি প্রতিনিধি যাকে ইংরেজিতে বলে Collective Bargaining Agent. একটা সিবিএ গঠন করার জন্য কি কি প্রয়োজন? খুব সাধারনভাবে বলতে গেলে এক বা একাধিক ট্রেড ইউনিয়ন প্রয়োজন। যে প্রতিষ্ঠানে একটি মাএ ট্রেড ইউনিয়ন থাকে উক্ত ট্রেড ইউনিয়নটি প্রতিষ্ঠানের সিবিএ হিসাবে কাজ করবে।

ঢাবি শিক্ষকের কক্ষে ছাত্রলীগের তালা, ইবি সাদা দলের প্রতিবাদ

গৃহবধূকে হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক

ভিডিও দেখুন https://www.youtube.com/watch?v=fri9XbJKmMA

 



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »