যৌতুকের বলী হলো সন্তান সম্ভবা মীম

Spread the love

আজকের ঝলক

যৌতুকের বলী হলো নলছিটির রানাপাশার মেয়ে সন্তান সম্ভবা মীম
কোরবানী ঈদের ঠিক পরের দিন ফুলের মতো নিস্পাপ মেয়ে মীমকে জীবন দিতে হলো একটি মটর সাইকেল এর দাবী না মেটাতে পেরে। সানজিদা আক্তার মীমের স্বপ্ন ছিলো ঢাকায় স্বামীর সাথে সংসার করবে, সন্তান নীয়ে গড়ে তুলবে সুখের নীড়। কিন্তু সভ্যতার এই উৎকর্ষতার যুগেও মাত্র কয়েকটি টাকার জন্য জীবন দিতে হলো এই মেয়েটিকে।
সূত্র মতে, মীমের সাথে মাত্র ১১ মাস আগে ঝালকাঠী জেলা সদরের ৭ নং কেওড়া ওয়ার্ডের নুর মোহাম্মদ ডাকুয়ার ছেলে এনামুল হক ডাকুয়ার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ছেলে পক্ষের কোন দাবী দাওয়া ছিল না। ফুটফুটে মীমকে দেখেই পছন্দ করে বিয়ে করে। কিন্তু কটা মাস যেতেই ডাকুয়ার আসল চেহাড়া বের হতে থাকে। মীমের ভাই মেহেদী হাসান  এর দাবী অনুযায়ী তারা বাবা নলছিটির রানাপাশা গ্রামের শাহ আলম হাওলাদার একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। করোনায় তার ব্যবসা বন্ধ ছিল। কিন্তু একজন আত্নীয়ের পিড়াপিড়ীর কারনে তাদের বিয়ে হয়। ”মেয়েটার স্বপ্ন ছিল লেখা পড়া করবে। কিন্তু ওর কথা না শুনে ওকে আমি হত্যা করলাম” মেয়ের মৃত্যরে খবর শুনে শাহ আলম বলছিলেন।
বিয়ের ঠিক তিন মাসের মাথায় এনামুল বাপের বাড়ী থেকে মোটর সাইকেল ও নগদ এক লাখ টাকার জন্য মীমকে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু করোনার জন্য মীমের বাবার বব্যবসা বন্ধ ছিল। তাই মীম জানতো তার বাবা এই সময় টাকা দিতে পারবে না। মৃত্যুর দু-মাস আগে মীম একবার বাবার বাড়ী এসেছিল। তাঁর শুকনো মুখ দেখেই বাবা বুঝেছিলেন মীমের শুব্শুর বাড়ীতে অসুবিধায় অঅছে। তিনি জিগ্গেস করেছিলে কিরে মা তোর কি কোন অসুবিধা। মীম বাবার টানাটানীর অবস্থা দেখে এনামুল ও তাঁর পরিবারের আসল অত্যাচারের কথা বলেনী। এনামুল তার বোন এবং মা মিলে মীমকে যৌতুকের জন্য নির্য়াতন শুরু করে। এমন কি খাবার পর্য়ন্ত কেড়ে নিত সন্তান সম্ভবা মীমের মুখ থেকে।

মীমে ভাই মেহেদী ঝালকাঠি থনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু পরিবার এর সদস্যরা দাবী করেছে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে মীমকে।

আরো পড়ুন

যৌতুক দিতে অস্বিকার করায় গর্ভবতী গৃহবধূকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বামী ও তার পরিবার

যৌতুক কী? যৌতুকের শাস্তি ! যৌতুকের কুফল

https://www.youtube.com/watch?v=gRvJH8gjrkg



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »