নরক কি শুধু পরপারে ?

নষ্ট পুরুষের কীর্তি কান্ড

Spread the love

আজকের ঝলক সংবাদ :

আজকের ঝলক গল্প :

জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করে ইংরেজিতে অনার্স ভর্তি হলাম সরকারী ব্রজলাল কলেজে । আমি খুবই একটি সাধারণ রক্ষণশীল পরিবারের সন্তান । আমার পিতা একজন ধার্মিক ব্যক্তি সমাজে একজন সভ্য ও ভালো মানুষ হিসাবে পরিচিত ।

ছাত্রজীবন : 

আমি অনার্স পড়া অবস্থায় আমার সাথে কলেজ ও কলেজের বাইরে ৫-৭জন ছেলে বন্ধু ছিলো যারা সবাই খুবই ভালো স্বভাবের । হঠাৎ এক সময় জানতে পারলাম আমার ক্লাসের একজন আমাকে পছন্দ করেন । কিন্তু দূঃখের বিষয় হলো তাকে আমার খুবই অপছন্দ । প্রতিটি মানুষের একটি পছন্দের বিষয় থাকে একজন স্বপ্নের মানুষ থাকে যার সাথে কোনোভাবেই মিলাতে পারিনা তবে তার বাড়াবাড়িটা পাগলের মতো আমার বন্ধুরা সবাই বলে সে আমাকে খুবই ভালোবাসে কিন্তু মন থেকে তাকে আমি মেনে নিতে পারছিনা ।

আমার জীবনের উপর প্রেম পড়েছে :

আমি ক্লাসে, প্রাইভেটে কোথাও মনোযোগ দিতে পারছিনা ওর জন্য । সম্ভবত আমি তখন ২য় বর্ষে উঠেছি হঠাৎ আমার পরিচয় হয়, সজিব নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এরক ছাত্রের সাথে সেও ২য় বর্ষে পড়ে । কিছু দিন তার সাথে মিশতে তাকে আমার ভালো রেগে যায়, একসময় আমি তার প্রেমে পড়ি । সে প্রায়ই ঢাকা থেকে খুলনা আসতো আমার সাথে দেখা করতে । কিছুটা লুকিয়ে প্রেম করা শুরু করি আমি কিন্তু দুর্ভাগ্য হলো আমার পথে যে কাঁটা পড়ে আছে । আমার সেই বন্ধু যে আমাকে পছন্দ করে সেই ইমরান এখন রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় সে অস্ত্র নিয়ে ঘোরে আমাকে মাঝে মাঝে মেরে ফেলার ভয় দেখায় । তবে আশার কথা হলো সে আমার বড় বোনকে খুবই মানে । তাই খুব ভয় দেখালেও আমি জানি সে আমার কিছু করবেনা । আমার বোন ইতিমধ্যে আমাদের বিষয়টি জেনে গেছে ।

আমি প্রেম পড়েছি

হঠাৎ একদিন ইমরান জানতে পারে আমার সাথে সাজিবের সাথে আমার সম্পর্কের কথা, এও জানতে পারে সবিজের সাথে আমি একবার ঢাকা দিয়েও দেখা করেছি তাও খুলনা থেকে জাহাজে । আমাকে খুবই ধমকায় ও । একসময় সবিজকেও ভয় দেখায় । এটাতো আর সিনেমা নয় যে সজিব আমাকে ওর হাত থেকে রক্ষা করবে । যা হবার তাই হলো আমার প্রেম আর বেশি দিন টিকলোনা । এর পরে যার সাথেই প্রেম শুরু করেছি তার বাঁধায় তা আর জমাতে পারিনি ।

জীবন যুদ্ধ শুরু :

এর মধ্যে আমার বাবা মারা যান । নিজেও বেশ অসুস্থতাবোধ করি । আমি কোনোভাবে তৃতীয় শ্রেণিতে অনার্স শেষ করি । আমার মনে খুবই কষ্ট আমার কোনো একবন্ধু বলেছিলো আমি না’কি তৃতীয় শ্রেণি পাওয়ারই যোগ্য হয়ত প্রেমে প্রত্যাক্ষাণ হয়ে বলেছিলো তুব মনে খুব কষ্ট পেলাম রেজাল্ট নিয়ে । এর মধ্যে অনার্স শেষ করে সবাই ঢাকা উঠেছে । আমার প্রায় সকল প্রিয় বন্ধুরাই এখন ঢাকাতে থাকে ।

বাবা মারা যাওয়ার পরে হঠাৎ করে মা খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে । খুলনাতে ডাক্তার দেখানোতে কোনো কাজ হচ্ছিলনা । সবাই বল্ল ঢাকা নিয়ে যেতে কিন্তু আমার কোনো ভাই নেই তাই মায়ের পাশে আমাকেই থাকতে হবে কিন্তু ঢাকা তো খুবই অপরিচিত যায়গা। কিভাবে কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না । বড় আপু বুদ্ধি দিলো ইমারানের সহযোগিতা নিতে আরো বল্ল সে তো তোকে ভালোবাসে বিপদে তার সহযোগিতা নিতে অসুবিধা কী ?

