মোসারাত জাহান মুনিয়া মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন

Spread the love

মোসারাত জাহান মুনিয়া মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন

আজকের ঝলক নিউজ : 

সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে মোসারাত জাহান মুনিয়া আত্মহত্যা করেছে।কিন্তু মোসারাত জাহান মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়ার দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে।সুরতাল এবং ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী মোসারাত জাহান মুনিয়া আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।কিন্তু মোসারাত জাহান মুনিয়ার দুলাভাই মিজানুর রহমান তা মানতে নারাজ তিনি জানান মোসারাত জাহান মুনিয়া গলায় কালো দাগ দেখেছেন পুলিশ ভালো করে তদন্ত করে দেখুক।

আমাদের মনে হচ্ছে তাঁর মৃত্যু ঘিরে একটা চক্রান্ত হচ্ছে। মোসারাত জাহান মুনিয়ার পরিবারের মতোই এক সুরে কথা বলেছেন দেশের সাধারণ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় মোসারাত জাহান মুনিয়া আত্মহত্যা করতে পারে না তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

প্রতিটি হত্যারই বিচার হওয়া দরকার,কেউ যদি নিজে কে হত্যা করে তারও বিচার হওয়া দরকার। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে কিনা সেই বিষয়ের তদন্ত করতে মুনিয়ার ডায়েরি এবং মোবাইল ফোনের কথোপকথন যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন।
একসাথে পথচলার স্বপ্নের জাল বুনা একটি সম্পর্কের বিচ্ছেদ অবশ্যই কষ্টকর। আবার অনেকেই পরিকল্পিতভাবে শুধুমাত্র দৈহিক চাহিদা মেটাতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে ।এটি এক ধরনের প্রতারণা এর জন্যও আইন রয়েছে, প্রতারণারও শাস্তি হতে পারে। ।তবে হ্যাঁ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক অবশ্যই অনৈতিক এবং অবৈধ। এক্ষেত্রে নৈতিকতার কাছে দু’জনই সমান অপরাধী৷
যুগ ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে। পাশ্চাত্য দেশের মতো আমাদের দেশেও ছেলেমেয়েরা এখন অপেক্ষাকৃত অবাধে মেলামেশা করছে।ছেলেটি ওকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলেই সে একসঙ্গে ঘুরেছে বা সহবাস করেছে। এখন ছেলেটি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। ফলে মানসিক ভাবে মেয়েটি বিপর্যস্ত, চরিত্রে একটা দাগ পড়েছে।বাংলাদেশের সমাজ তীব্রভাবে নারী-বিদ্বেষী।
রীতি-নীতি থেকে আইন-কানুন সবখানেই পুরুষের তুলনায় নারী হীনস্থানে। পরিবার, সমাজ রাষ্ট্র— সর্বক্ষেত্রে পুরুষকে ক্ষমতাবলয়ের কেন্দ্রে রেখেছে। এদেশে এখনও চালু আছে ব্রিটিশ আমলের স্বাক্ষ্য আইন। এই আইনের বরাতে এখনও আদালতে নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ রয়েছে।  আইনের ফাঁক-ফোকর কাজে লাগিয়ে অভিযোগকারী নারীকেই যদি উল্টো ‘দুশ্চরিত্রা’ বা ‘বহুগামী’ বা ‘চরিত্রহীন’ বলে ছাপ্পর মেরে দেয়া যায় তবেই খেল খতম।
ফরিয়াদীর ‘চরিত্রই’ যেখানে ঠিক নাই, সেখানে তার অভিযোগই নড়বড়ে হয়ে যায় বৈকি।ব্রিটিশ আমলের পুরুষতান্ত্রিক স্বাক্ষ্য আইনের পরিবর্তন করতে হবে। নির্যাতনের শিকার নারী এবং তার পরিবার যেনো নির্ভয়ে আইনের কাছে আশ্রয় নিতে পারে সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি, ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক মিলন’ বিষয়টি নিয়ে যে ধোঁয়াশা আছে সেটিও সুরাহা করতে হবে।
আরো পড়ুন http://এনজিও
ভিডিও দেখুন
লেখকঃ
মোঃআজিজুল হুদা চৌধুরী সুমন
রাজনৈতিক বিশ্লেষক
সদস্য -কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি জাতীয় পার্টি
কেন্দ্রীয় সহসভাপতি – জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি
সভাপতি – জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »