আসন্ন শীতে দে’শে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে আশ’ঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিস্থিতি মোকা’বেলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও জা’নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্যো’গের অংশ হিসেবে বলা হয়েছে, সরকারি-বেসর’কারি সেবা নিতে হলে অ’বশ্যই মাস্ক পরতে হবে, নয়তো সেবা মি’লবে না।
খোদ মন্ত্রিপরিষ’দসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামই এমনটি জা’নিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে যাদের মা’স্ক কেনার সামর্থ্য নেই এমন মা’নুষদের বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণের সি’দ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ‘আসুন, সবা’ই মাস্ক পরি, করোনামুক্ত’ বাংলাদেশ গড়ি’—এই স্লো’গান সামনে নিয়ে সারা দেশে ৫০৪টি স্পটে দ’রিদ্র মানুষের মাঝে তিন কোটি গুণ’গত মানসম্পন্ন মাস্ক বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সা’রা দেশে বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চ টার্মিনাল, রে’লস্টেশনে যাঁরা মাস্ক চাইবেন তাঁ’রাই পাবেন। বাংলাদেশ স্কাউট এই মাস্ক বিতরণের কা’জ’টি করবে। তিন কোটি মাস্ক কে’নাসহ আনুষঙ্গিক কা’জের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হ’য়েছে ৫০ কোটি টাকা খরচে। প্র’কল্পে পুরো টাকাই অনুদান হি’সেবে দেবে জাতিসংঘের উন্নয়ন ক’র্মসূচি (ইউএনডিপি)। উ’ন্নয়ন সহযোগীদের অ’র্থায়নের প্রকল্প হওয়ায় এটি এখন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কাছ থে’কে অনুমোদনের অ’পেক্ষায়।
পরিক’ল্পনা কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, সারা দে’শে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌ’রসভা, সিটি করপোরেশনের আওতায় গরিব, বস্তিবাসীকে তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নি’শ্চিত করার জন্য এই মাস্ক বিতরণ ক’রা হবে। বন্যা আক্রান্ত এলাকা, ঝড়ে আক্রান্ত হয়ে যারা বা’ড়িঘর হারিয়ে ভাসমান, জন’বহুল বাসস্ট্যান্ড, ল’ঞ্চ এবং রেলস্টেশনে মাস্ক বি’রণ করা হবে। একই সঙ্গে তাদের সামাজিক দূ’ত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচে’তন করে তোলা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই কাজ’টি শেষ হবে। আর এই তি’ন কোটি মা’স্কই আন্ত’র্জাতিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশে বা’নানো হবে।