ফিরে গেলাম নষ্ট পুরুষের কাছে : 

আর কোনো কিছু মাথায় আসলোনা তাই করলাম ইমারেন সহযোগিতায় মাকে হাসপাতালে ভর্তি করলাম । এর পর দেখি ধীরে ধীরে ইমরান পুরাতন সুর উঠাচ্ছে । একসময় ভাবলাম যা আছে ভাগ্যে হ্যাঁ বলে দেই । মা হাসপাতালে রেখে ইমারানের সাথে প্রেম করছি বিবেক খুবই ভাবায় কিন্তু কি করবো ? । আস্তে আস্তে দেখলাম ইমরান মাকে নিয়ে খুবই বিরক্ত, সে সব সময় আমার সঙ্গ চায় কিন্তু মা অসুস্থ থাকায় আমি তা পারিনা ।

আমার শরীরটা ছিড়ে গেলো শকুন :

হঠাৎ একদিন ইমরান জানায় সে আমাকে বিয়ে করতে চায় বাসায় তার বোন আমাকে যেতে বলেছে । অসুস্থ মাকে হাসপাতালে রেখে আমি ওর বাসায় যাই । বাসায় গিয়ে দেখি ওর বাসায় কেউ নেই । আমি চলে আসতে চাইলে আর আসতে পারলাম না ঐ নোংড়া মানুষটা আমাকে আর রেহাই দিলেনা আমার কুরারিত্ব ছিড়ে খেলো । আমরা উপর ঝাপিয়ে পরলো শুকরের মতো, কিছুটা সায় হয়ত আমারো ছিলো না হলে হয়তো ছিড়ে খাওয়ার সুযোগ পেতোনা । 

একবার নরম মাংশের সাধ পাওয়ার পরে সে ব্যাকুল হয়ে উঠলো, এর পরে সে প্রতিনিয়ত আমার সাথে এসব করতো, আমাকে ভিডিও করেছে সে ভয় দেখিয়ে জোর করে ভোগ করেছে অনেকবার । তার রুমে গেলে বাহির থেকে তার বন্ধুরা তালা লাগিয়ে দিতো আর ভিতরে ও আমার শরীরটা ছিড়ে খেতো । হয়ত আমার মা অসুস্থ হলেও বুঝতে পারছিলো আমি কোনো অন্যায় করছি । তাই সে কোনো ভাবেই ইমরানকে সহ্য করতে পারছিলোনা । মায়ের এ অপছন্দের কারনে ইমারান শুধু মায়ের মৃত্যু কামনা করতো । আমি এটা মোটেও পছন্দ করতাম না । মাকে নিয়ে খুলনায় ফিরে এলাম ভাবলাম এই এই নষ্ট পুরুষের সাথে আর না ।

মাঝে মাঝে মন তাইতো নিজেকে শেষ করে ফেলি বহুবার আত্ন হত্যা করতে চেয়েছি কিন্তু পারিনি মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে । নিজেকে সামলাতে একটি কিন্ডার গার্টেনে চাকুরি নিলাম । বেশ ভালই কাটছিলো সময় কিন্তু হঠাৎ একদিন পরিচয় এক কার্টুনিস্টের সাথে খুবই ভালো ছবি আঁকেন তিনি । হয়তোবা আমাকেও তার ভালো লাগছিলো তাই পরিচয় হওয়ার সময় একটি ভিজিটিং কার্ড দিলেন ।

জীবনে নতুন মানুষ এসেছে :

অনেক দিন পর ঘর পরিস্কার করতে গিয়ে কার্টুনিস্টের  ভিজিটিং কার্ডটি চোখে পড়লো, মনের অযান্তেই ফোন দিলাম । অনেক সুন্দর করে কথা বলেন তিনি । সবার খুবই পছন্দের ব্যক্তি সে, দেখলাম আমার বাবার আচরণের সাথে অনেক আচরণ মিল আছে তার এমনকি বাবা যে গান গাইতো সেও সেই গান গুন গুনিয়ে গায় । আস্তে আস্তে ইমরানকে ভুলতে তার সাথে কথার জালে জড়িয়ে গেলাম । এর পরে আমরা উভয়কে ভালোবাসতে শুরু করলাম ।

