রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি   ঃ পযটন নগরী কুয়াকাটায়
বিজয় দিবসের ছুটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পযর্টকরা এসে ভীড়
জমিয়েছে। সৈকতের জিরো পয়েন্ট, ইকো পার্ক, লেম্বুর চর, শুঁটকি পল্লি,
রাখাইন মহিলা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেটসহ আকর্ষণীয় স্পট গুলো পর্যটক ও
দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল হাজারো মানুষের কোলাহলে মুখরিত। রেস্তোরাঁ,
আবাসিক হোটেল, চায়ের দোকানগুলো এখন লোকে-লোকারন্য। পর্যটকদের হৈ-হুল্লোর
ও সৈকতে দাড়িয়ে প্রিয়জনদের সাথে সেলফি তুলে উপভোগ করেছেন কৈতের মনোরম
দৃশ্য ।

স্থানীয় ও কুয়াকাটা সৈকতে বেড়াতে আসা পযর্টকেরা বলেন, কয়েক বছর আগেও
কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার সড়কপথে তিনটি নদীতে ফেরি
পারাপার ছিল চরম ভোগান্তির। সেখানে ফেরির পরিবর্তে সেতু হয়েছে। এ কারনে
বিশেষ দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটক-দর্শনার্থীরা বেশি এসেছে। এদিকে
পর্যটকের নিরাপত্তাব্যবস্থা কুয়াকাটায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা বিভিন্ন
স্পটে টহল জোরদার করেছেন।

পর্যটক জেসমিন ও কবির দম্পতি এ প্রতিবেদককে বললেন, ছেলে মেয়েদের
স্কুল-কলেজ বন্ধ, তাই কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা। এর আগেও বেশ কয়েকবার এখানে
এসেছিলাম। তখনকার কুয়কাটা আর বর্তমান কুয়াকাটা এক নয়। অনেক পরির্বনত হয়ে
গেছে। আশাকরি সৈকতের দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দিলে এ কুয়াকাটা আরো
বেশি পর্যটকরা আসবে বলে তারা জানিয়েছেন।

কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটারস এ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক)-এর  সাধারন
সম্পাদক, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, বিশেষ দিনগুলোতে কুয়কাটায়
পর্যটকদের চাপ বেশি থাকে। তবে বিজয় দিবস উপলক্ষে গত দুই দিন ধরে
পর্যটকদের আগমন বেড়ে গেছে। পযটক সংশ্লিস্ট সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গুলোও আগত
পর্যটকদের  সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ পরিদর্শক বদরুল আলম বলেন, কুয়াকাটায় আগত
পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমনে নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ দর্শনীয় স্থানে ট্যুরিষ্ট
পুলিশের সদস্যদের টহল অব্যাহত রয়েছে।