আজকের ঝলক নিউজ

কলাপাড়ায় খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীরা মহামারি করোনা থেকে দেশবাসীর মুক্তির প্রার্থনায় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন পালন করলো ॥

Spread the love

রাসেল কবির মুরাদ , কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি  ঃ  কলাপাড়ায়
উৎসাহ-উদ্দীপনা আর ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে খ্রিষ্টান
ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। শুক্রবার দিনব্যাপী সামাজিক
দূরত্ব মেনে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সদরপুর গ্রামে খ্রিষ্টান পল্লীতে এ দিবসটি
পালিত হয়। মহামারি করোনা থেকে দেশবাসিকে মুক্তিসহ অতীতের সকল পাপ মোচনের
জন্য যিশুর কাছে প্রার্থনা করেন ভক্তরা। এ উপলক্ষে চার্চ ও গীর্জা গুলো
সাজজিয়েছে নতুন সাজে। বাইবেল পাঠসহ আলোচনা করা হয় যিশু খ্রিষ্টের জীবনী
সম্পর্কে। ভক্তদের মাঝে বিভিন্ন রকমের খাবার পরিবেশনসহ শুভেচ্ছা বিনিময়
করেন খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীরা।

খ্রিস্টান ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, খ্রিস্টধর্মের
প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট এদিনেই অলৌকিকভাবে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন
এবং তিনি মানুষের রূপ ধরে পৃথিবীতে এসেছিলেন সব পাপ থেকে মুক্তি দিতে
মানবিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে। তার এই আগমনকে স্মরণ করে খ্রিস্টানরা
শ্রদ্ধা ভালোবাসায় বিশ্বব্যাপী তাকে স্মরণ করেন ও জাকজমকপূর্ণভাবে দিনটি
উদযাপন করেন। বড়দিন উপলক্ষে কেক তৈরি ও বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়।
দিনভর যিশু খ্রিস্টের গুন-কীর্তনের পাশাপাশি বসানো হয়েছে ধর্মীয় গানের
আসর। বড়দিন ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকলের জন্য আনন্দ-বার্তা বয়ে আসুক এই
কামনা করেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজন।

খ্রিস্টান ধর্মালম্বী প্রজ্ঞা বিশ^াস বলেন, এই দিনটি আমাদের বিশেষ দিন।
তাই ঘরে ঘরে বাহারী পিঠা পুুলি বানানো হয়েছে। এছাড়া সকালে গির্জায় বিশেষ
প্রার্থনাসহ সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। আরেকজন খ্রিস্টান শোভন
বিশ^াস বলেন, মহামারি করোনা থেকে দেশবাসী মুক্তির আশায় গির্জায় বিশেষ
প্রার্থনা এবং বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গির্জার আশপাশে রঙিন
বাতি জ্বালানো ও জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর সুসজ্জিত করা হয়।

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সদরপুর খ্রিস্টান পল্লীর চার্চ ইনচার্জ ফ্রান্সিস বলেন,
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস। ২৫শে ডিসেম্বর যিশু
খ্রিস্টের জন্মের দিনে এই উৎসবটি পালিত হয়। এখানে চারটি গির্জায়
শান্তিপূর্ন পরিবেশে আমাদের ঈশ^র যিশুর জন্মদিন, বড়দিন পালিত হয়েছে।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মো: মোস্তাফিজুর রহমান
জানান, বড় দিন উপলক্ষে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য খ্রিস্টান
পল্লীর গির্জাগুলোতে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

Exit mobile version