আমি জানিনা এই মানুষটির সাথে কতদিন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারবো কারণ আমার পিছনে তো শকুন লেগে আছে । যা হবার তাই হলো একদিন ঘুরতে গেলে ইমারানের এক বন্ধু আমাদের দেখে ফেলে, আমি খুবই ভয় পেয়ে যাই । কেঁদে কেঁদে বলি আপনি আর কাল থেকে আমার সাথে মিশবেন না । সে আমাকে অভয় দেয়, আমার চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে জীবন দিয়ে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয় । আমি সাহশ পাই সেই থেকে আমি  শাহস নিয়ে বুক ফুলিয়ে শহরে চলার অনুপ্রেরণা পাই ।

বিয়ে করলাম আমি :

আমার ভয় বাড়তে থাকে তাকে আমি হারিয়ে না ফেলি, আমি বিয়ের চাপ দিতে থাকি সেও রাজি হয়, কিন্তু আমার পরিবার বাধ সাজে, এর পরে আমরা গোপনে বিয়ে করে ফেলি । এর পরে আস্তে আস্তে সবাই মেনে নেয় । খুবই ভালো সময় পার হচ্ছিল আমাদের কিন্তু সুখ তো ভাগ্যে সওয়ার মতো হতে হয় তাই না !

একসময় জানতে পারলাম তার অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক ছিলো । যদি সেখানে থেমে থাকতাম তাহলে হয়তো সুখি হতে পারতাম কি’না জানিনা । আগা গোড়া জানতে ঐ মেয়েকে খুঁজে বের করলাম । অপমান অপদস্থ করে ঝাল মিটাতে সক্ষম হলাম । এর পরে সেটা নিয়ে যদি থেমে যেতাম হয়তো সুখ পেতাম ঝুলে রইলাম সেটা নিয়ে । একদিন দুই দিন যেতে যেতে আমার স্বামীও আমার ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করলো ।

নষ্ট পুরুষের কীর্তি কান্ড

ইমরান আমার স্বামীকে প্রতিটি মুহুর্তের কথা বলেছে প্রথম সহবাস থেকে আমার শরীরের কোথায় কোন দাগ আছে সেটিও, সবকিছু এমনকি স্বামী-স্ত্রী হিসাবে সংশার করার কথাও বলেছে ।  আমি জানিনা এর পরেও কোনো স্বামী তার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক রাখে কিনা কিন্তু আমার স্বামী রেখেছে । রাখবেই বা না কেনো সেও তো ধোাঁ তুলসি পাতা নয় ।

তবে সবকিছু হওয়ার পরেও আমার স্বামী আমাকে অগাধ বিশ্বাস করে, সে কখনো আমার মোবাইলে উঁকি মারেনা, কোথায় ছিলাম কিভাবে ছিলাম কোনো কিছু নিয়ে সন্দেহ করেনা । কিন্তু  আমি তাকে বিশ্বাস করিনা কারণ আমি তো দেখেছি নষ্ট পুরুষের কীর্তি কান্ড । তাই পুরুষকে আমার বিশ্বাস নেই । আমি তাই সব সময় কথার মাধ্যমে ছিড়ে খাই পুরুষের কলিজা । আমি বিশ্বাস করি সব পুরুষই চরিত্রহীন এমনকি তাদের রক্তের মেয়েদেরকে পেলেও তারা ছাড়েনা আর এটাই নষ্ট পুরুষের কীর্তি কান্ড । মাঝে মাঝে আমি ভেবে ব্যাকুল হয়ে উঠে আমি পরপারে কোন নষ্ট মানুষের কৃর্তী দেখেবো না’কি এই ভুবনের নষ্ট পুরুষ গুলোর মধ্যে বেছে নিতে হবে । যদি তাই হয় তাহলে তো যাকে কম দেখা হয়েছে সেই গুরুত্ব পায় !!! হয়তো এই নষ্ট পুরুষগুলোর কথা ভাবতে ভাবতেই আমার দিন রাত পার হয়ে জীবনের শেষে চলে যাবো ।

এই গল্পের সমস্ত কথা কাল্পনিক । কেউ কোনো ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না । কারো জীবনের সাথে মিলে গেলে দূঃখিত ।

ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের অঙ্গীকার

https://twitter.com/home



আমাদের ফেসবুক পাতা




প্রয়োজনে কল করুন 01740665545

আমাদের ফেসবুক দলে যোগ দিন







Translate »