আজকের ঝলক :
একটি প্রতিষ্ঠানের প্রাণ বলা হয় কর্মীগণকে । একটি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন হয় কর্মী সন্তষ্টিতে আর প্রতিষ্ঠান বিলুপ্ত হতে ইক্যুয়িটির পাশা-পাশি সেই কর্মী অনস্তোষই প্রধান কারণগুলোর অন্যতম । সুতরাং কর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তোলা ও কর্মীদের সন্তুষ্ট রাখতে চেষ্টা করা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম দায়িত্ব । বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে তারা কর্মীদের জন্য কর্ম পরিবেশ তৈরীতে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন । উদারণ স্বরুপ বলা যেতে পারে ব্রাক কোস্টাল এনজিওদের মধ্যে কোস্ট ট্রাস্ট ।
একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ম পরিবেশ নির্ভর করে সেই সংস্থার কর্মীবান্ধব নীতিমালা ও ব্যবস্থাপনা দলের দক্ষতার উপরে । তাই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা টিমকে দক্ষ করে গড়ে তোলা খুবই জরুরী । একজন উদ্যোগতা একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করার সময় যে গতিতে বা উদ্দেশ্য নিয়ে কাজটি শুরু করেন পরবর্তীতে সেটা ধরে রাখা কঠিন কারণ যখন প্রতিষ্ঠান বড় হয় তখন তাকে বিভিন্ন স্তরের ব্যবস্থাপকদের উপর নির্ভর করতে হয় । যখন ব্যবস্থাপক সঠিকভাবে তার কর্মী পরিচালনা করতে পারেনা তখন পরিবেশ কিছুটা বিঘ্নিত হয় । অনেক ব্যবস্থাপক তার মানবীয় মূল্যবোধ ভুলে যান এবং কর্মীদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন । যা প্রতিষ্ঠানের সাবিক বিষয়ের উপর প্রভাব পড়ে ।
প্রতিটি এনজিও মানবাধিকার ও মানবীয় মূল্যবোধ চর্চায় কাজ করে । লক্ষ করলে দেখা যাবে মাঝে মাঝে কিছু এনজিও সংস্থাগুলোতে মানবাধিকার রঙ্ঘিত হয় । এর কারন কিন্তু দুর্বল ব্যবস্থাপনা । মেনে নেয়া, মানিয়ে নেয়া ও চর্চা করা এক বিষয় নয় । তাই লক্ষ্য করতে হবে কর্মীরা যেন সংস্থার নীতিগুলো চর্চা করেন নিজে থেকে, সে পরিবেশ তৈরী করে দেয়া প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব ।
এনজিওতে কর্মী বান্ধব কর্ম পরিবেশ তৈরীতে ৭ করনীয় ।
১. কর্মী বান্ধব মানব সম্পদ নীতিমালা অনুমোদন
২. প্রেষণা ও প্রনোদনার ব্যবস্থা করা
৩. দক্ষ কর্মী ও ব্যবস্থাপনা টিম গঠন করা
৪. অবাদ তথ্য আদান প্রদান ও অভিযোগ ব্যবস্থাপনা
৫. দক্ষ মনিটরিং ও নিরিক্ষণ টিম থাকা
৭. নারী ও পুরুষের কাজ করার ক্ষেত্রে জেন্ডার ও যৌণ নীতিমালা সঠিকভাবে প্রয়োগ ।
এছাড়া অনেকগুলো বিষয় উল্লেখ থাকতে পারে তবে তা অবশ্যই এই ৭টি বিষয়ের সাথে কিছুনা কিছু মিল থাকবে । দেশের অনেক এনজিওতে কর্ম পরিবেশ আছে তবে বাকি এনজিওগুলোতে কর্মী বান্ধব কর্ম পরিবেশ তৈরীতে পদক্ষেপ নেয়অ জরুরী ।
লিখেছেন :
মোঃ জহিরুল ইসলাম
সহকারী পরিচালক জেন্ডার ও এ্যাকুয়াকালচার ।